ভারতের জম্মু-কাশ্মীরের কিশ্তওয়াড়ে মেঘভাঙা বৃষ্টির জেরে আকস্মিক বন্যায় অন্তত ৪৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে চশোতী গ্রামের কাছে মচৈল মাতা মন্দিরের কাছে এ ঘটনা ঘটেছে বলে এনডিটিভি অনলাইন জানিয়েছে।

স্থানীয় সূত্রের বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, চশোতী গ্রাম থেকে শুরু হয় ‘মচৈল মাতা যাত্রা’। সেই উপলক্ষে অনেক পুণ্যার্থী জড়ো হয়েছিলেন ওই গ্রামে। তাবুঁ খাটিয়ে অবস্থান নিয়েছিলেন তারা। আকস্মিক বন্যায় সেই সব তাঁবু ভেসে গিয়েছে। ফলে অনেকের নিখোঁজ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।

কিশ্তওয়াড়ের ডেপুটি কমিশনার পঙ্কজ শর্মা জানিয়েছেন, ঘটনার পর পরই উদ্ধারকারী দল ওই গ্রামে পৌঁছেছে। উদ্ধারকাজ শুরু হয়েছে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জিতেন্দ্র সিংহ ডেপুটি কমিশনারের সঙ্গে কথা বলে পরিস্থিতি সম্পর্কে খোঁজখবর নিয়েছেন।

সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, কমপক্ষে ৪৬টি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে এবং মৃতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। উদ্ধারকারীরা ধ্বংসস্তূপের নীচ থেকে ১৬৭ জনকে উদ্ধার করেছেন। তাদের মধ্যে ৩৮ জনের অবস্থা গুরুতর।

এর আগে গত ৫ আগস্ট উত্তরাখণ্ডের উত্তরাকাশীর ধরালী এবং হর্ষিল গ্রামে আকস্মিক বন্যায় পাঁচ জনের মৃত্যু হয়েছিল। সেই প্রাকৃতিক দুর্যোগের জেরে ধরালীর বেশির ভাগ অংশ পাথর, কাদার নীচে চাপা পড়ে গিয়েছে। 

ঢাকা/শাহেদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

পর্যটকে পরিপূর্ণ কুয়াকাটা

দুর্গাপূজা ও সাপ্তাহিক ছুটির তৃতীয় দিন শুক্রবার (৩ অক্টোবর) পর্যটকে কানায় কানায় পরিপূর্ণ হয়ে উঠেছে পটুয়াখালীর পর্যটনকেন্দ্র কুয়াকাটা। ২২ কিলোমিটার দীর্ঘ সৈকতের তিন নদীর মোহনা, লেম্বুর বন, শুটকি পল্লী, ঝাউবাগান, গঙ্গামতি, চর গঙ্গামতি ও লাল কাঁকড়ার চড়ে এখন পর্যটকদের সরব উপস্থিতি। তাদের নিরাপত্তায় তৎপর রয়েছে ট্যুরিস্ট পুলিশের সদস্যরা।

সরেজমিনে দেখা যায়, আগত পর্যটকরা সৈকতের বালিয়াড়িতে উচ্ছ্বাসে মেতেছেন। তাদের অনেকে সমুদ্রের ঢেউয়ে গা ভিজিয়ে এবং ওয়াটর বাইকে চড়ে আনন্দ করছেন। অনেকে আবার সৈকতের বেঞ্চিতে বসে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করছেন। পর্যটকদের কেউ কেউ মোটরসাইকেল কিংবা ঘোড়ায় চরে বিভিন্ন পর্যটন স্পট ঘুরে দেখছিলেন। সব মিলিয়ে সৈকতের উৎসব মুখর পরিবেশ বিরাজ করছে। 

আরো পড়ুন:

চার দিনের ছুটিতে কক্সবাজার রুটে চলবে ‘ট্যুরিস্ট স্পেশাল’ ট্রেন

১ অক্টোবর থেকেই কেওক্রাডং যেতে পারবেন পর্যটকরা, মানতে হবে ৬ নির্দেশনা

পাবনা থেকে আসা হোসেন শহীদ ও সোনিয়া দম্পতি জানান, পূজা ও সরকারি ছুটি থাকায় তারা কুয়াকাটায় এসেছেন। সমুদ্রের ঢেউ উপভোগ করেছেন তারা। এই দম্পতির অভিযোগ, হোটেল ভাড়া কিছুটা বেশি রাখা হয়েছে।  

বরিশালের কাউনিয়া থেকে আসা সম্রাট বলেন, “কয়েকটি পর্যটন স্পট ঘুরে দেখেছি। বৃহস্পিতবার বিকেলে বৃষ্টির মধ্যে লাল কাকড়ার চড়, গঙ্গামতি ও লেম্বুর বন ঘুরেছি। দারুন এক অনুভূতি হয়েছে।”

কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট পুলিশ জোনের সহকারী পুলিশ সুপার হাবিবুর রহমান বলেন, “পর্যটকদের নিরপত্তা নিশ্চিতে আমরা সচেষ্ট রয়েছি। বিভিন্ন পর্যটন স্পটে ট্যুরিস্ট পুলিশের সদস্য মোতায়েন রয়েছে।”

ঢাকা/ইমরান/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ