জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাস স্থাপনসহ ৬ হাজার ৫০৬ কোটি টাকার ১০ প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে অনশন ভেঙে আনন্দ উল্লাস করছেন শিক্ষার্থীসহ শিক্ষক ও কর্মচারীরা।

রবিবার (১৭ আগস্ট) দুপুরে পরিকল্পনা কমিশন চত্বরে এনইসি সম্মেলন কক্ষে প্রধান উপদেষ্টা ও একনেকের চেয়ারপারসন ড.

মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত একনেকের সভায় রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

এ খবর পেয়ে অনশনরত শিক্ষার্থীদের পানি পান করান রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য ড. সুমন কান্তি বড়ুয়া। এ সময় সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান শিক্ষক, শিক্ষার্থীসহ বিশ্ববিদ্যালয় সংশ্লিষ্টরা। আগামীকাল থেকে ক্লাসে ফিরবেন বলেও জানিয়েছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।

এর আগে, বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতিবিজড়িত সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে তারই রেখে যাওয়া ২২৫ একর জায়গা বরাদ্দ দিয়ে প্রায় ৯ বছর আগে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশ। কিন্তু প্রতিষ্ঠার এতদিনেও বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাস নির্মিত হয়নি।

স্থায়ী ক্যাম্পাসের দাবিতে গত ২৬ জুলাই বিশ্ববিদ্যালয় দিবস বয়কটের মাধ্যমে লাগাতার আন্দোলন শুরু করেন। গত শনিবার (১৬ আগষ্ট) দুপুরে আমরণ গণঅনশন শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। অনশনে ১৫ শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাদের সঙ্গে একাত্মতা জানিয়ে প্রতীকী অনশন করেন শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারীরাও।

এদিকে, তাদের এ কর্মসূচিতে সংহতি জানান বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন, জাতীয় নাগরিক পার্টি, বহল বাড়ি ও বুড়ি পোতাজিয়া সচেতন নাগরিক ফোরাম, শাহজাদপুর সচেতন নাগরিক ফোরাম, মালিথা স্মৃতি পরিষদ এবং শাহজাদপুর স্বার্থ রক্ষা কমিটি।

ঢাকা/রাসেল/হাবিবুর/মেহেদী

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

আজ মুক্তি পাচ্ছে নতুন দুই সিনেমা, হলে আছে আরও ৭ সিনেমা

কুয়াকাটায় একদল ব্যাচেলর
করোনার সময় দীর্ঘদিন ঘরবন্দী ছিল মানুষ। বিধিনিষেধ শিথিল করা হলে কুয়াকাটায় ঘুরতে যায় একদল ব্যাচেলর। সেখানে নারীদের একটি দলের সঙ্গে তাদের দেখা হয়ে যায়। তাদের কেন্দ্র করেই রোমান্টিক, কমেডি ও থ্রিলারের মিশেলে তৈরি হয়েছে নাসিম সাহনিকের ‘ব্যাচেলর ইন ট্রিপ।’

সিনেমাটির শুটিং শুরু হয় ২০২২ সালের শেষ দিকে। প্রথম লটে এক সপ্তাহের মতো শুটিং করার কথা থাকলেও বাজেটের সমস্যায় দুই দিন পর শুটিং টিমকে রেখেই ঢাকায় চলে গেছেন পরিচালক—এমন একটা অভিযোগ সে সময় এনেছিলেন সিনেমার নায়িকা শিরিন শিলা। পরে তিনি আরও জানান, নায়ক-নায়িকাসহ শিল্পীদের থাকা, খাওয়া—সবকিছুতেই অব্যবস্থাপনা ছিল। এতে ইউনিটে অসন্তোষ তৈরি হয়। সে সময় কলাকুশলীরা ধরেই নিয়েছিলেন, এ সিনেমার শুটিং আর হবে না। দ্বন্দ্ব মিটিয়ে পরের বছর শেষ হয় শুটিং। ডাবিং ও পোস্টের কাজ শেষ করতে লেগে যায় আরও এক বছর।

সিনেমায় জুটি হয়েছেন শিরিন শিলা ও কায়েস আরজু। ছবি: কায়েসের সৌজন্যে

সম্পর্কিত নিবন্ধ