অপূর্বর পারিবারিক মুহূর্তের ভিডিওর বিকৃত প্রচারণা, আইনি পদক্ষেপ
Published: 9th, August 2025 GMT
অভিনেতা অপূর্বর ব্যক্তিগত জীবনের একটি সুন্দর মুহূর্তকে বিকৃত করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে নানা ভুয়া ও বিভ্রান্তিকর তথ্যসহ। বিষয়টি নিয়ে তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এবং বাংলাদেশ সাইবার ক্রাইম ইউনিটে আনুষ্ঠানিকভাবে অভিযোগ দায়ের করেছেন। পুলিশের অভিযানে ইতিমধ্যে তিনজনকে আটক করা হয়েছে, বাকিদের ধরতে আইনের আওতায় আনার চেষ্টা চলছে বলে জানালেন এই অভিনেতা।
অপূর্বর অভিযোগ, কিছু ভুঁইফোড় ইউটিউব চ্যানেল ও ফেসবুক পেজ তাঁর শেয়ার করা একটি পারিবারিক মুহূর্তকে ব্যবহার করে মিথ্যা গল্প বানিয়েছে, ভুয়া শিরোনাম দিয়েছে এবং দর্শক টানার জন্য তা ভাইরাল করেছে। এতে সাধারণ মানুষ বিভ্রান্ত হওয়ার পাশাপাশি তাঁর পরিবারকেও অপমান করা হয়েছে।
ঘটনার সূত্রপাত ৭ মাস যুক্তরাষ্ট্রে থাকার পর দেশে ফেরার দিন থেকে। দেশে ফিরে প্রথমেই তিনি ছুটে যান ছেলে জায়ান ফারুক আয়াশের কাছে। গভীর ঘুমে থাকা ছেলেকে স্নেহমাখা স্পর্শে জাগিয়ে দেন বাবা। প্রিয় মানুষকে সামনে দেখে আবেগে ভেসে ওঠে আয়াশ, খুশির কান্নায় বাবাকে জড়িয়ে ধরে। বাবা-ছেলের এই নিখাদ ভালোবাসার মুহূর্তটি অপূর্ব নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শেয়ার করেন। গত ৫ আগস্ট বেলা ১টা ৫১ মিনিটে প্রকাশিত এ ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়। ভিডিওটি প্রায় ২ লাখ ৬০ হাজার রিঅ্যাক্ট হয়, মন্তব্য জমা হয় ৩ হাজারের বেশি। শেয়ার হয়েছে ২ হাজার। তবে কেউ কেউ এ ভিডিওর অপপ্রচার করে এবং ঘটনার বিকৃত উপস্থাপন করে।
শুক্রবার (৮ আগস্ট) দেওয়া দীর্ঘ ফেসবুক স্ট্যাটাসে অপূর্ব লেখেন, ‘কিছু মানুষের সত্য-মিথ্যার বোধ নেই, ন্যূনতম সম্মানবোধও নেই। কিছু মানুষের গসিপ আর মিথ্যার কারখানা সমাজকে বিষাক্ত করে। আর কিছু গড়পড়তা মানুষ যাচাই না করেই শেয়ার করেন, রিঅ্যাক্ট দেন, ভুল বিচার করেন। সন্তানের প্রতি বাবা-মায়ের ভালোবাসা নিয়েও চলে নোংরা বিচার ও আজেবাজে মন্তব্য—এটা শুধু লজ্জাজনকই নয়, চরম অমানবিকও।’
তিনি আরও লিখেছেন, ‘যাদের পরিবার তাদের ভেতর কোনো মূল্যবোধ তৈরি করতে ব্যর্থ হয়েছে, যাদের সমাজ মানবিকতা তৈরি করতে ব্যর্থ হয়েছে—তাদের কাছে কোনো জ্ঞান দিয়ে লাভ নেই। যাদের মস্তিষ্ক ও হৃদয়ে নেগেটিভিটির ক্যানসার, তাদের কাছে মা-বাবার ভালোবাসা প্রমাণ করার দরকার নেই। প্রতিটি বাবা-মায়ের কাছে তাঁর সন্তান জীবনের সবচেয়ে বড় অংশ। সন্তানের প্রতিটি হাসি, প্রতিটি কান্না, প্রতিটি অর্জন তাঁরা হৃদয়ে অনুভব করেন। সন্তানের হাসি-কান্না ও অনুভূতি পিতা-মাতার প্রতিটি দিনকে করে তোলে উজ্জ্বল ও অর্থবহ।’
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: য় র কর
এছাড়াও পড়ুন:
কাশবনের হাতছানিতে ব্রহ্মপুত্রের তীরে ভিড়
চারদিকে জেগে ওঠা ব্রহ্মপুত্র নদের বালুচর। এর মাঝখানে স্বচ্ছ পানির আধার। ওপরে নীল আকাশে ভেসে বেড়ানো সাদা মেঘ। আর চরজুড়ে শুভ্র কাশফুল। প্রকৃতির দানেই তৈরি হয়েছে এ মনোমুগ্ধকর দৃশ্য। বাতাসে দুলতে থাকা কাশফুলের এ সৌন্দর্য ভ্রমণপিপাসুদের মনে দেয় একধরনের প্রশান্তি। তাই প্রতিদিনই দূরদূরান্ত থেকে মানুষ ভিড় করছেন এখানে।
এ অপার সৌন্দর্যের দেখা মিলবে জামালপুর শহরের ফৌজদারি এলাকার ব্রহ্মপুত্র নদের তীরে। প্রতিদিন বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত নদের ধারে ভিড় করছেন বিভিন্ন বয়সী মানুষের। সবাই নিজেদের মতো করে ছবি তুলছেন, কেউবা কাশফুল ছিঁড়ে তৈরি করছেন তোড়া।
গত মঙ্গলবার বিকেলে গিয়ে দেখা যায়, শহরের মোড় থেকে শুরু করে নদের তীর পর্যন্ত মানুষের ভিড়। ছোট্ট একটি সেতু পার হয়ে সবাই ছুটছেন নদীর ধারে। প্রায় এক কিলোমিটারজুড়ে ফুটেছে কাশফুল। সবুজ লম্বা পাতার বুক থেকে বেরিয়ে আসা শুভ্র কাশফুল কোথাও থোকা থোকা, কোথাও গুচ্ছ আকারে। দূর থেকে মনে হবে, বালুচরে যেন সাদা চাদর বিছানো। হাওয়ায় দুলে ওঠা কাশফুলে মন ভরে যাচ্ছে দর্শনার্থীদের।
চরের যে অংশে কাশবনের সৃষ্টি হয়েছে, সেখানে জনবসতি নেই। আছে স্বচ্ছ পানির লেকের মতো একটি ডোবা। কাশফুলঘেরা সেই পানিতে ডিঙিনৌকা নিয়ে ঘুরছেন দর্শনার্থীরা। শহরের বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা মানুষ কেউ ছবি তুলছেন, কেউবা সন্তানদের নিয়ে খেলায় মেতে উঠেছেন।