মার্কিন হামলার জবাবে তেহরানের সামনে এখন কী কী বিকল্প
Published: 22nd, June 2025 GMT
ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। আক্রান্ত হওয়ার পর থেমে থাকবে না ইরানও। কিন্তু তেহরানের সামনে পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে কী কী বিকল্প আছে? এসব প্রশ্নের উত্তর খোঁজার চেষ্টা করছেন আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা।
তারা বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের হামলার প্রতিশোধে কঠোর কোনো পদক্ষেপ নিতে গেলে ওয়াশিংটনের পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় ইরানের টিকে থাকা প্রায় অসম্ভব হয়ে উঠতে পারে। সমকালীন যুদ্ধনীতি ও আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ জ্যাঁ-মার্ক রিকলি বলেন, ইরানের সামনে সম্ভাব্য ‘প্রতিক্রিয়ার একটি বিস্তৃত পরিসর’ আছে।
তিনি বলেন, প্রথম বিকল্প হলো কোনো প্রতিক্রিয়া না দেখানো। তবে ইরানের ভাবমূর্তি ও অভ্যন্তরীণ অবস্থানের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর হবে এটি। দ্বিতীয় বিকল্প হতে পারে, যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থ বা সম্পদের ওপর পাল্টা আঘাত হানা।
আল-জাজিরাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে রিকলি বলেন, সম্ভবত এমন কিছু প্রতিক্রিয়া দেখা যাবে, যা এই দুই চরম অবস্থার মাঝামাঝি কিছু হবে। তবে সমস্যা হচ্ছে—ইরানকে এমন পথ খুঁজতে হবে, যাতে আমেরিকা সামরিকভাবে পুরোপুরি জড়িয়ে না পড়ে। কারণ, যদি যুক্তরাষ্ট্র তার পুরো সামরিক শক্তি ব্যবহার করে, তাহলে ইরানের পক্ষে টিকে থাকা অসম্ভব।
জেনেভা সেন্টার ফর সিকিউরিটি পলিসির বৈশ্বিক ঝুঁকিবিষয়ক এই প্রধান বলেন, ২০২০ সালে ইরান যেভাবে জেনারেল কাসেম সোলাইমানিকে হত্যার প্রতিশোধ নিতে আগে থেকেই সতর্ক করে দিয়ে ইরাকে একটি মার্কিন ঘাঁটিতে হামলা চালিয়েছিল, সেই উদাহরণও সামনে রাখা যেতে পারে। তারা কি আবার তেমন কিছু করবে? সেটা সম্ভব। তবে এখনই নিশ্চিতভাবে কিছু বলা কঠিন।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: য ক তর ষ ট র য ক তর ষ ট র ব কল প
এছাড়াও পড়ুন:
বন্দরে আওয়ামীলীগ নেতা হুমায়ুন গ্রেপ্তার
বন্দরে অপরেশন ডেভিল হান্ট অভিযানে আওয়ামীলীগ নেতা হুমায়ুন (৩৮)কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ধৃত আওয়ামীলীগ নেতা হুমায়ুন বন্দর উপজেলার কলাগাছিয়া ইউনিয়নের ফরাজিকান্দা এলাকার মাকসুদুর রহমান মিয়ার ছেলে।
ধৃতকে সোমবার (১৭ নভেম্বর) দুপুরে বন্দর থানার দায়েরকৃত ১১(১১)২৫ নং মামলায় আদালতে প্রেরণ করেছে পুলিশ। এর আগে গত রোববার (১৬ নভেম্বর) রাতে বন্দর উপজেলার ফরাজিকান্দা এলাকায় অভিযান চালিয়ে ওই নেতাকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয় পুলিশ।
উল্লেখ্য, গত ৬ নভেম্বর দিবাগত রাত পৌনে ৯টায় বন্দর থানার ঢাকা টু চট্টগ্রাম মহাসড়কের কেওঢালা মেগাসিটি ফিলিং স্টেশনের সামনে পাঁকা রাস্তার উপরে জড়ো হয় নিষিদ্ধ ঘোষিত রাজনৈতিক সংগঠন আওয়ামীলী ও অঙ্গ সংগঠন ৫০/৫৫ জনের একটি দল।
পরে তারা শেখ হাসিনা ও অয়ন ওসমানের ব্যানারে একটি ঝটিকা মশাল মিছিল বের করলে তা পুলিশের নজরে আসলে ওই সময় পুলিশ উধ্বর্তন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করে ঘটনাস্থলে আসলে ওই সময় ১৫/২০টি মোটরসাইকেল যোগে বি়ভিন্ন শ্লোগান দিতে দিতে দ্রুত ঢাকা দিকে চলে যায়।এ ঘটনায় জড়িত থাকার অপরাধে আওয়ামীলীগ নেতা হুমায়ুনকে গ্রেপ্তার করে ওই মামলায় তাদের আদালতে প্রেরণ করা হয় ।