মিটফোর্ডের হত্যাকাণ্ড আইয়ামে জাহেলিয়াতের নৃশংসতাকেও হার মানিয়েছে: ফয়জুল করীম
Published: 12th, July 2025 GMT
রাজধানীর মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে ব্যবসায়ীকে পাথর দিয়ে হত্যার ঘটনা আইয়ামে জাহেলিয়াতের নৃশংসতাকেও হার মানিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের জ্যেষ্ঠ নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম। তিনি বলেন, ‘চাঁদা না পেয়ে এভাবে প্রকাশ্যে মানুষ হত্যা, এটা আইয়ামে জাহেলিয়াতের নৃশংসতাকেও হার মানিয়েছে। এই বর্বরতা আওয়ামী ফ্যাসিবাদের হত্যাযজ্ঞকেও ছাপিয়ে গেছে।’
আজ শনিবার বিকেলে বরিশাল নগরের সদর রোডের অশ্বিনীকুমার টাউন হলে ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশের জেলা ও মহানগর কমিটির যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
ফয়জুল করীম বলেন, ‘যখনই চাঁদাবাজ ধরা পড়ে, তখনই বহিষ্কার করা হয়। বিএনপি এ পর্যন্ত তিন হাজারের ওপর বহিষ্কার করেছে। কিন্তু বহিষ্কারে চাঁদাবাজি, খুন, জুলুম ফেরেনি। বহিষ্কার আসলে কিছুই না, আইওয়াশ, লোক দেখানো নিয়ম। তাঁরা বলে ব্যক্তি দোষ করলে দল তার দায়দায়িত্ব নেবে না। আমি মনে করি, আওয়ামী লীগ-বিএনপি দুর্নীতি, খুনের ফ্যাক্টরি। এই খুনের দায়দায়িত্ব তারেক জিয়া, মির্জা ফখরুল ও প্রশাসনকে নিতে হবে।’
ইসলামী আন্দোলনের এই নেতা বলেন, ‘আবরারকে যাঁরা হত্যা করেছে, তাঁরা বাংলাদেশের মেধাবী ছাত্র ছিল। কিন্তু এই ফ্যাক্টরিতে যাওয়ার পর তাঁরা খুনি হয়েছে। আজকে হাজারো মেধাবী আওয়ামী লীগ-বিএনপি করার কারণে ধর্ষক হয়েছে, চাঁদাবাজ হয়েছে।’ তিনি বলেন, মিটফোর্ডের এই খুনের ঘটনায় মামলা দেওয়া হয়েছে; কিন্তু পুলিশ গ্রহণ করেনি। পুলিশ এই মামলাকে ভিন্ন খাতে প্রভাবিত করতে ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। যতক্ষণ পর্যন্ত এই ঘটনা প্রকাশ না হয়েছে, ততক্ষণ পর্যন্ত কাউকে বহিষ্কার করা হয়নি।’
‘চাঁদা নিলে পুরস্কার, ধরা পড়লে বহিষ্কার আর ভাইরাল হলে গ্রেপ্তার’ মন্তব্য করে ফয়জুল করীম বলেন, ‘এক আবু সাঈদ হত্যায় আওয়ামী লীগকে ধ্বংস করে ফেলেছে। আর এক সোহাগ হত্যায় বিএনপির মসনদও ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে।’ তিনি বলেন, ‘আমাদের রাজনীতি মানুষের অধিকার ও কল্যাণ প্রতিষ্ঠার জন্য। রাজনীতি কোনোভাবেই মানুষ হত্যা, চাঁদাবাজি, সিন্ডিকেটবাজি কিংবা টেন্ডারবাজির জন্য নয়। রাজনীতিকে যারা অর্থ উপার্জনের হাতিয়ারে পরিণত করেছে, তারাই অতীতে দেশকে দুর্নীতিতে পাঁচবার বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন বানিয়েছে। জুলাই অভ্যুত্থানের মাধ্যমে যেভাবে আওয়ামী ফ্যাসিবাদ উৎখাত হয়েছে, ঠিক তেমনিভাবেই এই নব্য ফ্যাসিবাদীদেরও জনগণ উৎখাত করবে ইনশা আল্লাহ।’
ইসলামী যুব আন্দোলনের মহানগরের সভাপতি মাওলানা মুহাম্মদ রেজাউল করীমের সভাপতিত্বে এবং জেলার সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মো.
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ম হ ম মদ নগর র স বর শ ল ইসল ম ব এনপ আওয় ম
এছাড়াও পড়ুন:
পাঞ্জাবের আইনসভায় ইমরান ও তাঁর দলকে নিষিদ্ধ করার প্রস্তাব গৃহীত
পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ও তাঁর দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফকে (পিটিআই) ‘রাষ্ট্রবিরোধী’ আখ্যা দিয়ে তাদের নিষিদ্ধ করার দাবিতে পাঞ্জাবের প্রাদেশিক আইনসভায় গতকাল মঙ্গলবার একটি প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে।
দেশটির বর্তমান শাসক দল পাকিস্তান মুসলিম লিগ–নওয়াজ (পিএমএল-এন)–এর সঙ্গে পিটিআইয়ের চরম রাজনৈতিক উত্তেজনার মধ্যে এমন একটি সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।
এই সিদ্ধান্ত আসার কয়েক দিন আগে পাকিস্তানের আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) মহাপরিচালক লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরিফ চৌধুরী নাম উল্লেখ না করে ইমরান খানকে আক্রমণ করে বলেছিলেন, তিনি (ইমরান) সেনাবাহিনীবিরোধী বক্তব্য দিচ্ছেন এবং সেনাবাহিনীবিরোধী মনোভাব ছড়িয়ে দিচ্ছেন।
আহমেদ শরিফ চৌধুরী বলেছিলেন, ‘এ ধরনের বক্তব্য এখন আর রাজনীতির পরিধির মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই; বরং এগুলো জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকিতে পরিণত হয়েছে।’
তার পর থেকে পিএমএল-এন ও পিটিআই নেতাদের মধ্যে কথার লড়াই চলছে। পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ বলেছেন, ইমরান খান অতীতে কঠিন ভাষায় বিরোধী রাজনীতিকদের সমালোচনা করেছেন। তাই সামরিক বাহিনীর মুখপাত্রের মন্তব্য নিয়ে আপত্তি তোলার কোনো অধিকার তাঁর নেই।
সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে লক্ষ্য করে আইএসপিআরের মহাপরিচালকের মন্তব্যকে পিটিআই ‘অযৌক্তিক’ বলে অভিহিত করে কঠোরভাবে এর নিন্দা জানিয়েছে। পিটিআই জোর দিয়ে বলেছে, ইমরান খান জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি নন।
পিটিআইয়ের আইনপ্রণেতারা এদিন উপস্থিত ছিলেন না।পাঞ্জাবের প্রাদেশিক আইনসভায় মঙ্গলবার পিএমএল-এন আইনপ্রণেতা তাহির পারভেজ পিটিআইন নেতা ইমরান খান ও তাঁর দলকে নিষিদ্ধ করার প্রস্তাবটি আনেন। প্রাদেশিক পরিষদে প্রস্তাবটি গৃহীত হয়। পিটিআইয়ের আইনপ্রণেতারা এদিন পরিষদে উপস্থিত ছিলেন না।
রাওয়ালপিন্ডির আদিয়ালা কারাগারে ইমরান খানের সঙ্গে বৈঠক নিষিদ্ধ করার সরকারি সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে তাঁরা অধিবেশন বর্জন করেন।
পাকিস্তান আইএসপিআরের মহাপরিচালক লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরিফ চৌধুরী