গাজীপুরের চান্দনায় চাঁদাবাজীর সংবাদ প্রকাশের জেরে প্রতিদিনের কাগজ এর স্টাফ রিপোর্টার আসাদুজ্জামান তুহিনকে প্রকাশ্যে নৃশংসভাবে হত্যার প্রতিবাদে ও দোষীদের ফাঁসির দাবীতে বন্দর উপজেলা পেশাজীবী সাংবাদিকদের উদ্যোগে প্রতিবাদ সভা ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

শনিবার (৯ আগষ্ট) বেলা ৩ ঘটিকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মদনপুর বাস স্ট্যান্ডে প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। 

প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন এস এম নাসের (ইনকিলাব), নুরুজ্জামান মোল্লা (মানবজমিন), দ্বীন ইসলাম হীরা (ভোরের কাগজ), আক্তার হোসেন(নাগরিক টিভি), সুমন হাসান(চ্যানেল এস), মনির হোসেন (বাংলাদেশের আলো), আক্তার হোসেন(নওরোজ), সোহেল প্রধান(মুক্ত খবর), সানাউল্লা মুন্সি (প্রাইম টিভি), শাহিন সাকি(মুক্ত খবর), আনোয়ার হোসেন(রুদ্রবার্তা), জহিরুল আলম আবু (বিজয়), আব্দুল কাদের(অপরাধ জগত), শামীম হোসাইন হৃদয় (অগ্রবানী), সালমা আক্তার (স্বদেশ বিচিত্রা), ইব্রাহীম মিয়া(সময়ের কাগজ) ও জহিরুল ইসলাম (আলোর জগত)।

বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তারা অনতিবিলম্বে দৈনিক সময়ের কাগজ পত্রিকার তুহিন হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান। 
 

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: হত য ন র য়ণগঞ জ

এছাড়াও পড়ুন:

কোটিপতি হলেও পরিচ্ছন্নতা কর্মীর কাজ করেন তিনি

পর্যাপ্ত অর্থ সঞ্চয় করতে পারলেই আমাদের অনেকে কায়িক পরিশ্রম ছেড়ে দেন। আরাম-আয়েশে জীবন কাটান। কিন্তু সবাই তা করেন না। এমন একজন জাপানের কোইচি মাতসুবারা। ৫৬ বছর বয়সী এই জাপানি নাগরিকের বার্ষিক আয় প্রায় ৩ কোটি ইয়েন (প্রায় ২ কোটি ৫০ লাখ টাকা) হওয়া সত্ত্বেও তিনি এখনো নিয়মিত পরিচ্ছন্নতাকর্মীর কাজ করেন।

মাতসুবারা সপ্তাহে তিন দিন, প্রতিদিন চার ঘণ্টা করে কাজ করেন। তিনি সরকারি পরিচ্ছন্নতাকর্মী হিসেবে কাজ করেন। এ কাজের অংশ হিসেবে তাঁকে ছোটখাটো রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব পালন করতে হয়।

এ কাজ থেকে মাতসুবারা মাসে ১ লাখ ইয়েন (প্রায় ৮২ হাজার ৬৪ টাকা) আয় করেন, যা টোকিওর গড় বেতনের তুলনায় অনেক কম। তারপরও তিনি এ কাজ করেন। কারণ, তিনি এটাকে শারীরিক সক্রিয়তা ও মানসিক প্রশান্তির উপায় হিসেবে দেখেন।

মাতসুবারা ছোটবেলা থেকেই সঞ্চয়ী ছিলেন। মাধ্যমিকের পর তিনি একটি কারখানায় মাসে ১ লাখ ৮০ হাজার ইয়েন (প্রায় ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা) বেতনে কাজ শুরু করেন। খরচ বাঁচিয়ে কয়েক বছরে প্রায় ৩০ লাখ ইয়েন (২৯ লাখ ২৫ হাজার টাকা) সঞ্চয় করে তিনি প্রথম স্টুডিও ফ্ল্যাট কিনেছিলেন।

পরে বাড়ি কেনার ঋণ আগেভাগে পরিশোধ করে ধীরে ধীরে আরও ফ্ল্যাট কেনেন এবং বিনিয়োগ বৃদ্ধি করেন মাতসুবারা। এখন টোকিও ও এর শহরতলিতে তাঁর সাতটি ফ্ল্যাট রয়েছে, যার সবই ভাড়া দিয়েছেন। পাশাপাশি তিনি শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ করেছেন।

ধনবান হলেও মাতসুবারা সাদাসিধে জীবন যাপন করেন। এখনো তিনি সস্তা ফ্ল্যাটে থাকেন, নিজের খাবার নিজে বানান, নতুন জামাকাপড় কেনেন না, সাধারণ স্মার্টফোন ব্যবহার করেন এবং প্রধানত সাইকেলে চলাচল করেন। তাঁর জীবনদর্শন—‘প্রতিদিন কিছু না কিছু করার আশা করি, সুস্থ থাকতে চাই এবং নিজেকে নিয়ে চিন্তা করতে চাই।’

স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে মাতসুবারাকে ‘অদৃশ্য কোটিপতি’ বলে উল্লেখ করা হয়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাঁর গল্প ছড়িয়ে পড়েছে। জাপানে ধনীদের এমন সাধারণ জীবনধারা অস্বাভাবিক নয়। দেশটিতে সাদাসিধে জীবনযাপন অনেকের মধ্যে দেখা যায়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ