ছাগল পালনে সাবলম্বী তৃতীয় লিঙ্গের শিলা
Published: 28th, September 2025 GMT
ভিক্ষাবৃত্তি ও চাঁদাবাজি বাদ দিয়ে উদ্যেক্তা হয়েছেন তৃতীয় লিঙ্গের শিলা। মাত্র সাত হাজার টাকা দিয়ে একটা ছাগল কিনে ভাড়া করা জায়গায় শুরু করেন খামার। এখন তার খামারে ৫৫টি ছাগলসহ হাঁস-মুরগি রয়েছে। পশুপালন করে নিজের বাকি জীবন অতিবাহিত করতে চান তিনি।
শিলা জানান, ইতোমধ্যে ১ লাখ ৮০ হাজার টাকার ছাগল বিক্রি করেছেন। সরকারি খাস জমি বরাদ্দ ও সহায়তা পেলে তিনি আরো বড় খামার করার চেষ্টা করবেন।
আরো পড়ুন:
গরুর সাহায্যে চলাফেরা করেন অন্ধ কাজেম আলী
রুবেল দেখিয়েছেন সাফল্য শুধু চাকরিতে নয়, ঘাস থেকেও পাওয়া যায়
শিলা গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলার বক্তারপুর গ্রামের কফিলউদ্দিনের মেয়ে। গাজীপুরের ভোগড়া বাইপাস মোড়ে দুইটি কক্ষ পাঁচ হাজার ও সামনে দেড় শতাংশ জায়গা এক হাজার টাকায় ভাড়া নিয়ে কাজ শুরু করেন তিনি। মাত্র তিন বছর আগে সাত হাজার টাকায় একটি ছাগল নিয়ে শুরু হয় তার এই খামার। বর্তমানে তার খামারে রয়েছে ৫৫টি ছোটবড় ছাগলসহ হাঁস, দেশি-বিদেশি মুরগি। প্রতিদিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত খামারের পশু পালনে সময় দেন এই উদ্যেক্তা।
শিলা বলেন, “আগে আমিও মানুষের কাছে গিয়ে টাকা তুলতাম। এক সময় এই কাজের ওপর আগ্রহ হারিয়ে ফেলি। ছোট থেকেই কৃষিকাজ ও পশুপাখি পালনে আগ্রহ ছিল। এ কারণে সাত হাজার টাকায় একটা ছাগল কিনে খামার শুরু করি। পরে আরো ছাগল সংগ্রহ করি। পালন করতে শুরু করি হাঁস ও মুরগি। ইতোমধ্যে ১ লাখ ৮০ হাজার টাকার ছাগল বিক্রি করেছি। ক্রেতারা আমার খামারে এসে ছাগল-মুরগি কিনে নিয়ে যান। যা আয় হয় তা দিয়ে ভালো ভাবেই আমার জীবন চলছে।”
তিনি বলেন, “আমার নিজের কোনো জায়গা নেই। সরকারি খাস জমি বরাদ্দ ও সরকারি সহায়তা পেলে আরো বড় আকারে খামার করার ইচ্ছে আছে আমার। আমি সামনে কয়েকটা গরু কিনে পালন করতে চাই।”
গাজীপুর জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা.
ঢাকা/রেজাউল/মাসুদ
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
মোহাম্মদপুরে বিশেষ অভিযানে গ্রেপ্তার ২৯
রাজধানীর মোহাম্মদপুরের কয়েকটি অপরাধপ্রবণ এলাকায় বুধবার দিনভর বিশেষ অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন অপরাধে জড়িত অভিযোগে ২৯ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় তাঁদের কাছ থেকে তিনটি ছুরি, দুটি ধারালো চাকু, দুটি লোহার রড, একটি সাইকেল ও ৩০ গ্রাম হেরোইন উদ্ধার করা হয়।
বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের মধ্যে নিয়মিত মামলা, মাদক মামলা, পরোয়ানাভুক্ত আসামি ও বিভিন্ন অপরাধে জড়িত অপরাধী রয়েছে।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন হীরা (১৯), রফিক (২১), আবদুর রহমান (৩৯), নাবিদ হাসান ওরফে চয়ন (২৬), খোকন (৩১), মনসুর (৩৫), জুয়েল (৩২), সানজু (২২), মিলন (৪২), শাওন (৩৬), নোয়াজ শরীফ (২৮), সেলিম (৩৪), আসাদুজ্জামান ওরফে ইমন (২৩), আনোয়ার হোসেন (৩৬), সজল (৩০), বরকত গাজী (২৮), জুয়েল (৩৮), আরমান (৩০), বাদল (৩৮), কোরবান (২৮), নয়ন (২৭), মাসরুফ (২৩), আল আমিন (২৭), রাকিব (১৮), মিলন (২৫), ওয়াজিদ (৩৬), এরশাদ (২৫), ছালাম ওরফে সামাদ (৩৭) ও দিলসার (৩০)।