জামালপুরে লোকালয়ে বন্য হাতির পাল, ধানখেত নষ্ট
Published: 12th, August 2025 GMT
জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলার সীমান্তবর্তী ধানুয়া কামালপুর ইউনিয়নের বালুরচর গ্রামে ধানখেত, আলুখেত, কলা ও অন্যান্য গাছের বাগান নষ্ট করেছে ভারত থেকে আসা বুনো হাতির পাল। গতকাল সোমবার রাত ১০টা থেকে আজ মঙ্গলবার ভোর পর্যন্ত গ্রামটিতে ছিল এই হাতির পাল।
এলাকার কয়েকজন বাসিন্দা জানান, কয়েক সপ্তাহ ধরে প্রায় ৪০টি হাতির একটি পাল সীমান্তবর্তী পাহাড়ে অবস্থান করছিল। হঠাৎ হাতির পালটি গত রাতে বালুরচর গ্রামের লোকালয়ে ঢুকে পড়ে। আতঙ্কে গ্রামবাসী নির্ঘুম রাত কাটান। গ্রামবাসীর হইহুল্লোড়, মশালের আলো ও ঢাকঢোল পেটানোর শব্দে হাতির পাল ঘরবাড়িতে ঢুকতে পারেনি। তবে বিস্তীর্ণ ধানখেত তছনছ করে গেছে। সারা রাত হাতির পাল তাণ্ডব চালিয়ে আজ মঙ্গলবার ভোরে পাহাড়ের দিকে চলে গেছে।
বকশীগঞ্জের এলিফ্যান্ট রেসপন্স টিমের সদস্য মো.
বকশীগঞ্জের ডুমুরতলা বন বিট কার্যালয়ের কর্মকর্তা রকিবুল হাসান প্রথম আলোকে বলেন, ‘ওই গ্রামে হাতির পাল ঢোকার খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে চারটি দল পাঠানো হয়েছে। তারা এখনো ওই এলাকায় অবস্থান করছে। হাতির পালগুলো গ্রামের বেশ কিছু ধানখেত নষ্ট করেছে। তবে কোনো ঘরবাড়ির ক্ষতি করেনি। আমাদের দলের সদস্যরা মাইকিং করে গ্রামবাসীকে সতর্ক করেছেন, যাতে তাঁরা হাতির পালের একদম কাছে না যান। আমরা গ্রামবাসীদের সতর্ক করে যাচ্ছি, হাতির ক্ষতি করা যাবে না। হাতির কারণে যাঁরা ক্ষতিগ্রস্ত হন, তাঁদের ক্ষতিপূরণের জন্য সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরে আবেদন করে থাকি। সেই অনুযায়ী ক্ষতিগ্রস্ত গ্রামবাসী ক্ষতিপূরণও পেয়ে থাকেন।’
বকশীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মাসুদ রানা প্রথম আলোকে বলেন, সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানকে ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা করে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে গ্রামের মানুষকে সতর্ক হওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ব ল রচর গ র ম গ র মব স ধ নখ ত প রথম
এছাড়াও পড়ুন:
আরো ৭ দেশে ব্র্যান্ড বিজনেস সম্প্রসারণ ওয়ালটনের
বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ গ্লোবাল ইলেকট্রনিক্স ব্র্যান্ড হয়ে উঠার লক্ষ্য নিয়ে আন্তর্জাতিক বাজারে এগিয়ে যাচ্ছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত টেক জায়ান্ট ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসি। সেই লক্ষ্য অর্জনে বৈশ্বিক বাজার সম্প্রসারণে ব্যাপক সাফল্য দেখাচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি।
প্রতিনিয়ত ইউরোপ, আমেরিকা, এশিয়া, মধ্যপ্রাচ্য ও আফ্রিকার নতুন নতুন দেশে নিজস্ব ব্র্যান্ড বিজনেস সম্প্রসারণ করে চলেছে পুঁজিবাজারের তালিকাভুক্ত অন্যতম শীর্ষ এই প্রতিষ্ঠান। এরই ধারাবাহিকতায় ২০২৪-২৫ অর্থবছরে নতুন ৭টি দেশে সম্প্রসারিত হয়েছে ওয়ালটনের ব্র্যান্ড বিজনেস।
ওয়ালটন গ্লোবাল বিজনেস শাখার সূত্রমতে, গত অর্থবছরে ওয়ালটনের ব্র্যান্ড বিজনেস সম্প্রসারণকৃত দেশের তালিকায় রয়েছে উত্তর ও মধ্য আমেরিকায় অবস্থিত ক্যারিবিয়ান দ্বীপ বার্বাডোস, ওশেনিয়া অঞ্চলের দ্বীপরাষ্ট্র ফিজি ও ভানুয়াতু, আফ্রিকা মহাদেশের ক্যামেরুন ও ক্যাপভার্ড এবং এশিয়ার শ্রীলঙ্কা ও সিঙ্গাপুর।
আরো পড়ুন:
ওয়ালটন হেডকোয়ার্টার্স পরিদর্শন করলেন ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজের প্রতিনিধিরা
এবার ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জে ওয়ালটনের ব্র্যান্ড বিজনেস সম্প্রসারণ
আন্তর্জাতিক বাজার কার্যক্রম সম্প্রসারণ প্রসঙ্গে ওয়ালটনের গ্লোবাল বিজনেস ডিভিশনের প্রধান আব্দুর রউফ বলেন, “পণ্যের সর্বাধুনিক উদ্ভাবনী প্রযুক্তি, টেকসই ও উচ্চ গুণগতমান, বিদ্যুৎ সাশ্রয়, পরিবেশবান্ধব এবং মূল্য প্রতিযোগিতা সক্ষমতায় আন্তর্জাতিক বাজারে অন্যান্য ব্র্যান্ডের চেয়ে এগিয়ে রয়েছে ওয়ালটন। ফলে বৈশ্বিক বাজারে ওয়ালটন ব্র্যান্ড অতি অল্প সময়ের মধ্যে ক্রেতাদের আস্থা অর্জন করে নিতে সক্ষম হচ্ছে। এরই প্রেক্ষিতে নতুন নতুন দেশে প্রতিনিয়ত ব্র্যান্ড বিজনেস সম্প্রসারণ করে চলেছে ওয়ালটন।”
তিনি বলেন, “গত এক বছরে (২০২৪-২৫) নতুন ৭টি দেশের বাজারে ওয়ালটন ব্র্যান্ড বিজনেস কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে।”
আব্দুর রউফ জানান, চলতি দশকের শুরু থেকে বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় গ্লোবাল ইলেকট্রনিক্স ব্র্যান্ডের তালিকায় স্থান করে নেওয়ার লক্ষ্য নিয়ে আন্তর্জাতিক বাজারে সফলতার সঙ্গে এগিয়ে যাচ্ছে ওয়ালটন। সেই লক্ষ্য অর্জনে ইউরোপ, আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়াসহ উন্নত বিশ্বের বাজারে নিজস্ব ব্র্যান্ড বিজনেস সম্প্রসারণে কাজ করছে ওয়ালটন। সেজন্য সুদক্ষ এবং চৌকস গ্লোবাল বিজনেস টিম গঠন করা হয়েছে।পাশাপাশি কয়েকটি দেশে সাবসিডিয়ারি এবং শাখা অফিস স্থাপন করা হয়েছে। এছাড়াও দক্ষিণ কোরিয়ায় স্থাপন করা হয়েছে ওয়ালটনের গ্লোবাল রিসার্চ অ্যান্ড ইনোভেশন সেন্টার। সেখানে বিশ্বের সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ও ফিচারের উদ্ভাবনী পণ্যের পাশাপাশি ইউরোপ ও আমেরিকার স্ট্যান্ডার্ড, আবহাওয়া এবং ক্রেতাদের চাহিদা ইত্যাদি বিষয়ে প্রতিনিয়ত গবেষণার প্রেক্ষিতে পণ্য উৎপাদন করা হচ্ছে। যার ফলে একের পর এক নতুন দেশে ওয়ালটন পণ্যের বাজার সম্প্রসারণ করা সম্ভব হচ্ছে।”
ফ্রিজ, এসি, টিভি, ওয়াশিং মেশিন, কম্প্রেসর, ফ্যানসসহ অন্যান্য ইলেকট্রিক্যাল, ইলেকট্রনিক্স ও হোম অ্যাপ্লায়েন্স পণ্যসামগ্রী রপ্তানিকারক শীর্ষ প্রতিষ্ঠান ওয়ালটন। বিশ্বের ৫০টিরও বেশি দেশে রপ্তানি হচ্ছে ‘মেড ইন বাংলাদেশ’ ট্যাগযুক্ত ওয়ালটন পণ্য। বাংলাদেশে ওয়ালটন পণ্য ক্রেতা চাহিদার শীর্ষে রয়েছে।যার ফলে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারীদের কাছে ওয়ালটন আস্থার প্রতীক হয়ে উঠেছে।
ঢাকা/সাহেল/পলাশ/সাইফ