শিক্ষা নিয়ে ইবনে খালদুনের ভাবনা
Published: 4th, October 2025 GMT
শিক্ষা কেবল বইয়ের পাতা ওলটানো নয়; বরং জীবনের সব ক্ষেত্রে আলো ছড়ানোর এক অমূল্য হাতিয়ার। কোরআন বলেছে, ‘যারা জানে এবং যারা জানে না, তারা কি সমান? নিশ্চয় শুধু বিবেকবানেরাই এতে চিন্তা করে।’ (সুরা যুমার, আয়াত: ৯)
আবার বলেছে, ‘তোমাদের মধ্য থেকে যারা ইমান এনেছে এবং যাদের জ্ঞান দেওয়া হয়েছে, আল্লাহ তাদের মর্যাদা দান করবেন।’ (সুরা মুজাদালা, আয়াত: ১১)।
মহানবী মুহাম্মদ (সা.
ইসলামের প্রথম দিন থেকে এ আহ্বান বাস্তবায়িত হয়েছে। বদরের যুদ্ধের বন্দীদের মুক্তির শর্ত ছিল, মুসলিম শিশুদের শিক্ষা দেওয়া। ইসলামি ইতিহাসে ইবনে সিনা, গাজালি ও ইবনে খালদুনের মতো মহান চিন্তাবিদেরা শিক্ষার তাত্ত্বিক ভিত্তি গড়ে তুলেছেন।
খালদুন ছাত্রকে একসঙ্গে দুটি বিষয় শেখানোর বিরোধিতা করেছেন। কারণ, এতে মন বিভ্রান্ত হয়। শিক্ষণের তিনবার পুনরাবৃত্তি প্রয়োজন। এই পদ্ধতিকে ‘উপকারী শিক্ষণ’ বলে বর্ণনা করেছেন তিনি।ইবনে খালদুন (৭৩২-৮০৮ হিজরি/১৩৩২-১৪০৬ খ্রিষ্টাব্দ) তাঁর মুকাদ্দিমায় শিক্ষাকে সমাজের উন্নয়নের চালিকা শক্তি মনে করেছেন। তিনি বলেছেন, শিক্ষা মানুষের স্বাভাবিক প্রয়োজন, যা সভ্যতার সঙ্গে বিকশিত হয়। তাঁর মতে, শিক্ষা কেবল বইয়ের জ্ঞান নয়; বরং মনের বিকাশ ও সমাজের ঐক্যের মাধ্যম।
আজকের দুনিয়ায় যেখানে শিক্ষা প্রায়ই বাণিজ্যিক হয়ে উঠেছে, ইবনে খালদুনের দৃষ্টিভঙ্গি আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয় যে শিক্ষা হলো মানুষের মুক্তির পথ।
আরও পড়ুনবিপ্লবী চিন্তাবিদ ইমাম ইবনে তাইমিয়া১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫যেখানে ইবনে খালদুন জন্মগ্রহণ করেছেন। তিউনিস, তিউনিসিয়াউৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: কর ছ ন
এছাড়াও পড়ুন:
ডিএসইতে সাপ্তাহিক লেনদেনের শীর্ষে ব্র্যাক ব্যাংক
দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) বিদায়ী সপ্তাহে (২৮ সেপ্টেম্বর থেকে ২ অক্টোবর) কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডগুলোর মধ্যে লেনদেনের শীর্ষে উঠে এসেছে ব্যাংক খাতে তালিকাভুক্ত বহুজাতিক কোম্পানি ব্র্যাক ব্যাংক পিএলসি।
শনিবার (৪ অক্টোবর) ডিএসইর সাপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনা সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
তথ্য মতে, সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির ২৮ কোটি ৪৯ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে, যা ছিল ডিএসইর মোট লেনদেনের ৪.৫৯ শতাংশ। এর ফলে কোম্পানিটি লেনদেনের শীর্ষে অবস্থান করছে।
তালিকার দ্বিতীয় স্থানে থাকা ওরিয়ন ইনফিউশনের ২৪ কোটি ১২ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে, যা ছিল ডিএসইর লেনদেনের ৩.৮৯ শতাংশ।
তৃতীয় স্থানে থাকা সামিট অ্যালায়েন্স পোর্টের ২৩ কোটি ১৮ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে, যা ছিল ডিএসইর লেনদেনের ৩.৭৪ শতাংশ।
লেনদেনের শীর্ষ তালিকায় থাকা অন্যান্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে- সোনালী পেপারের ২২ কোটি ৬ লাখ টাকা, খান ব্রাদার্সের ১৮ কোটি ১৪ লাখ টাকা, প্রগতী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের ১৬ কোটি ৫৯ লাখ টাকা, সিভিও পেট্রোকেমিক্যালের ১২ কোটি ৩৫ লাখ টাকা, ফারইস্ট নিটিং অ্যান্ড ডাইংয়ের ১২ কোটি ৩১ লাখ টাকা. সিমটেক্সের ১১ কোটি ৯৫ লাখ টাকা এবং কে অ্যান্ড কিউয়ের ১১ কোটি ৯৩ লাখ টাকা।
ঢাকা/এনটি/ইভা