গানের শিক্ষক নিয়োগ বন্ধ না করলে আন্দোলনে সরকারকে বাধ্য করা হবে
Published: 19th, September 2025 GMT
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে গানের শিক্ষক নিয়োগ বন্ধ না করলে আন্দোলনে সরকারকে দাবি মানাতে বাধ্য করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম। তিনি গানের পরিবর্তে স্কুলে ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগের দাবি জানান।
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গানের শিক্ষক নিয়োগের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে শুক্রবার বাদ জুমা রাজধানীর বায়তুল মোকাররমে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ সমাবেশে এ কথা বলেন তিনি।
জাতীয় ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদ আয়োজিত সমাবেশে ফয়জুল করীম বলেন, “স্পষ্ট ভাষায় আমরা সরকারকে জানিয়ে দিতে চাই, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে গানের শিক্ষক নিয়োগ বন্ধ করতে হবে। ইসলামি শিক্ষা ছাড়া কোনো জাতির নৈতিক উন্নতি সম্ভব নয়। যদি সরকার ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগে গড়িমসি করে কিংবা এই দাবি উপেক্ষা করে, তবে আমরা দেশের সর্বস্তরের আলেম-ওলামা ও সাধারণ মুসলিম জনতাকে সঙ্গে নিয়ে আন্দোলনে নামব। প্রয়োজনে সরকারকে আমরা বাধ্য করব।”
গানের শিক্ষক নয়, বরং ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগ আজ সময়ের দাবি মন্তব্য করে দলটির এই জ্যেষ্ঠ নেতা বলেন, “প্রতিটি মুসলমানের জন্য দ্বীনী ইলম শিক্ষা করা ফরজ। আমাদের দেশে ৯২ শতাংশ মানুষ মুসলমান, অথচ শিক্ষা ব্যবস্থায় সেই ফরজ শিক্ষা নিশ্চিত করা হয়নি। ফরজে আইন বাস্তবায়নের দায়িত্ব সরকারের, কিন্তু তারা তা পালন করছে না।”
বিক্ষোভ সমাবেশ শেষে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররম উত্তর গেট থেকে একটি মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
মিছিলে জাতীয় ওলামা-মাশায়েখ আইম্মা পরিষদের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মুফতি রেজাউল করিম আবরার, প্রচার সম্পাদক হামিম আব্দুল আজিজ, কলরবের প্রশাসনিক পরিচালক মুফতি সাঈদ আহমদসহ ইসলামী আন্দোলনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকা/নঈমুদ্দীন/এসবি
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
বিমান বাহিনী ও যুক্তরাষ্ট্রের এয়ারফোর্সের যৌথ অনুশীলন সমাপ্ত
বাংলাদেশ বিমান বাহিনী ও যুক্তরাষ্ট্রের প্যাসিফিক এয়ার ফোর্সের অংশগ্রহণে ৭ দিনব্যাপী ‘অপারেশন প্যাসিফিক এঞ্জেল ২৫-৩' শীর্ষক যৌথ অনুশীলন মহড়া শেষ হয়েছে।
সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের নির্দেশনা ও বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশ বিমান বাহিনী ঘাঁটি জহুরুল হকে গত ১৪ সেপ্টেম্বর শুরু হয়। শেষ হয় গত ১৮ সেপ্টেম্বর।
আরো পড়ুন:
ক্রেডিট কার্ডে বাংলাদেশিদের খরচ বেড়েছে যুক্তরাজ্যে
ট্রাম্পকে ইউক্রেনের পাশে থাকার আহ্বান রাজা চার্লসের
সমাপনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন সহকারী বিমান বাহিনী প্রধান (পরিচালন) এয়ার ভাইস জাভেদ তানভীর খান, ওএসপি, বিএসপি, এনডিসি, এএফডব্লিউসি, এসিএসসি, পিএসসি।
দুই দেশের অংশগ্রহণকারীদের সাথে ফটোসেশনে অংশগ্রহণ করেন। অনুষ্ঠানে যুক্তরাষ্ট্র দুতাবাসের প্রতিনিধি, যুক্তরাষ্ট্র প্যাসিফিক এয়ার ফোর্সের জ্যেষ্ঠ সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তা, মহড়ায় অংশগ্রহণকারী বিমান বাহিনীর কর্মকর্তা এবং তিন বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
যুক্তরাষ্ট্রের প্যাসিফিক এয়ার ফোর্স বিশ্বের বিভিন্ন দেশে প্রতি বছরই নানাবিধ প্রশিক্ষণমূলক অনুশীলন পরিচালনা করে আসছে। বিভিন্ন প্রতিকূল অবস্থা ও আপদকালীন সংকট নিরসনে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর হেলিকপটার ও পরিবহন বিমানসমূহ ব্যবহার করা হয়ে থাকে। ‘অপারেশন প্যাসিফিক এঞ্জেল ২৫-৩' এ মূলত আপদকালীন এবং প্রতিকূল অবস্থায় বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর হেলিকপটার ও পরিবহন বিমানগুলোর সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করার উদ্দেশ্যে বিভিন্ন অনুশীলন পরিচালনা করা হয়।
‘অপারেশন প্যাসিফিক এঞ্জেল ২৫-৩' এ বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর একটি সি-১৩০জে পরিবহন বিমান, একটি এম আই-১৭ হেলিকপ্টার এবং প্যাসিফিক এয়ার ফোর্সের দুইটি সি-১৩০জে পরিবহন বিমান, বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর ১৫০ জন সদস্য এবং ইউএস প্যাসিফিক এয়ারফোর্স এর ৯২ জন সদস্য অংশগ্রহণ করে। এছাড়াও, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও বাংলাদেশ নৌবাহিনীর সদস্যরা মহড়ায় অংশগ্রহণ করেন।
এই যৌথ অনুশীলনের মাধ্যমে দুই দেশের বিমান বাহিনী শুধু পেশাগত দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা বিনিময়ই করবে না, বরং আন্তঃকার্যক্ষমতা বৃদ্ধি, কৌশলগত সহযোগিতা জোরদার, এবং আস্থা ও বিশ্বাসের বন্ধনকে আরো সুদৃঢ় করবে। পাশাপাশি বিমান বাহিনীর চিকিৎসা, প্রকৌশল ও লজিস্টিক বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে স্থানীয় জনগণকে সেবা প্রদান দুই দেশের পারস্পরিক সম্পর্ককে আরো মানবিক ও স্থিতিশীল ভিত্তি প্রদান করবে।
ঢাকা/নঈমুদ্দীন/এসবি