হাইসেন্সের তৈরি টেলিভিশন, রেফ্রিজারেটর, এয়ার কন্ডিশনারসহ বিভিন্ন প্রযুক্তিপণ্য বিক্রি করবে দারাজ বাংলাদেশ। এ বিষয়ে বাংলাদেশে হাইসেন্সের অনুমোদিত উৎপাদক ও পরিবেশক ফেয়ার ইলেকট্রনিকসের সঙ্গে চুক্তিও করেছে ই-কমার্স সাইটটি। চুক্তির আওতায় দেশের যেকোনো প্রান্তে থাকা ক্রেতারা ঘরে বসেই হাইসেন্সের তৈরি পণ্য সংগ্রহ করতে পারবেন। গতকাল বুধবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে দারাজ বাংলাদেশ।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সম্প্রতি ফেয়ার গ্রুপ কার্যালয়ে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে দারাজে হাইসেন্সের তৈরি প্রযুক্তিপণ্য বিক্রির বিষয়ে চুক্তি হয়েছে। চুক্তিতে সই করেন ফেয়ার গ্রুপের চেয়ারম্যান মো.

রুহুল আলম আল মাহবুব এবং দারাজ বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও দারাজ গ্রুপের প্রধান বাণিজ্যিক কর্মকর্তা বেন ই। অনুষ্ঠানে হাইসেন্স ইন্টারন্যাশনালের দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক (জিএম) জেসন ওয়াংসহ তিন প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে ফেয়ার গ্রুপের পরিচালক মুতাসসিম দায়ান বলেন, দারাজের নেটওয়ার্কের মাধ্যমে হাইসেন্সের বিশ্বমানের প্রযুক্তি আরও বেশি মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে পারব বলে আমরা আশাবাদী। এই অংশীদারত্ব ক্রেতাদের অনলাইনে কেনাকাটার অভিজ্ঞতাকে আরও সহজ করবে।

দারাজ বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বেন ই বলেন, এই চুক্তির মাধ্যমে আমরা দেশের ই-কমার্স খাতের প্রসারে ভূমিকা রাখতে পারব। গ্রাহকদের কাছে সেরা ও উদ্ভাবনী পণ্য পৌঁছে দিয়ে তাঁদের সন্তুষ্টি অর্জনই আমাদের লক্ষ্য। সেরা ব্র্যান্ডগুলোর সঙ্গে এমন অংশীদারত্বের মাধ্যমে দক্ষিণ এশিয়ায় ই-কমার্সে শীর্ষস্থান ধরে রাখার কৌশল আমরা অব্যাহত রাখব।

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

পুকুরে মাছ ধরতে নেমে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে দুজনের মৃত্যু

শরীয়তপুরের গোসাইরহাটে পুকুরে মাছ ধরার সময় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে দুই ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। 

মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) সকালে গোসাইরহাট উপজেলার কোদালপুর ইউনিয়নের বকাউল পাড়ায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। 

আরো পড়ুন:

যবিপ্রবিতে বাতাস হলেই বিদ্যুৎ চলে যায়, অভিযোগ শিক্ষার্থীদের

বিদ্যুৎ আমদানির অর্থ পরিশোধে নিয়ম সহজ করল কেন্দ্রীয় ব্যাংক

নিহতরা হলেন— কোদালপুর ইউনিয়নের পার্শ্ববর্তী গ্রাম দেওয়ান পাড়ার হানিফা মোল্লার ছেলে নূরে আলম মোল্লা (৪০) ও আলমগীর দপ্তরি (৫২)। 

পুলিশ জানিয়েছে, দেওয়ান পাড়ার নূরে আলম ও আলমগীর সোমবার দিবাগত মধ্যরাতে পাশের এলাকা বকাউল পাড়ার বিলের একটি পুকুরে মাছ ধরতে পানি সেচে ফেলার জন্য বৈদ্যুতিক মোটর স্থাপন করেন। মঙ্গলবার ভোরে মাছ ধরার মুহূর্তে তারা দুজনেই বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে পড়েন। স্থানীয়রা তাদেরকে উদ্ধার করে গোসাইরহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে চিকিৎসক দুজনকেই মৃত ঘোষণা করেন। এ ব্যাপারে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

নিহত নূরে আলম মোল্লার ছেলে নিরব বলেছেন, সোমবার রাতে আমার বাবা আলমগীর কাকার সঙ্গে মাছ ধরতে গিয়েছিল। আমি ভোরে ফজরের নামাজ পড়ে বিলে গিয়ে দেখি, বাবা ও আলমগীর কাকা বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মাটিতে পড়ে আছেন। তখন আমি দৌড়ে কারেন্টের মেইন সুইচ বন্ধ করে লোকজনকে ডাক দিই। তারা এসে বাবা ও কাকাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে ডাক্তার তাদেরকে মৃত ঘোষণা করেন।

শরীয়তপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গোসাইরহাট সার্কেল) শামসুল আরেফীন বলেছেন, মাছ ধরতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে দুজনের মৃত্যুর খবর পেয়েছি। এ ঘটনায় নিহতদের পরিবার থেকে অভিযোগ দেওয়া হয়নি। এ বিষয়ে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

ঢাকা/আকাশ/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ