কামিন্স তো ফিরেছেনই, অ্যাডিলেড টেস্টে অস্ট্রেলিয়ার স্কোয়াডে আরও যাঁরা আছেন
Published: 10th, December 2025 GMT
অবশেষে এবারের অ্যাশেজে প্যাট কামিন্স খেলতে যাচ্ছেন, এটা অ্যাডিলেডের স্কোয়াড ঘোষণার আগেই প্রায় নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল। আজ সেই আনুষ্ঠানিক ঘোষণাও এল।
চোটের পর দীর্ঘ পুনর্বাসন ও পুরো ফিট হওয়ার অপেক্ষা শেষে আবার ব্যাগি গ্রিন মাথায় অস্ট্রেলিয়ার হয়ে টস করতে দেখা যাবে কামিন্সকে। ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া আজ অ্যাডিলেড টেস্টের জন্য ১৫ জনের যে স্কোয়াড ঘোষণা করেছে, তাতে কামিন্সই একমাত্র সংযোজন।
পার্থ ও ব্রিসবেন দুই টেস্টেই ৮ উইকেটে জিতে অস্ট্রেলিয়া সিরিজে ২–০ ব্যবধানে এগিয়ে আছে। অ্যাডিলেডে ১৭ ডিসেম্বর শুরু হবে সিরিজের তৃতীয় টেস্ট।
এ বছর জুলাইয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজের পর থেকেই চোটের কারণে মাঠের বাইরে ছিলেন অস্ট্রেলিয়ার নিয়মিত অধিনায়ক কামিন্স। তাঁর জায়গায় অ্যাশেজের প্রথম দুই টেস্টে অধিনায়কত্ব করেছেন স্টিভেন স্মিথ। তবে অ্যাডিলেডে যে কামিন্সই অস্ট্রেলিয়ার হয়ে টস করতে নামবেন, সেটা পরিষ্কার অস্ট্রেলিয়ার কোচ অ্যান্ড্রু ম্যাকডোনাল্ডের কথাতেই, ‘আমরা মনে করি, সে এখন মাঠে নামার জন্য যতটা সম্ভব ভালোভাবে প্রস্তুত।’
চোট কাটিয়ে দলে টিকে গেছেন অভিজ্ঞ ওপেনার উসমান খাজা। স্কোয়াডে থাকলেও পিঠের চোটে দ্বিতীয় টেস্টে খেলতে পারেননি তিনি। তাঁর বদলে দলে নেওয়া হয়েছিল জশ ইংলিসকে। তবে ওপেনিংয়ে নয়, ইংলিস ব্যাটিং করেছিলেন মিডল অর্ডারে। আর পার্থের দ্বিতীয় ইনিংসের মতো ব্রিসবেনেও ওপেনিংয়ে জ্যাক ওয়েদারল্ডের সঙ্গে ব্যাট করেন ট্রাভিস হেড।
হেড যদি তাঁর ঘরের মাঠ অ্যাডিলেড ওভালে আবারও ওপেন করেন, তবে খাজাকে হয়তো ব্যাটিং অর্ডারে একটু নিচে দেখা যেতে পারে। ম্যাকডোনাল্ডও আভাস দিয়েছেন সেই সম্ভাবনার, ‘উজ্জি (খাজা) পুরো ফিট থাকার কথা। তারপর উইকেট দেখে ব্যাটিং অর্ডার ঠিক করব। অনেকে ধরে নেয় যেন সে শুধু ওপেনই করতে পারে। আসলে তা নয়।’
একাদশে ফিরতে পারেন অভিজ্ঞ স্পিনার ও টেস্টে ৫৬২ উইকেটের মালিক নাথান লায়নও। গ্যাবায় অস্ট্রেলিয়া পুরো পেস আক্রমণ নিয়ে নামায় ১২ বছরের মধ্যে প্রথমবার ঘরের মাঠে দর্শক হয়ে থাকতে হয়েছিল লায়নকে।
অ্যাডিলেডে স্পিন–বান্ধব উইকেট হলে লায়নের সুযোগ বাড়বে। সে ক্ষেত্রে কামিন্স–মিচেল স্টার্কের সঙ্গে আর একজন পেসারকেই হয়তো দেখা যাবে একাদশে। তার মানে স্কট বোল্যান্ড, মাইকেল নেসার ও ব্রেন্ডন ডগেটের মধ্যে সুযোগ পাবেন যেকোনো একজন।
অ্যাডিলেড টেস্টের জন্য অস্ট্রেলিয়ার স্কোয়াড:প্যাট কামিন্স (অধিনায়ক), স্টিভ স্মিথ, উসমান খাজা, ট্রাভিস হেড, জ্যাক ওয়েদেরাল্ড, মার্নাস লাবুশেন, অ্যালেক্স ক্যারি, ক্যামেরন গ্রিন, জশ ইংলিস, মিচেল স্টার্ক, নাথান লায়ন, মাইকেল নেসার, বো ওয়েবস্টার, স্কট বোল্যান্ড, ব্রেন্ডন ডগেট।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: উইক ট
এছাড়াও পড়ুন:
স্বপ্নের উড়াল যাত্রা, অস্ট্রেলিয়ার পথে রিশাদ
বিপিএলকে না করে বিগ ব্যাশে রিশাদ হোসেন।
পাঠক ঠিকই পড়ছেন। আসন্ন বিপিএলে দেখা যাবে না রিশাদ হোসেনকে। তাকে দেখা যাবে অস্ট্রেলিয়ায় বিগ ব্যাশ টুর্নামেন্টে। নিজের স্বপ্ন পূরণে যাত্রা শুরু করেছেন রিশাদ। রবিবার রাতে এক ফ্লাইটে যাচ্ছেন অস্ট্রেলিয়ায়।
টানা দ্বিতীয় মৌসুমে বিগ ব্যাশে দল পেয়েছেন রিশাদ। অস্ট্রেলিয়ার ফ্র্যাঞ্চাইজি টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন হোবার্ট হারিকেনস আবার বাংলাদেশের লেগ স্পিনারকে নিয়েছে। গত আসরেও রিশাদকে ড্রাফট থেকে দলে নিয়েছিল হোবার্ট। তবে, জাতীয় দলের ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফর ও পরে বিপিএলের জন্য সেবার খেলতে যাওয়া হয়নি তরুণ লেগ স্পিনারের।
আগামী ১৪ ডিসেম্বর শুরু হবে বিগ ব্যাশের নতুন আসর। ফাইনাল হবে আগামী বছরের ২৫ জানুয়ারি। বিপিএল শুরু হচ্ছে ২৬ ডিসেম্বর থেকে। এবার বিপিএলে খেলার চেয়ে বিগ ব্যাশকে বেছে নিয়েছেন তিনি। বিসিবি থেকেও মিলেছে সাড়া। আসরের সব ম্যাচ খেলার অনুমতি পেয়ে গেছেন রিশাদ।
কেন এই সিদ্ধান্ত? গত ৬ অক্টোবর হোবার্ট হারিকেনসের সংবাদ সম্মেলনে যোগ দিয়ে রিশাদ দিয়েছিলেন উত্তর, ‘‘একজন লেগ-স্পিনার হিসেবে, যদি আমি এই বিদেশি লিগে খেলতে পারি, তাহলে এটা আমার জন্য এবং আমার বোলিংয়ের জন্য ভালো হবে। আমি আমার দক্ষতা উন্নত করার সুযোগ পাব।’’
এই সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষেত্রে আরো কিছু ভাবনা কাজ করেছে তার, ‘‘আমি নিজেকে জিজ্ঞাসা করছিলাম, আমার খেলার উন্নতির জন্য আমি কী করতে পারি। তারপর আমি ভাবলাম, যদি আমি এই লিগগুলিতে খেলতে পারি, তাহলে এটি আমার জন্য উপকারী হবে। যদি আপনি দেখেন, ম্যাচগুলো বিভিন্ন ভেন্যুতে অনুষ্ঠিত হবে- আমার খেলার স্বপ্নের মাঠ।’’
রিশাদকে দলে নেয়ার পেছনে বড় ভূমিকা রেখেছেন রিকি পন্টিং। শেষ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৩ ওভারের স্পেলে ২৩ রানে ২ উইকেট পেয়েছিলেন রিশাদ। বিশ্বকাপের ম্যাচেই রিশাদে মন মজেছিলেন হোবার্টের হেড অব স্ট্র্যাটেজি রিকি পন্টিং।
কিংবদন্তি পন্টিংয়ের সঙ্গে কাজ করার অপেক্ষায় রিশাদ, ‘‘ছোটবেলায় পন্টিং আমার প্রিয় খেলোয়াড়দের একজন ছিলেন। আমি তার খেলা দেখতাম। আমি সত্যিই তার সঙ্গে কাজ করার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছি। খেলোয়াড়দের চেয়েও বেশি, আমি রিকি পন্টিংয়ের সঙ্গে কাজ করার এবং তার কোচিংয়ে খেলার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছি।’’
সাকিব আল হাসানের পর প্রথম বাংলাদেশি ক্রিকেটার হিসেবে বিগ ব্যাশে খেলার অপেক্ষায় রিশাদ। ২০১৪ সালে অ্যাডিলেইড স্ট্রাইকার্সের হয়ে দুটি ও ২০১৫ সালে মেলবোর্ন রেনেগেডসের হয়ে চারটি ম্যাচ খেলেন সাকিব। প্রথমবার তিনি সুযোগ পান ইয়োহান বোথার বদলি হিসেবে আর পরের বার খেলেন আন্দ্রে রাসেলের বদলি হয়ে। ড্রাফট থেকে সরাসরি সুযোগ পাওয়া রিশাদই প্রথম।
নিজের লক্ষ্যে জানাতে গিয়ে রিশাদ যোগ করেন, ‘‘একজন লেগ স্পিনার হিসেবে আমার কাজ হলো পাওয়ার প্লের পর উইকেট নেওয়া। আশা করি হোবার্টেও এটা অব্যাহত থাকবে। আমি আমার শক্তিতে বিশ্বাস করি এবং দিনের পর দিন আমি উন্নতি করার চেষ্টা করছি, এমনকি যদি তা মাত্র এক বা দুই শতাংশও হয়; ভবিষ্যতের কথা খুব বেশি না ভেবে।’’
ঢাকা/ইয়াসিন