দুর্নীতি-সন্ত্রাসের অভিযোগ পেলে প্রার্থিতা বাতিল: নাহিদ
Published: 10th, December 2025 GMT
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, “আমরা প্রাথমিক প্রার্থীতালিকা জনগণের কাছে উন্মুক্ত করেছি ভেরিফিকেশনের জন্য। যদি কারো বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ থাকে দুর্নীতি সন্ত্রাস বা ফ্যাসিজমের সঙ্গে জড়িত বা জড়ানোর, তাহলে তার প্রার্থিতা বাতিল হবে। আমাদের এই প্রক্রিয়া চলমান আছে এবং থাকবে।”
বুধবার (১০ ডিসেম্বর) রাজধানীর বাংলামোটরে দলটির অস্থায়ী কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
এনসিপির আহ্বায়ক বলেন, “আমরা কোনো আসন বিশেষ কারো জন্য ফাঁকা রাখিনি। আমরা যে কয়টা আসন এখন পর্যন্ত প্রাথমিকভাবে চূড়ান্ত হতে পেরেছি, আমাদের যে মনোনয়ন বোর্ড রয়েছে, তারা আমাদের কাছে যে রিপোর্ট দিয়েছেন, সে অনুযায়ী আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি।”
তিনি “আমাদের দলের বাইরেও আমরা নমিনেশন দিতে চাই। আমাদের প্রার্থীতালিকায় সে প্রতিফলন আপনারা দেখেছেন। আমাদের সাংগঠনিক কাজ যারা করছেন, এর বাইরে থেকেও আমরা বিভিন্ন পেশার মানুষ রয়েছেন— শিক্ষক, ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার রয়েছেন; আমাদের প্রবাসী বাংলাদেশিরা রয়েছেন, তাদেরকেও আমরা মনোনয়ন দিয়েছি।”
নাহিদ ইসলাম বলেন, “আমাদের এই মনোনয়ন তালিকা হবে অন্তর্ভুক্তিমূলক। সেখানে নারী, পুরুষ, সংখ্যালঘু বিভিন্ন শ্রেণি, পেশা— সবকিছুর সমন্বয় আমরা করব। আমরা প্রাথমিক ১২৫ জনের তালিকায় সেই রেশিওটা মেইনটেন করার চেষ্টা করেছি। আমাদের ৩০০ জনের তালিকাতেও আমরা সেই রেশিওগুলো মেইনটেন করব।”
এনসিপির শীর্ষ নেতা বলেন, শাপলাকলির প্রাথমিক মনোনয়নে যারা বিবেচিত হয়েছেন, তাদেরকে অভিনন্দন জানাই। যারা প্রাথমিক তালিকায় আসতে পারেননি, তাদের প্রতি আহ্বান থাকবে যে, আমরা অবশ্যই আপনাদের বিষয়ে বিবেচনা করব।
নাহিদ ইসলাম বলেন, “৩০০ আসনে চূড়ান্তভাবে মনোনয়ন দেওয়ার আগ পর্যন্ত আমাদের দলে সুযোগ আছে। যেসব আসনে এখনো মনোনয়ন দেওয়া হয়নি, অথবা যেসব আসনে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে, কিন্তু তার চেয়েও ভালো প্রার্থী পাওয়ার সম্ভাবনা আছে, সেসব ক্ষেত্রে বিবেচনা করা হবে। যদি কোনো প্রার্থীর বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকে, তবে তার মনোনয়ন বাতিল করা হতে পারে। যেসব আসনে এখনো মনোনয়ন দেওয়া হয়নি, সেখানে ভালো কোনো প্রার্থী পাওয়া গেলে তাকে মনোনয়ন দেওয়া হবে।”
ঢাকা/রায়হান/রফিক
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আম দ র ও আমর
এছাড়াও পড়ুন:
পদত্যাগ করলেন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম ও আসিফ মাহমুদ
অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টার পদ থেকে পদত্যাগ করলেন মাহফুজ আলম ও আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া। তাঁরা পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন বলে আজ বুধবার সন্ধ্যায় প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের একটি সূত্র প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছে।
জুলাই অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া ছাত্রদের প্রতিনিধি হিসেবে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা ছিলেন মাহফুজ আলম ও আসিফ মাহমুদ। মাহফুজ তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় এবং আসিফ মাহমুদ স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের পাশাপাশি যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার দায়িত্ব পালন করছিলেন।
২০২৪ সালের ৫ আগস্ট জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ৮ আগস্ট অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়। এতদিন উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য প্রধান উপদেষ্টাসহ ২৩ জন ছিলেন। তাঁদের মধ্যে দুজন ছাত্র প্রতিনিধি পদত্যাগ করলেন।
সরকার গঠনের সময় উপদেষ্টা পরিষদে ছিলেন ছাত্র প্রতিনিধি মো. নাহিদ ইসলাম। পরে গত ২৫ ফেব্রুয়ারি তিনি পদত্যাগ করে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক হন। এনসিপি গঠন করেছেন জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া তরুণেরা।
মাহফুজ আলম শুরুতে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ছিলেন। নিয়োগ পান গত বছরের ২৮ আগস্ট। পরে ১০ নভেম্বর তিনি উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নেন। তবে সে সময় তাঁকে কোনো মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়নি। নাহিদ ইসলাম পদত্যাগ করার পর তাঁকে তথ্য উপদেষ্টার দায়িত্ব দেওয়া হয়।
অন্যদিকে আসিফ মাহমুদ শুরুতে ছিলেন শ্রম মন্ত্রণালয় এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে। এ এফ হাসান আরিফকে (প্রয়াত) সরিয়ে আসিফ মাহমুদকে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয় গত বছরের নভেম্বরে। এরপর থেকে তিনি স্থানীয় সরকার এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব সামলেছেন।