দেশের সাদা সোনা খ্যাত বাগেরহাটে বাগদা চিংড়ি ঘেরে ভয়াবহ মড়ক দেখা দিয়েছে। ভাইরাস, অস্বাভাবিক তাপমাত্রা এবং টানা বৃষ্টির কারণে ভরা মৌসুমেই দিশেহারা হয়ে পড়েছেন চাষিরা। উৎপাদন অর্ধেকে নেমে আসায় ক্ষতির মুখে পড়েছেন তারা।
চাষিদের অভিযোগ, মানসম্মত পোনা সঙ্কটের পাশাপাশি প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে ঘেরে চিংড়ি মারা যাচ্ছে আশঙ্কাজনক হারে।
রামপালের চাকশ্রী বাজার এলাকার মৎস্য চাষি মো.
আরো পড়ুন:
সাগরে ভাসছিল ২২ কেজির কোরাল, ধরা পড়ল জালে
যশোরে অতিবর্ষণে ভেসে গেছে ১৩৪ কোটি টাকার মাছ
এই উপজেলার অপর চাষি সেলিম হোসেন বলেন, “আমাদের ঘেরে এখন যা অবস্থা, তাতে ঋণ শোধ করাই মুশকিল হবে। এই অবস্থা চলতে থাকলে আগামী মৌসুমে বাগদা চাষ করা কঠিন হবে।”
এ বিষয়ে জেলা চিংড়ি চাষি সমিতির সভাপতি ফকির তৌহিদুর রহমান সুমন বলেন, “বাগদা চিংড়ি মারা যাওয়ার সঠিক কারণ উদঘাটনে আমরা চিংড়ি গবেষণা কেন্দ্রের সহযোগিতা চাচ্ছি। বিজ্ঞানভিত্তিক রোগ নির্ণয় ছাড়া সমাধান সম্ভব নয়।”
বাগেরহাট চিংড়ি গবেষণা কেন্দ্রের সিনিয়র সায়েন্টিফিক অফিসার ড. মো. আরিফুল ইসলাম বলেন, “ঘেরের পানি ও মাটি সংগ্রহ করে পরীক্ষার মাধ্যমে রোগ নির্ণয় করা হবে। দ্রুত ফলাফল জানানো হবে, যাতে মৎস্য চাষিরা সঠিক ব্যবস্থা নিতে পারেন।”
বাগেরহাট জেলা মৎস্য কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ বলেন, “ভাইরাসের পাশাপাশি পানি স্বল্পতা, অস্বাভাবিক তাপমাত্রা ও লাগাতার বৃষ্টির কারণে নোনা পানির চিংড়ি মারা যাচ্ছে। চাষিদের পরিকল্পিতভাবে পোনা নির্বাচন, ঘের প্রস্তুত এবং পানি ব্যবস্থাপনা করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।”
জেলা মৎস্য অফিসের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, জেলায় ৫১ হাজার ১৫৯ হেক্টর জমিতে ৪৬ হাজার ৩১৩টি বাগদা চিংড়ির ঘের রয়েছে। গত অর্থ বছরে এ জেলায় উৎপাদিত বাগদা চিংড়ির পরিমাণ ছিল ২০ হাজার ৯৪০ মেট্রিক টন। তবে, এবার উৎপাদন গত বছরের তুলনায় অনেক কম হওয়ার শঙ্কা করছেন চাষিরা।
ঢাকা/শহিদুল/মাসুদ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব গ রহ ট মৎস য
এছাড়াও পড়ুন:
বন্দরে আওয়ামীলীগ নেতা হুমায়ুন গ্রেপ্তার
বন্দরে অপরেশন ডেভিল হান্ট অভিযানে আওয়ামীলীগ নেতা হুমায়ুন (৩৮)কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ধৃত আওয়ামীলীগ নেতা হুমায়ুন বন্দর উপজেলার কলাগাছিয়া ইউনিয়নের ফরাজিকান্দা এলাকার মাকসুদুর রহমান মিয়ার ছেলে।
ধৃতকে সোমবার (১৭ নভেম্বর) দুপুরে বন্দর থানার দায়েরকৃত ১১(১১)২৫ নং মামলায় আদালতে প্রেরণ করেছে পুলিশ। এর আগে গত রোববার (১৬ নভেম্বর) রাতে বন্দর উপজেলার ফরাজিকান্দা এলাকায় অভিযান চালিয়ে ওই নেতাকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয় পুলিশ।
উল্লেখ্য, গত ৬ নভেম্বর দিবাগত রাত পৌনে ৯টায় বন্দর থানার ঢাকা টু চট্টগ্রাম মহাসড়কের কেওঢালা মেগাসিটি ফিলিং স্টেশনের সামনে পাঁকা রাস্তার উপরে জড়ো হয় নিষিদ্ধ ঘোষিত রাজনৈতিক সংগঠন আওয়ামীলী ও অঙ্গ সংগঠন ৫০/৫৫ জনের একটি দল।
পরে তারা শেখ হাসিনা ও অয়ন ওসমানের ব্যানারে একটি ঝটিকা মশাল মিছিল বের করলে তা পুলিশের নজরে আসলে ওই সময় পুলিশ উধ্বর্তন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করে ঘটনাস্থলে আসলে ওই সময় ১৫/২০টি মোটরসাইকেল যোগে বি়ভিন্ন শ্লোগান দিতে দিতে দ্রুত ঢাকা দিকে চলে যায়।এ ঘটনায় জড়িত থাকার অপরাধে আওয়ামীলীগ নেতা হুমায়ুনকে গ্রেপ্তার করে ওই মামলায় তাদের আদালতে প্রেরণ করা হয় ।