ইলিশের দাম নির্ধারণের প্রস্তাবে প্রধান উপদেষ্টার অনুমোদন
Published: 1st, July 2025 GMT
চাঁদপুরে ইলিশের দাম আকাশচুম্বী হওয়ায় এর দাম নির্ধারণ এবং সিন্ডিকেটের কবলে ইলিশের বাজার সম্পর্কীয় চাঁদপুরের ডিসির এমন চিঠি মন্ত্রীপরিষদ গুরুত্বের সঙ্গে আমলে নিয়েছে। শুধু তাই নয়, এটিকে আমলে নিয়ে প্রস্তাবটি প্রধান উপদেষ্টার কাছে উপস্থাপন করলে তিনি তা অনুমোদন করেছেন বলে গত ২৬ জুন মন্ত্রী পরিষদ বিভাগের সিনিয়র সহকারী সচিব মু.
ওই চিঠিতে জানানো হয়েছে, বিভাগীয় কমিশনার থেকে প্রাপ্ত জুন- ২০২৫ এর পাক্ষিক গোপনীয় প্রতিবেদন থেকে এটি প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহম্মদ ইউনূসের সামনে উপস্থাপিত হয়।
চিঠিতে বলা হয়, চাঁদপুরের ইলিশের সুস্বাদুতার সুযোগ নিয়ে চাঁদপুর ও আশেপাশের জেলার কতিপয় অসাধু ব্যবসায়ী/ আড়ৎদার নিজের ইচ্ছে মতো দাম হাঁকাচ্ছেন। যা একেবারই নাগালের বাহিরে। ইলিশের চড়ামূল্যের কারণে ইলিশের মূল্য জনসাধারণের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে যাচ্ছে। যেহেতু ইলিশ চাঁদপুরসহ অন্যান্য জেলাতেও ধরা পড়ে, তাই কেবলমাত্র চাঁদপুর জেলা প্রশাসক কর্তৃক ইলিশের মূল্য নির্ধারণ হলে এর ফলপ্রসূ প্রভাব পড়বে না। তাই চাঁদপুরের পাশাপাশি বরিশাল, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, ভোলা, পটুয়াখালী, বরগুনা, ঝালকাঠিসহ আরো অনেক নদী যেগুলো সাগর তীরবর্তী এলাকার জেলার নদীতে ধরা পড়ে।
প্রস্তাবে আরো বলা হয়, নদী বা সাগরে ইলিশ উৎপাদনে ইলিশের উৎপাদন খরচ না থাকলেও ইলিশ বাজার অসাধু ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেটের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রিত হয়ে থাকে। যেহেতু ইলিশ প্রাকৃতিকভাবে উৎপাদন হয়, সেহেতু ইলিশ আহরণ ও আনুষঙ্গিক ব্যয়ের প্রতি লক্ষ্য রেখে ইলিশের নির্ধারণ প্রয়োজন। আর এই মূল্য নির্ধারণে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহনের জন্য মৎস্য ও প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদান করা যেতে পারে। ইলিশ সংক্রান্ত এই প্রস্তাবে প্রধান উপদেষ্টা অনুমোদন দিয়েছেন বলেও চিঠিতে উল্লেখ করা হয় এবং এর বাস্তবায়নের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়ে এর অগ্রগতি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে মন্ত্রী পরিষদ বিভাগকে অবহিত করার জন্য অনুরোধ করা হয়।
এর আগে জুনের শেষদিকে চাঁদপুর ও দক্ষিণান্চলের ইলিশ প্রাপ্তির জায়গাগুলোতে ইলিশের আকাশচুম্বি দাম দেখে এবং সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে যাওয়ায় ইলিশের দাম নির্ধারণ করে দেয়ার জন্য এবং এর সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্য কমাতে মন্ত্রী পরিষদ এবং মৎস্য ও প্রানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিবদের ব্যবস্থা নেয়ার অনুরোধ চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোহসীন উদ্দিন। ঐ চিঠির অনুলিপি চট্টগ্রাম বিভাগের বিভাগীয় কমিশনারকেও পাঠান তিনি। বিশেষ করে তিনি চাঁদপুরের ইলিশের দাম ধরা ছোঁয়ার বাইরে চলে যাওয়ায় এবং এখনো যেটি মওসুমের শুরু থেকেই অব্যহত থাকায় প্রশাসনসহ ভোক্তা মহলে চরম অসন্তোষ লক্ষ্যণীয়।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: প রস ত ব মন ত র ব যবস
এছাড়াও পড়ুন:
খুলনায় কৃষি ব্যাংকের লকার ভেঙে ১৬ লাখ টাকা লুট
খুলনার রূপসা উপজেলায় কৃষি ব্যাংকের একটি শাখা থেকে ১৬ লাখ টাকা লুটের ঘটনা ঘটেছে। দুর্বৃত্তরা প্রবেশ গেটের পাঁচটি তালা ও লকার ভেঙে এ অর্থ লুট করে।
তবে, শুক্রবার (১৫ আগস্ট) ব্যাংক বন্ধ থাকায় সেখানে নিজস্ব নিরাপত্তা প্রহরী ছিল না বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে কৃষি ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট শাখার ম্যানেজার (ব্যবস্থাপক) কামরুল ইসলাম বলেন, “ভল্টে ১৬ লাখ ১৬ হাজার টাকা ছিল, যা দুর্বৃত্তরা লুট করেছে।”
পুলিশ ও ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, ব্যাংকটি পূর্ব রূপসা পেট্রোল পাম্প ও পূর্ব রূপসা বাসস্ট্যান্ড পুলিশ ফাঁড়ির কাছে খুলনা-মোংলা মহাসড়কের পাশে অবস্থিত। বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টার মধ্যে যেকোনো সময়ে লুটের ঘটনা ঘটতে পারে।
শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টায় নিরাপত্তা প্রহরী আবুল কাশেম ব্যাংকে গিয়ে দেখেন মেইন গেটের তালা ভাঙা। ভেতরে ঢুকে তিনি দেখেন মূল গেট ও লকারও ভাঙা অবস্থায় রয়েছে এবং সবকিছু এলোমেলো। তিনি বিষয়টি ব্যাংক কর্তৃপক্ষকে জানান। পরে ব্যাংকের ক্যাশিয়ার পুলিশের উপস্থিতিতে লেজার ও ক্যাশ মিলিয়ে দেখা যায় ১৬ লাখ ১৬ হাজার টাকা নেই। লুটপাটের আগে দুর্বৃত্তরা প্রতিটি সিসিটিভি ক্যামেরার ওপর রুমাল দিয়ে ঢেকে দিয়েছিল।
নিরাপত্তা প্রহরী আবুল কাশেম জানান, তার স্ত্রী অসুস্থ থাকার কারণে তিনি শুক্রবার সারাদিন ব্যাংকে ছিলেন না। তবে দুপুর ২টার দিকে তিনি একবার ব্যাংকে গিয়ে দেখেছিলেন সবকিছু ঠিক আছে। তার অনুমান, বিকেলের দিকে এ ঘটনা ঘটেছে।
রূপসা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মাহফুজুর রহমান বলেন, “বৃহস্পতিবার বিকেলে ব্যাংক বন্ধ হয়ে যায়। ওই দিন থেকে শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টার মধ্যে যেকোনো সময়ে ব্যাংকে লুটের ঘটতে পারে। আমরা ব্যাংক থেকে এবং আশপাশের ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহ করেছি। সেগুলোর বিশ্লেষণ করা হচ্ছে।”
ঢাকা/নুরুজ্জামান/এস