সোনারগাঁয়ে জামায়াত নেতার বিরুদ্ধে দিন মজুরকে হত্যা চেষ্টার অভিযোগ
Published: 29th, September 2025 GMT
সোনারগাঁয়ে জামায়াত নেতা রাশেদুল ইসলাম (৩৫) এর বিরুদ্ধে দিন মজুর আব্দুল হামিদ তুষারকে হত্যা চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার পিরোজপুর ইউনিয়নের মেঘনা শিল্পনগরী এলাকার প্রতাপেরচর গ্রামে।
ভুক্তভোগী আব্দুল হামিদ তুষার (২৭) ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ এলাকার কোনাপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। সে বর্তমানে সোনারগাঁ উপজেলার পিরোজপুর ইউনিয়নের প্রতাপেরচর এলাকায় হারুন মিয়ার বাসার ভাড়াটিয়া। এ ঘটনায় সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) বিকেলে ভুক্তভোগী সোনারগাঁ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগ ও ভুক্তভোগীর বরাতের মাধ্যমে জানা গেছে, দিনমজুর আব্দুল হামিদ তুষার গত ৯ মাস ধরে লোকবল সাপ্লাইয়ের কাজে নিয়োজিত জামায়াত নেতা রাশেদুল ইসলামের অধীনে চুক্তিভিত্তিক কাজ করতো। গত কয়েক দিন যাবত শরীর অসুস্থ থাকায় সে বাসায় থেকে চিকিৎসা নিচ্ছিলো।
শুক্রবার (২৬ সেপ্টেম্বর) সকালে উপজেলার মোগরাপাড়া চৌরাস্তায় পিআর-সহ ঘোষিত পাঁচ দাবীতে জামায়াতে ইসলামীর একটি মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।
সেই মিছিলে অংশগ্রহণের জন্য জামায়াত নেতা রাশেদুল শুক্রবার সকালে তুষারের বাসায় গিয়ে তাদের সাথে মিছিলে যাওয়ার কথায় অপারগতা জানালে রাশেদুল, হাবিব ও তাদের বাহিনী তাকে এলোপাতাড়ি মারধর করে।
একপর্যায়ে লোহার তৈরি সিলাইরেন্স দিয়ে তার মাথায় আঘাত করলে সে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। তার ডাক-চিৎকারে এলাকাবাসী এগিয়ে আসলে হাত-পায়ের রগ কেটে হত্যার পর লাশ গুম করার হুমকি দিয়ে রাশেদুল ও তার বাহিনী পালিয়ে যাওয়ার পর স্থানীয়রা তাকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে যায়।
অনুসন্ধনে জানা যায়, ফ্রেশের (কেমিক্যাল) লোকবলের কন্ট্রাক্টর রাশেদুল ইসলামের হাত ধরেই ফ্রেশে লোকবল প্রদান করা হয়। তার কথামতো না চললে কিংবা তার নির্দেশনা অনুযায়ী মিটিং মিছিলে না গেলেই চাকরী থেকে বের করে দেয়, মারধর করে।
তার একটা সন্ত্রাসী বাহিনী এখানে রয়েছে। মোগরাপাড়া চৌরাস্তায় জামায়াতের সমাবেশে যোগদানের জন্য একাধিক দিনমজুরকে জোরজবরদস্তি করেন বলে সত্যতা পাওয়া গেছে। একই সাথে সেই বিক্ষোভ মিছিলে রাশেদুলের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়। যার ছবি ও ভিডিও প্রতিবেদকের কাছে রয়েছে।
ভুক্তভোগী তুষার বলেন, ঘটনার পর আমাকে এখান থেকে চলে যাওয়ার জন্য হুমকি দেয় জামায়াত নেতা রাশেদুল। যদি না যাই তাহলে আমার হাতে-পায়ের রগ কেটে হত্যা করে লাশ গুম করে ফেলারও হুমকি দেয়।
রাশেদুল আমাকে মারধর করে বলেন, আমি জামায়াত নেতা মেঘনাঘাটে তোর কোন বাপ আছে নিয়ে আসিস। আমি এখানকার কন্ট্রাকটর। আমার পেছনে অনেক লোক আছে তুই আমার বিষয়ে কিছুই জানিসনা।
যদি তুই এই এলাকা থেকে না যাস তাহলে তোরে দুনিয়া থেকে সড়িয়ে দিবো। আমি এখন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে সোমবার বিকেলে সোনারগাঁ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি।
অভিযুক্ত জামায়াত নেতা রাশেদুল ইসলামের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি এ বিষয়ে কিছু বলবো না এখানে বাড়ির মালিক ও আমার এখানকার বড় ভাই আছে তারা বিষয়টি দেখতেছে। তবে মারধর আমি করি নাই। এখানকার লোকজন করেছে।
তার অধীনে কাজ করে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, সে গত ৫ দিন ধরে কাজে যায় না। তাই জিজ্ঞাস করতে এসেছিলাম। সে প্রতিনিয়ত স্থানীয়দের সাথে মাদক সেবন করে কিন্তু কাজে যায় না। তাই এসে জিজ্ঞাসা করার এক পর্যায়ে তর্কাতর্কি হয়। এসময় আমার সাথে থাকা এক লোক তাকে সিলারেন্স দিয়ে মাথায় আঘাত করে।
ভুক্তভোগীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে জামায়াত নেতার প্রভাব খাঁটিয়ে তিনি এমনটা করেছেন কিনা জানতে চাইলে বলেন, আমি জামায়াতের কোনো পদে নাই, তবে জামায়াত শিবিরকে সাপোর্ট করি। বিভিন্ন সময় মিটিং মিছিলে লোক নিয়ে যাই।
সোনারগাঁ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রাশেদুল হাসান খাঁন জানান, এ বিষয়ে থানায় একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: হত য স ন রগ ও ব ল দ শ জ ম য ত ইসল ম ন র য়ণগঞ জ র শ দ ল ইসল ম ইসল ম র স ন রগ র জন য ম রধর
এছাড়াও পড়ুন:
আজ মুক্তি পাচ্ছে নতুন দুই সিনেমা, হলে আছে আরও ৭ সিনেমা
কুয়াকাটায় একদল ব্যাচেলর
করোনার সময় দীর্ঘদিন ঘরবন্দী ছিল মানুষ। বিধিনিষেধ শিথিল করা হলে কুয়াকাটায় ঘুরতে যায় একদল ব্যাচেলর। সেখানে নারীদের একটি দলের সঙ্গে তাদের দেখা হয়ে যায়। তাদের কেন্দ্র করেই রোমান্টিক, কমেডি ও থ্রিলারের মিশেলে তৈরি হয়েছে নাসিম সাহনিকের ‘ব্যাচেলর ইন ট্রিপ।’
সিনেমাটির শুটিং শুরু হয় ২০২২ সালের শেষ দিকে। প্রথম লটে এক সপ্তাহের মতো শুটিং করার কথা থাকলেও বাজেটের সমস্যায় দুই দিন পর শুটিং টিমকে রেখেই ঢাকায় চলে গেছেন পরিচালক—এমন একটা অভিযোগ সে সময় এনেছিলেন সিনেমার নায়িকা শিরিন শিলা। পরে তিনি আরও জানান, নায়ক-নায়িকাসহ শিল্পীদের থাকা, খাওয়া—সবকিছুতেই অব্যবস্থাপনা ছিল। এতে ইউনিটে অসন্তোষ তৈরি হয়। সে সময় কলাকুশলীরা ধরেই নিয়েছিলেন, এ সিনেমার শুটিং আর হবে না। দ্বন্দ্ব মিটিয়ে পরের বছর শেষ হয় শুটিং। ডাবিং ও পোস্টের কাজ শেষ করতে লেগে যায় আরও এক বছর।
সিনেমায় জুটি হয়েছেন শিরিন শিলা ও কায়েস আরজু। ছবি: কায়েসের সৌজন্যে