খুলনা শহরে দুই দিনের টানা বৃষ্টিপাতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। রয়েল মোড়, পিটিআই মোড়, ময়লাপোতা, সাত রাস্তাসহ বিভিন্ন স্থানে জলাবদ্ধতার কারণে নগরবাসীকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

সোমবার (৭ জুলাই) সকাল থেকেই মেঘে ঢেকে ছিল খুলনা মহানগরীর আকাশ। চলছিল গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি। দুপুর গড়ানোর পরে আরো ঘনীভূত হয় মেঘ। সোমবার বিকেল ৪টার দিকে শুরু হয় মাঝারি বর্ষণ। রাত ৯টা পর্যন্ত ৫৫ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। সোমবার রাতভর বৃষ্টিপাতের পর আজ মঙ্গলবার (৮ জুলাই) সকালে এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বৃষ্টিপাত চলছিল। 

শিক্ষার্থী, পথচারী, নগরবাসী ও ব্যবসায়ীদের বলছেন, সামান্য বৃষ্টিতেও খুলনার রয়েল মোড়সহ নানা জায়গায় জলাবদ্ধতা দেখা দেয়। কর্তৃপক্ষ দ্রুত পদক্ষেপ না নিলে জনভোগান্তি অব্যাহত থাকবে।

শিক্ষক বাহারুল ইসলাম বলেছেন, “বৃষ্টিতে রাস্তা তলিয়ে যাওয়ায় শিক্ষার্থীরা সময়মতো ক্লাসে আসতে পারে না। বিশেষ করে, মেয়েরা বেশি সমস্যায় পড়ে।”

রিকশাচালক জালাল মোল্লা বলেন, “রিকশা চালিয়ে আমার সংসার চালাতে হয়। বৃষ্টির দিনে ভাড়া কম হয়, ফলে সংসার চালাতে আমার কষ্ট হয়ে যায়।”

মডার্ন ফার্নিচার মোড়ের বাসিন্দা রিয়াজ হোসেন বলেন, “অপরিকল্পিত নগরায়ন, ড্রেনগুলো পরিষ্কার না করা, বৃষ্টির মৌসুমের আগে রাস্তা মেরামত ও ড্রেনগুলোর সংস্কার না করাসহ নানা কারণে জলাবদ্ধতায় ভুগতে হয় আমাদের।”

খুচরা সবজি বিক্রেতা নাসির ফরাজি বলেন, “বৃষ্টিতে কাস্টমার আসে না, সারা দিনে ৫০০ টাকার সবজি বিক্রি করতে পেরেছি।”

খুলনা আবহাওয়া অফিসের ইনচার্জ মো.

মিজানুর রহমান বলেছেন, “বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপের কারণে মাঝারি ধরনের ভারী বর্ষণ হচ্ছে। সোমবার রাত ৯টা পর্যন্ত খুলনায় ৫৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। বৃষ্টি আজ মঙ্গলবারও অব্যাহত থাকবে। বুধবার থেকে কিছুটা কমার সম্ভাবনা আছে।”

ঢাকা/নুরুজ্জামান/রফিক

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স মব র

এছাড়াও পড়ুন:

ছুটির দিনেও ঢাকার বায়ু অস্বাস্থ্যকর, বাসার বাইরে গেলে যেসব মানা জরুরি

আজ শুক্রবার ছুটির দিনের সকালে বিশ্বের ১২৭টি নগরীর মধ্যে ঢাকার অবস্থান ষষ্ঠ। আজ সকাল আটটার দিকে আইকিউএয়ারের ঢাকার গড় বায়ুমান ১৭৪। এই মান অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচনা করা হয়। আজ নগরীর সাত এলাকায় দূষণ অপেক্ষাকৃত বেশি।

ছুটির দিনে সাধারণত যানবাহন কম চলে, বেশির ভাগ কলকারখানাও বন্ধ থাকে। ঢাকার বায়ুদূষণের বড় উৎস এগুলো। তারপরও আজ দূষণ কমেনি।

বায়ুদূষণে আজ বিশ্বের নগরীগুলোর মধ্যে শীর্ষস্থানে আছে পাকিস্তানের শহর লাহোর, স্কোর ৩০৪। দ্বিতীয় স্থানে থাকা ভারতের দিল্লি নগরীর স্কোর ২১৫।

বায়ুদূষণের এ পরিস্থিতি তুলে ধরেছে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার। প্রতিষ্ঠানটি বায়ুদূষণের অবস্থা নিয়মিত তুলে ধরে। বাতাসের মান নিয়ে তৈরি করা এই লাইভ বা তাৎক্ষণিক সূচক একটি নির্দিষ্ট শহরের বাতাস কতটা নির্মল বা দূষিত, সেই সম্পর্কে মানুষকে তথ্য দেয় ও সতর্ক করে।

চলতি মাসের শুরু থেকে রাজধানীতে থেমে থেমে বৃষ্টি হয়েছে। বৃষ্টি হলে রাজধানীর দূষণ কমে। বছরে জুলাই সবচেয়ে কম দূষণের মাস। তবে বৃষ্টি থাকার পরও গত সেপ্টেম্বর মাসে একাধিক দিন ঢাকার দূষণ বেড়েছে। দু-এক দিন বিশ্বের শীর্ষ দূষিত নগরীর তালিকায়ও থেকেছে। অক্টোবর মাস থেকেই সাধারণত দূষণ বাড়তে থাকে। চলতি মাসের শুরু থেকেই কয়েক দিন বায়ুদূষণে শীর্ষ নগরীগুলোর একটি ছিল ঢাকা।

ঢাকার সাত এলাকায় দূষণ বেশি

নগরীর সাত এলাকায় দূষণ পরিস্থিতি বেশ খারাপ। এসব এলাকা হলো মিরপুরের ইস্টার্ন হাউজিং, গোড়ান, পুরান ঢাকার বেচারাম দেউড়ি, মাদানী অ্যাভিনিউয়ের বেজ এইজ ওয়াটার, কল্যাণপুর, গ্রেস ইন্টারন্যাশনাল স্কুল ও তেজগাঁওয়ের শান্তা ফোরাম।

নগরবাসীর জন্য পরামর্শ

আজ ঢাকার যে বায়ুমান তার পরিপ্রেক্ষিতে নগরবাসীর জন্য কিছু পরামর্শ দিয়েছে আইকিউএয়ার। এর মধ্যে আছে ঘরের বাইরে গেলে অবশ্যই মাস্ক পরে যেতে হবে, জানালা বন্ধ রাখতে হবে, ঘরের বাইরে ব্যায়াম যতটুকু সম্ভব এড়িয়ে যেতে হবে। আর যেসব এলাকায় বায়ুর মান অস্বাস্থ্যকর, সেসব এলাকায় অবশ্যই বাড়ির বাইরে গেলে মাস্ক পরতে হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ছুটির দিনেও ঢাকার বায়ু অস্বাস্থ্যকর, বাসার বাইরে গেলে যেসব মানা জরুরি