গাজীপুরের শ্রীপুরে সুতিয়া নদীতে ঝাঁপ দিয়ে এক কলেজছাত্রী নিখোঁজ হয়েছেন। বুধবার (১৩ আগস্ট) উপজেলার কাওরাইদ ইউনিয়নের নান্দিয়া সাঙ্গুন গ্রামের ত্রিমোহনী সেতু এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

খবর পেয়ে স্থানীয়দের সঙ্গে নদীতে উদ্ধারকাজ শুরু করেছে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত (সন্ধ্যা ৭টা) নিখোঁজ ছাত্রীর খোঁজ মেলেনি।

নিখোঁজ লামিয়া আক্তার (১৭) ওই উপজেলার কাওরাইদ ইউনিয়নের নান্দিয়া সাঙ্গুন গ্রামের মো.

দেলোয়ার হোসেনের মেয়ে এবং পার্শ্ববর্তী গফরগাঁও উপজেলার পাগলা থানার নিগুয়ারী ইউনিয়নের ক্যাপ্টেন গিয়াস উদ্দিন কলেজের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী।

আরো পড়ুন:

ডাকসু নির্বাচন: বুধবার মনোনয়ন সংগ্রহ করলেন ১৩ প্রার্থী

চবিতে শিবিরকে নিয়ে ছাত্রদলের মিথ্যাচারের অভিযোগ

প্রত্যক্ষদর্শী মো. হাবিবুল্লাহ বলেন, ‘‘সেতুর নিচে নৌকায় বসে আড্ডা দিচ্ছিলাম। হঠাৎ দেখি একটি মেয়ে নদীতে লাফিয়ে পড়েছে। এরপর আমার দুজন চিৎকার দিয়ে নদীতে লাফিয়ে পড়ি। কিন্তু, স্রোতের কারণে পৌঁছাতে দেরি হয়। সে তলিয়ে যাওয়ার আগে দুই হাত উঁচু করে ছিল।”

নিখোঁজ ছাত্রীর বাবা দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘‘গতকাল মেয়ের জন্মদিন ছিল। রাতে জাঁকজমকভাবে অনুষ্ঠান হয়েছে। কী কারণে মেয়ে নদীতে ঝাঁপিয়ে পড়ল, বলতে পারব না।’’

শ্রীপুর ফায়ার সার্ভিসের ওয়্যার হাউস ইন্সপেক্টর এ টি এম মাহমুদুল হাসান বলেন, “৯৯৯-এ খবর পেয়ে টঙ্গী ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল নিয়ে অভিযান শুরু করেছি। তবে, নদীতে স্রোত থাকায় উদ্ধারকাজ ব্যাহত হচ্ছে।”

ঢাকা/রফিক/রাজীব

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

বিটিভিতে আবার শোনা যাবে, ‘আমরা নতুন, আমরা কুঁড়ি...’

প্রায় দুই দশকের দীর্ঘ বিরতির পর আবারও ফিরছে নতুন কুঁড়ি। গত মঙ্গলবার রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিজস্ব পেজে এই তথ্য জানিয়েছে বাংলাদেশ টেলিভিশন (বিটিভি)। এই খবর শুনে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেকেই স্মৃতিকাতর হয়েছেন—কারও মনে পড়েছে প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়ার স্মৃতি, কারও মনে ভেসে উঠেছে শৈশবের প্রিয় অনুষ্ঠানটির দৃশ্য। ফেসবুকে অনেকে ছবিও শেয়ার করেছেন।
১৯৬৬ সালে পাকিস্তান টেলিভিশনে প্রথম প্রচারিত হয় ‘নতুন কুঁড়ি’। অনুষ্ঠানের নাম রাখা হয়েছিল কবি গোলাম মোস্তফার ‘কিশোর’ কবিতা থেকে। যার প্রথম ১৫ লাইন অনুষ্ঠানের সূচনাসংগীত হিসেবে ব্যবহৃত হতো।

স্বাধীনতার পর ১৯৭৬ সালে মোস্তফা মনোয়ারের প্রযোজনায় আবার শুরু হয় ‘নতুন কুঁড়ি’। সে সময় বিটিভির অন্যতম আলোচিত এই অনুষ্ঠান হয়ে ওঠে শিশু-কিশোরদের স্বপ্নের মঞ্চ। নানা প্রান্ত থেকে উঠে আসা তরুণেরা গান, নাচ, অভিনয়, আবৃত্তি, গল্পবলা, কৌতুকসহ বিভিন্ন শাখায় নিজেদের প্রতিভা মেলে ধরার সুযোগ পান। ২০০৫ সাল পর্যন্ত চলে এ অনুষ্ঠান। পরে নানা কারণে অনুষ্ঠানটি বন্ধ করে দেয় বিটিভি। ২০২০ সালে অনুষ্ঠানটি আবার শুরু করার খবর শোনা গিয়েছিল। কিন্তু পরে বলা হয়, কোভিড মহামারির কারণে সেটা আর সম্ভব হয়নি।
তিন দশকে নতুন অনেক তারকার জন্ম দিয়েছে নতুন কুঁড়ি। অনেকে চলচ্চিত্র, টেলিভিশন, নাট্যাঙ্গন ও সংগীতজগতে নিজস্ব অবস্থান গড়ে তুলেছেন। তাঁদের মধ্যে আছেন তারানা হালিম, রুমানা রশিদ ঈশিতা, তারিন জাহান, মেহের আফরোজ শাওন, নুসরাত ইমরোজ তিশাসহ আরও অনেকে। এ তালিকায় আছেন সামিনা চৌধুরীসহ অনেক জনপ্রিয় সংগীতশিল্পীও।

নতুন কুঁড়ির এ ছবিটি অভিনেত্রী শাওন ফেসবুকে শেয়ার করেছেন

সম্পর্কিত নিবন্ধ