বরগুনার বেতাগীতে কাজিরাবাদ ইউনিয়ন বিএনপির সদস্যসচিব প্রভাষক মিজানুর রহমানের ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে আহ্বায়ক স্বদেশ কুমার রায় সুব্রত ও তার অনুসারীদের বিরুদ্ধে। শনিবার সকাল ১১টার দিকে কুমড়াখালী বাজার মোড়ে এ হামলার ঘটনা ঘটে। এ হামলার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। 

জানা গেছে, প্রভাষক মিজানুর রহমান তার ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান অয়ন মেডিসিন কর্নারে অবস্থানকালে তাকে পেটানো হয়। অবরুদ্ধ থাকার পর পরিস্থিতি শান্ত হলে বিএনপি নেতাকর্মীরা গিয়ে তাকে উদ্ধার করেন। 

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, আগামী মঙ্গলবার ওয়ার্ড বিএনপির সম্মেলনের কথা রয়েছে। এ জন্য কাজিরাবাদ ইউনিয়ন বিএনপি শুক্রবার প্রস্তুতিমুলক সভা করে। সদস্যসচিব মিজানুরসহ একাধিক নেতা-কর্মী আহ্বায়ক স্বদেশের বিরুদ্ধে দলের নাম ব্যবহার করে চাঁদাবাজি, জমি দখল, মামলা থেকে নাম বাদ দেওয়ার কথা বলে টাকা নেওয়ার অভিযোগ তোলেন। এতে দলের ভাবমূর্তি ও সুনাম নষ্টের অভিযোগ করা হয়। ওই ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে মিজানুরের ওপর হামলা করা হয়। 

এ প্রসঙ্গে মিজানুর জানান, আগামী কাউন্সিলে তিনি সভাপতি প্রার্থী। এ জন্য সুব্রত ও তার লোকজন হামলা চালিয়েছে। এ সময় স্বর্ণালঙ্কার ও দুই লাখ টাকা লুট করেছে। সুব্রতকে দল থেকে স্থায়ী বহিষ্কারের দাবি করেন মিজানুর।

চাঁদাবাজির অভিযোগ অস্বীকার করে স্বদেশ কুমার রায় সুব্রত বলেন, ‘একটি অপহরণের ঘটনা নিয়ে বৈঠককালে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে এ ঘটনার সূত্রপাত হয়। পরবর্তীতে সদস্যসচিবের সঙ্গে হাতাহাতিতে তার জামা ছিঁড়ে যায়। ঘনাটি তেমন গুরুতর নয়।’

বেতাগী থানার ওসি মো.

মনিরুজ্জামান বলেন, একটি অপহরণকে কেন্দ্র করে এ ঘটনা ঘটে। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। থানায় কেউ অভিযোগ দায়ের করেননি। অভিযোগ দিলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: বরগ ন ব এনপ সদস যসচ ব ব এনপ

এছাড়াও পড়ুন:

পর্যটকে পরিপূর্ণ কুয়াকাটা

দুর্গাপূজা ও সাপ্তাহিক ছুটির তৃতীয় দিন শুক্রবার (৩ অক্টোবর) পর্যটকে কানায় কানায় পরিপূর্ণ হয়ে উঠেছে পটুয়াখালীর পর্যটনকেন্দ্র কুয়াকাটা। ২২ কিলোমিটার দীর্ঘ সৈকতের তিন নদীর মোহনা, লেম্বুর বন, শুটকি পল্লী, ঝাউবাগান, গঙ্গামতি, চর গঙ্গামতি ও লাল কাঁকড়ার চড়ে এখন পর্যটকদের সরব উপস্থিতি। তাদের নিরাপত্তায় তৎপর রয়েছে ট্যুরিস্ট পুলিশের সদস্যরা।

সরেজমিনে দেখা যায়, আগত পর্যটকরা সৈকতের বালিয়াড়িতে উচ্ছ্বাসে মেতেছেন। তাদের অনেকে সমুদ্রের ঢেউয়ে গা ভিজিয়ে এবং ওয়াটর বাইকে চড়ে আনন্দ করছেন। অনেকে আবার সৈকতের বেঞ্চিতে বসে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করছেন। পর্যটকদের কেউ কেউ মোটরসাইকেল কিংবা ঘোড়ায় চরে বিভিন্ন পর্যটন স্পট ঘুরে দেখছিলেন। সব মিলিয়ে সৈকতের উৎসব মুখর পরিবেশ বিরাজ করছে। 

আরো পড়ুন:

চার দিনের ছুটিতে কক্সবাজার রুটে চলবে ‘ট্যুরিস্ট স্পেশাল’ ট্রেন

১ অক্টোবর থেকেই কেওক্রাডং যেতে পারবেন পর্যটকরা, মানতে হবে ৬ নির্দেশনা

পাবনা থেকে আসা হোসেন শহীদ ও সোনিয়া দম্পতি জানান, পূজা ও সরকারি ছুটি থাকায় তারা কুয়াকাটায় এসেছেন। সমুদ্রের ঢেউ উপভোগ করেছেন তারা। এই দম্পতির অভিযোগ, হোটেল ভাড়া কিছুটা বেশি রাখা হয়েছে।  

বরিশালের কাউনিয়া থেকে আসা সম্রাট বলেন, “কয়েকটি পর্যটন স্পট ঘুরে দেখেছি। বৃহস্পিতবার বিকেলে বৃষ্টির মধ্যে লাল কাকড়ার চড়, গঙ্গামতি ও লেম্বুর বন ঘুরেছি। দারুন এক অনুভূতি হয়েছে।”

কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট পুলিশ জোনের সহকারী পুলিশ সুপার হাবিবুর রহমান বলেন, “পর্যটকদের নিরপত্তা নিশ্চিতে আমরা সচেষ্ট রয়েছি। বিভিন্ন পর্যটন স্পটে ট্যুরিস্ট পুলিশের সদস্য মোতায়েন রয়েছে।”

ঢাকা/ইমরান/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ