আরেকটি হত্যা মামলায় মেননসহ চারজনকে গ্রেপ্তার দেখানো হলো
Published: 8th, October 2025 GMT
আরেকটি হত্যা মামলায় বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, সাবেক বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজীসহ চারজনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
পুলিশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আজ বুধবার ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট সাদেকুর রহমান এ আদেশ দেন।
গ্রেপ্তার দেখানো অপর দুই আসামি হলেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র আতিকুল ইসলাম ও সাবেক তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্মেদ পলক।
প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ঢাকার সিএমএম আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) শামসুদ্দোহা।
পিপি শামসুদ্দোহা প্রথম আলোকে বলেন, বনানী থানায় দায়ের করা শাজাহান হত্যা মামলায় মেনন, দস্তগীর গাজী, পলক ও আতিকুলকে আদালতে হাজির করে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করে পুলিশ। শুনানি নিয়ে আদালত তাঁদের এ হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর আদেশ দেন।
পুলিশ ও আদালতসংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, মেনন, দস্তগীর গাজী, পলক ও আতিকুলকে আজ সকাল সাড়ে ৯টার দিকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। পরে তাঁদের রাখা হয় সিএমএম আদালতের হাজতখানায়। বেলা ১১টার দিকে তাঁদের আদালতকক্ষে হাজির করা হয়।
মামলার কাগজপত্রের তথ্য বলছে, গত বছরের ১৯ জুলাই বনানী থানাধীন মহাখালী উড়ালসড়কে শাজাহানকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় গত বছরের ১৮ ডিসেম্বর শাজাহানের মা সাজেদা খাতুন বাদী হয়ে মামলা করেন।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
ওসমান হাদির ওপর হামলাকারীদের গ্রেপ্তারে তল্লাশি অভিযান চলছে: ডিএমপি
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য প্রার্থী ও ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদিকে গুলি করার সঙ্গে জড়িতদের ধরতে পুলিশ বিভিন্ন স্থানে তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছে।
শুক্রবার ডিএমপির গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগ থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শুক্রবার বেলা ২টা ২৫ মিনিটে মোটরসাইকেল আরোহী দুর্বৃত্তরা রাজধানীর পুরানা পল্টনের বক্স কালভার্ট এলাকায় ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ওসমান হাদিকে লক্ষ্য করে গুলি করে পালিয়ে যায়। এতে তিনি গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ডিএমপি এই ন্যক্কারজনক ও কাপুরুষোচিত হামলার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছে।
ডিএমপি জানায়, ঘটনার পরপরই পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। পুলিশ ঘটনাস্থলের আশপাশের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ ও বিশ্লেষণ করে জড়িতদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে আন্তরিক প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। থানা-পুলিশের পাশাপাশি ডিএমপির গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি) হামলাকারীদের গ্রেপ্তারে সন্দেহভাজন ব্যক্তি ও স্থানগুলোতে তল্লাশি অভিযান পরিচালনা করছে। সম্প্রতি ঘটে যাওয়া বিভিন্ন চাঞ্চল্যকর ঘটনার মতো এই ন্যক্কারজনক হামলার ঘটনায় জড়িতদেরও দ্রুত গ্রেপ্তার করা সম্ভব হবে বলে ডিএমপি আশা করে।
বিজ্ঞপ্তিতে নগরবাসীকে আতঙ্কিত না হয়ে এ ঘটনায় জড়িতদের সম্পর্কে কোনো তথ্য থাকলে তা নিকটস্থ থানা অথবা জাতীয় জরুরি সেবা ‘৯৯৯’–এর মাধ্যমে পুলিশকে অবহিত করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সমুন্নত রাখা এবং নগরবাসীর জানমালের নিরাপত্তা রক্ষার জন্য ডিএমপি আন্তরিকভাবে কাজ করছে বলেও জানানো হয়।
ডিএমপির মতিঝিল বিভাগের উপকমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ প্রথম আলোকে বলেন, থানা-ডিবির পাশাপাশি পুলিশের সব ইউনিট হামলাকারীদের শনাক্ত করে গ্রেপ্তারে কাজ করছে। এ ঘটনায় পল্টন থানায় কোনো মামলা হয়নি।
রাত সাড়ে ১১টার দিকে যোগাযোগ করা হলে ডিবির যুগ্ম কমিশনার মো. নাসিরুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদ্ঘাটনে এখন পর্যন্ত বলার মতো কোনো অগ্রগতি হয়নি।