সখীপুরের সুস্বাদু কাঁঠাল ঘিরে হাটে হাটে ব্যস্ততা, সপ্তাহে কোটি টাকার কেনাবেচা
Published: 23rd, June 2025 GMT
‘লাল মাটির পাহাড়িয়া অঞ্চল’ বলে খ্যাত টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলায় উৎপাদিত সুস্বাদু কাঁঠালের চাহিদা সারা দেশে। শুধু কাঁঠাল বিক্রির জন্য এখানে বসে বড় বাজার। দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে পাইকারি ক্রেতারা এসব বাজার থেকে কাঁঠাল কেনেন। ব্যবসায়ীদের হিসাবে, উপজেলা থেকে প্রতি সপ্তাহে প্রায় কোটি টাকার কাঁঠাল ঢাকাসহ দেশের নানা অঞ্চলে যাচ্ছে।
তবে হাটগুলোতে কাঁঠালের ব্যাপক বেচাকেনা হলেও দাম নিয়ে অসন্তুষ্ট কৃষক ও খুচরা বিক্রেতারা। তাঁদের অভিযোগ, গাছ থেকে কাঁঠাল সংগ্রহ, পরিবহন ও বাজারে আনতে যে খরচ হয়, বিক্রির পর হাতে তেমন কিছুই থাকে না।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার কার্যালয়ের তথ্য বলছে, উপজেলায় ৮৫০ হেক্টর জমিতে কাঁঠালের চাষ হয়েছে। এ ছাড়া প্রায় প্রতিটি বাড়িতেই কাঁঠালগাছ রয়েছে। বাড়ির আঙিনার এসব গাছ থেকেই প্রতিবছর বিপুল পরিমাণ কাঁঠাল উৎপাদন হয়। উপজেলার কুতুবপুর, বড়চওনা, কচুয়া, মহানন্দপুর, নলুয়া, তক্তারচালা ও দেওদীঘি—এ হাটগুলোতে কাঁঠালের বেচাকেনা বেশি হয়।
খুচরা ও পাইকারি ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, কুতুবপুর হাট সারা বছর কলার জন্য পরিচিত থাকলেও জ্যৈষ্ঠ থেকে শ্রাবণ মাস পর্যন্ত কাঁঠালের হাটে রূপ নেয়। হাটটি বসে শনি, রোব, মঙ্গল ও বুধবার। বড়চওনার হাট সোমবার, নলুয়ার হাট বৃহস্পতিবার, দেওদীঘি সোমবার, তক্তারচালা শনিবার, কচুয়া রোববার ও বুধবার এবং মহানন্দপুর হাট বসে মঙ্গলবার। একেকটি হাটে সপ্তাহে গড়ে ২০ থেকে ৩০ লাখ টাকার কাঁঠাল কেনাবেচা হয়। সব মিলিয়ে সখীপুর থেকে প্রতি সপ্তাহে প্রায় কোটি টাকার কাঁঠাল যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে।
সম্প্রতি বড়চওনা, কুতুবপুর, কচুয়া, নলুয়া, দেওদীঘি, তক্তারচালা ও বহেড়াতৈল হাটে গিয়ে কাঁঠাল নিয়ে এক ধরনের ব্যস্ততা দেখা যায়। স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছ থেকে ঘুরে ঘুরে একদল ক্রেতা কাঁঠাল কিনছেন। সেগুলো স্তূপ করে রাখা হয়েছে সড়কের পাশে। দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসা আরেক দল ক্রেতা তাঁদের কাছ থেকে কাঁঠাল পাইকারি কিনে নিচ্ছেন।
ভ্যানগাড়িতে কাঁঠাল ভর্তি করে বিক্রির অপেক্ষায় বিক্রেতারা। শনিবার টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলার বড়চওনা বাজারে.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: উপজ ল
এছাড়াও পড়ুন:
বন্দরে আওয়ামীলীগ নেতা হুমায়ুন গ্রেপ্তার
বন্দরে অপরেশন ডেভিল হান্ট অভিযানে আওয়ামীলীগ নেতা হুমায়ুন (৩৮)কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ধৃত আওয়ামীলীগ নেতা হুমায়ুন বন্দর উপজেলার কলাগাছিয়া ইউনিয়নের ফরাজিকান্দা এলাকার মাকসুদুর রহমান মিয়ার ছেলে।
ধৃতকে সোমবার (১৭ নভেম্বর) দুপুরে বন্দর থানার দায়েরকৃত ১১(১১)২৫ নং মামলায় আদালতে প্রেরণ করেছে পুলিশ। এর আগে গত রোববার (১৬ নভেম্বর) রাতে বন্দর উপজেলার ফরাজিকান্দা এলাকায় অভিযান চালিয়ে ওই নেতাকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয় পুলিশ।
উল্লেখ্য, গত ৬ নভেম্বর দিবাগত রাত পৌনে ৯টায় বন্দর থানার ঢাকা টু চট্টগ্রাম মহাসড়কের কেওঢালা মেগাসিটি ফিলিং স্টেশনের সামনে পাঁকা রাস্তার উপরে জড়ো হয় নিষিদ্ধ ঘোষিত রাজনৈতিক সংগঠন আওয়ামীলী ও অঙ্গ সংগঠন ৫০/৫৫ জনের একটি দল।
পরে তারা শেখ হাসিনা ও অয়ন ওসমানের ব্যানারে একটি ঝটিকা মশাল মিছিল বের করলে তা পুলিশের নজরে আসলে ওই সময় পুলিশ উধ্বর্তন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করে ঘটনাস্থলে আসলে ওই সময় ১৫/২০টি মোটরসাইকেল যোগে বি়ভিন্ন শ্লোগান দিতে দিতে দ্রুত ঢাকা দিকে চলে যায়।এ ঘটনায় জড়িত থাকার অপরাধে আওয়ামীলীগ নেতা হুমায়ুনকে গ্রেপ্তার করে ওই মামলায় তাদের আদালতে প্রেরণ করা হয় ।