গাইবান্ধার সাদুল্যাপুরে বাকিতে পণ্য না দেওয়ায় এক যুবক গুলি করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এতে দোকানদারসহ তার ভাবি গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।

বুধবার (১৩ আগস্ট) বেলা সাড়ে ৩টার দিকে উপজেলার খোর্দকোমরপুর ইউনিয়নের নাপিতের বাজারে এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয়রা গুলিবিদ্ধদের উদ্ধার করে গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেছে।

আহতরা হলেন- ইদিলপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ চকদাড়িয়া গ্রামের সিদ্দিক মিয়ার ছেলে ওয়াসিম মিয়া (৩৮) ও তার ভাবী সেলিনা বেগম (৩৫)। অভিযুক্ত গোলাপ মিয়া (২৫) নাপিতের বাজার এলাকার তয়েজ উদ্দিনের ছেলে।

আরো পড়ুন:

সিলেটে ছুকিরাঘাতে মাদরাসা শিক্ষক নিহত

চাঁদপুরে সন্ত্রাসীদের গুলিতে রিকশাচালক নিহত

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বুধবার মাদকাসক্ত গোলাপ মিয়া বাড়ির পাশের দোকানে গিয়ে বাকিতে পণ্য চান। দোকানদার ওয়াসিম মিয়া এতে অস্বীকৃতি জানান। এ নিয়ে দুজনের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে গোলাপ মিয়া বাড়ি গিয়ে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে এসে গুলি করেন। এতে দোকানদার ওয়াসিম মিয়াসহ তার ভাবি সেলিনা বেগম গুলিবিদ্ধ হন। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন।

সাদুল্লাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ তাজউদ্দিন খন্দকার বলেন, ‘‘কী ধরণের আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার হয়েছে, অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার না করা পর্যন্ত বলা যাচ্ছে না। অভিযুক্তকে গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।’’

ঢাকা/মাসুম/রাজীব

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আহত

এছাড়াও পড়ুন:

পর্যটকে পরিপূর্ণ কুয়াকাটা

দুর্গাপূজা ও সাপ্তাহিক ছুটির তৃতীয় দিন শুক্রবার (৩ অক্টোবর) পর্যটকে কানায় কানায় পরিপূর্ণ হয়ে উঠেছে পটুয়াখালীর পর্যটনকেন্দ্র কুয়াকাটা। ২২ কিলোমিটার দীর্ঘ সৈকতের তিন নদীর মোহনা, লেম্বুর বন, শুটকি পল্লী, ঝাউবাগান, গঙ্গামতি, চর গঙ্গামতি ও লাল কাঁকড়ার চড়ে এখন পর্যটকদের সরব উপস্থিতি। তাদের নিরাপত্তায় তৎপর রয়েছে ট্যুরিস্ট পুলিশের সদস্যরা।

সরেজমিনে দেখা যায়, আগত পর্যটকরা সৈকতের বালিয়াড়িতে উচ্ছ্বাসে মেতেছেন। তাদের অনেকে সমুদ্রের ঢেউয়ে গা ভিজিয়ে এবং ওয়াটর বাইকে চড়ে আনন্দ করছেন। অনেকে আবার সৈকতের বেঞ্চিতে বসে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করছেন। পর্যটকদের কেউ কেউ মোটরসাইকেল কিংবা ঘোড়ায় চরে বিভিন্ন পর্যটন স্পট ঘুরে দেখছিলেন। সব মিলিয়ে সৈকতের উৎসব মুখর পরিবেশ বিরাজ করছে। 

আরো পড়ুন:

চার দিনের ছুটিতে কক্সবাজার রুটে চলবে ‘ট্যুরিস্ট স্পেশাল’ ট্রেন

১ অক্টোবর থেকেই কেওক্রাডং যেতে পারবেন পর্যটকরা, মানতে হবে ৬ নির্দেশনা

পাবনা থেকে আসা হোসেন শহীদ ও সোনিয়া দম্পতি জানান, পূজা ও সরকারি ছুটি থাকায় তারা কুয়াকাটায় এসেছেন। সমুদ্রের ঢেউ উপভোগ করেছেন তারা। এই দম্পতির অভিযোগ, হোটেল ভাড়া কিছুটা বেশি রাখা হয়েছে।  

বরিশালের কাউনিয়া থেকে আসা সম্রাট বলেন, “কয়েকটি পর্যটন স্পট ঘুরে দেখেছি। বৃহস্পিতবার বিকেলে বৃষ্টির মধ্যে লাল কাকড়ার চড়, গঙ্গামতি ও লেম্বুর বন ঘুরেছি। দারুন এক অনুভূতি হয়েছে।”

কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট পুলিশ জোনের সহকারী পুলিশ সুপার হাবিবুর রহমান বলেন, “পর্যটকদের নিরপত্তা নিশ্চিতে আমরা সচেষ্ট রয়েছি। বিভিন্ন পর্যটন স্পটে ট্যুরিস্ট পুলিশের সদস্য মোতায়েন রয়েছে।”

ঢাকা/ইমরান/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ