চুক্তিভিত্তিক পণ্য আমদানিতে আর্থিক দায়মুক্তি পেল ব্যাংকগুলো। আগে এ ধরনের লেনদেনের বিপরীতে‌ দায় পরিশোধে ব্যাংকগুলোর বাধ্যবাধকতা ছিল‌। এক সার্কুলারের মাধ্যমে বিষয়টি স্পষ্ট করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এর ফলে চুক্তিভিত্তিক পণ্য আমদানিতে আগ্রহী হবে ব্যাংকগুলো।

মঙ্গলবার (২৪ জুন) বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রানীতি বিভাগ থেকে এ-সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি করা হয়েছে। 

সার্কুলারে বলা হয়েছে, চুক্তির আওতায় পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে ব্যাংকগুলো আমদানিকারকের ওপর কোনো আর্থিক ঝুঁকি বা দায় থাকবে না। আমদানিকারকদের কাছ থেকে প্রাপ্ত তহবিল ব্যবহার করেই আমদানি মূল্য পরিশোধের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হবে। শুধু প্রক্রিয়াগত আনুষ্ঠানিকতা অনুসরণ করতে ব্যাংকগুলোকে বলা হয়েছে।

আরো পড়ুন:

পণ্য আমদানি করতে বিদেশে পাঠানো যাবে ১ লাখ ডলার 

ব্যাংকিং খাত সংস্কারে এডিবির ৬১৫০ কোটি টাকা ঋণ অনুমোদন 

এর আগে, ২০২২ সালের একটি সার্কুলারে ব্যাংকগুলোকে চুক্তিভিত্তিক আমদানির বিপরীতে মূল্য পরিশোধ নিশ্চিত করতে বলা হয়েছিল। এর ফলে অনেক ব্যাংক এমন লেনদেনে আগ্রহ হারিয়ে ফেলে। নতুন এই সার্কুলারের ফলে ব্যাংকগুলো আগের চেয়ে বেশি সক্রিয়ভাবে এই ধরনের আমদানি কার্যক্রমে অংশ নেবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

তারা বলছেন, ২০২২ সালে জারি করা একটি সার্কুলারে ব্যাংকগুলোকে চুক্তির আওতায় আমদানির বিপরীতে মূল্য পরিশোধ নিশ্চিত করতে বলা হয়েছিল। এর ফলে তারা এ ধরনের লেনদেন করতে অনাগ্রহী ছিল। নতুন এই ব্যাখা ব্যাংকগুলোকে চুক্তির ভিত্তিতে আমদানি কার্যক্রমে সহায়তা করতে উৎসাহিত করবে। বাংলাদেশ ব্যাংকের এই পদক্ষেপ পণ্য আমদানিতে সহযোগিতা করবে, খরচও কমাবে। এতে বৈদেশিক বাণিজ্যে গতি আসবে।

ঢাকা/এনএফ/রফিক

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আমদ ন ত পর শ ধ

এছাড়াও পড়ুন:

লোপেজ বললেন, ‘বিচ্ছেদ জীবনের সেরা ঘটনা’

তাঁদের জীবনের গল্প সিনেমার চিত্রনাট্যের মতোই। তুমুল প্রেম, বাগ্‌দানের পর সবাই যখন বিয়ের অপেক্ষায়; তখন হঠাৎই আসে বিচ্ছেদের ঘোষণা। এরপর দীর্ঘ সময় গড়িয়েছে, দুজনই ভিন্ন সম্পর্কে থিতু হয়েছেন। তবে নিয়তি বোধ হয় চেয়েছিল তাঁদের পুনর্মিলন, শেষ পর্যন্ত সেটাও হয়। কিন্তু দুই বছর গড়াতেই সম্পর্ক ভাঙে, সম্পর্কের দ্বিতীয় সুযোগও কাজে লাগাতে পারেননি হলিউডের তারকা দম্পতি বেন অ্যাফ্লেক ও জেনিফার লোপেজ। বিচ্ছেদের পর বছর পার হয়েছে কিন্তু এ বিষয়ে দুই তারকার কেউই তেমন কথা বলেননি। এবার সিবিএস নিউজ সানডে মর্নিং অনুষ্ঠানে এসে বিচ্ছেদ নিয়ে প্রথমবার সবিস্তার কথা বললেন লোপেজ।

একনজরে বেন-লোপেজের সম্পর্ক
প্রথম পরিচয়: ১৯৯৮ সালে, ‘আর্মাগেডন’ ছবির প্রিমিয়ারে।
প্রেম: ২০০২ সালে, ‘গিগলি’ সিনেমার সেটে।
প্রথম বাগ্‌দান: ২০০২ সালে, ২০০৩ সালে বিয়ে করার ঘোষণা।
প্রথম বিচ্ছেদ: ২০০৪ সালে বাগ্‌দান ভেঙে দিয়ে বিচ্ছেদের ঘোষণা।
পুনর্মিলন: ২০২১ সালে আবার প্রেম শুরু করেন বেন ও লোপেজ।
দ্বিতীয় বাগ্‌দান: ২০২২ সালে এপ্রিলে দ্বিতীয়বার বাগ্‌দান সারেন।
অবশেষে বিয়ে: ২০২২ সালের ১৬ জুলাই বিয়ে করেন এই তারকা জুটি।
বিচ্ছেদের আবেদন: ২০২৪ সালের ২০ আগস্ট বিচ্ছেদের আবেদন করেন লোপেজ।

২৮ সেপ্টেম্বর প্রচারিত অনুষ্ঠানে লোপেজ বলেন, বেনের সঙ্গে বিচ্ছেদের পর পর তাঁর উপলব্ধি ছিল, এটা তাঁর জীবনের ঘটে যাওয়া সেরা ঘটনা। বিচ্ছেদকে ‘সেরা ঘটনা’ বলার পেছনের কারণ ব্যাখ্যা করে এই গায়িকা-অভিনেত্রী বলেন, ‘এটা আমাকে বদলে দিয়েছে। এটা আমাকে এমনভাবে বেড়ে উঠতে সাহায্য করেছে, যেটা আমার জন্য দরকার ছিল।’

অ্যাফ্লেকের প্রতি কৃতজ্ঞতা
২০২৪ সালের আগস্টে লোপেজ বিচ্ছেদের আবেদন করেন; চূড়ান্ত হয় ২০২৫ সালের জানুয়ারি মাসে। ডিভোর্সের সময়ে লোপেজ শুটিং করছিলেন নতুন ছবি ‘কিস অব দ্য স্পাইডার ওমেন’-এর। এ সিনেমায় তাঁর সঙ্গে আরও অভিনয় করেছেন দিয়েগো লুনা ও টোনাটিউ। এটি ১৯৯৩ সালের ব্রডওয়ে মিউজিক্যাল থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে নির্মিত হয়েছে সিনেমাটি, যা মানুয়েল পুইগের ১৯৭৬ সালের উপন্যাসের ওপর ভিত্তি করে তৈরি। এই গল্প আগেও ১৯৮৫ সালে সিনেমার পর্দায় এসেছে, যেখানে অভিনয় করেছিলেন উইলিয়াম হার্ট, রাউল জুলিয়া ও সোনিয়া ব্রাগা। নতুন সংস্করণে জেনিফার লোপেজ প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন, যা তাঁর প্রথম মিউজিক্যাল চলচ্চিত্রও বটে।

বেন অ্যাফ্লেক ও জেনিফার লোপেজ। রয়টার্স

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • শহর ও গ্রামে সাবানের চাহিদার ভিন্নতা
  • তিন বছর ধরে অবৈধভাবে বগুড়ায় কঙ্গোর নাগরিক, জিম্মি-প্রতারণার পাল্টাপাল্টি অভিযোগ
  • লোপেজ বললেন, ‘বিচ্ছেদ জীবনের সেরা ঘটনা’
  • ‘বিশেষ বিবেচনায়’ হলে থাকেন শিবির সভাপতি, হয়েছেন ভিপি প্রার্থী