অবিলম্বে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ইকসু) নীতিমালা ও রোডম্যাপ প্রদান, শিক্ষার্থী সাজিদ হত্যার বিচারসহ পাঁচ দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও ছাত্রসমাবেশ করেছেন শাখা ছাত্রশিবিরের নেতা-কর্মীরা। আজ শনিবার বেলা একটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলা থেকে মিছিলটি শুরু হয়। ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে পরে একই স্থানে সমাবেশ করেন তাঁরা।

সমাবেশে ছাত্রশিবির পাঁচটি দাবি তুলে ধরেন। দাবিগুলো হলো বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী সাজিদ হত্যার বিচার, ছাত্র সংসদের নীতিমালা প্রণয়ন ও রোডম্যাপ প্রদান, ডিজিটাল পেমেন্ট নিশ্চিতকরণ, নির্মাণাধীন হলগুলো চলতি বছরই চালু এবং মেধা ও স্বচ্ছতার ভিত্তিতে শিক্ষক নিয়োগ।

মিছিলে ‘আমার ভাই কবরে, খুনি কেন বাইরে’, ‘সাজিদ মৃত্যুর তদন্ত দ্রুত করো, করতে হবে’, ‘নিরাপত্তা নিশ্চিত করো, শিক্ষার্থীদের রক্ষা করো’, ‘হলগুলো চালু করো, ভোগান্তি দূর করো’, ‘ইকসুর তারিখ ঘোষণা করো, ছাত্র সংসদ নিশ্চিত করো’, ‘বিশ্ব যখন আধুনিক, ইবি কেন যান্ত্রিক’, ‘ডিজিটাল পেমেন্ট চালু হোক, ভোগান্তি দূর হোক’, ‘নিয়োগ হবে স্বচ্ছ, শিক্ষক হবে দক্ষ’, ‘মেধা আর স্বচ্ছতা, নিয়োগে চাই ন্যায্যতা’, ‘আবু সাইদের বাংলায়, নিয়োগ বাণিজ্যের ঠাঁই নাই’সহ নানা স্লোগান দেন নেতা-কর্মীরা।

মিছিলে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রশিবিরের সভাপতি মাহমুদুল হাসান, সেক্রেটারি ইউসুব আলী, অফিস সম্পাদক রাশেদুল ইসলাম, অর্থ সম্পাদক শেখ আল আমিন, প্রচার সম্পাদক আবসার নবী হামজা, দক্ষতা উন্নয়নবিষয়ক সম্পাদক হাসানুল বান্নাসহ শতাধিক নেতা-কর্মী উপস্থিত ছিলেন।

মাহমুদুল হাসান বলেন, ‘৯০ দিনের বেশি হয়ে গেছে। এখন পর্যন্ত আমার ভাই সাজিদের খুনিদের বের (চিহ্নিত) করা হয়নি। এটা শুধু বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের ব্যর্থতা নয়, বরং ইন্টেরিম গভর্নমেন্টের (অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে) ব্যর্থতা।’

ছাত্র সংসদের প্রসঙ্গে শাখা ছাত্রশিবিরের এই নেতা বলেন, ‘চলতি বছরের শুরু থেকে আমরা ছাত্র সংসদ চালুর জন্য বলছি। কিন্তু এ পর্যন্ত ইবি প্রশাসন সেটা করতে পারেনি। তারা বলেছে, ১৫ অক্টোবরের মধ্যে নীতিমালা ফাইনাল করবে। কিন্তু কই? ছাত্র সংসদ নিয়ে কোনো টালবাহানা শিক্ষার্থীরা মেনে নেবে না।’

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ইসল ম

এছাড়াও পড়ুন:

ক্লাব–বিসিবি দ্বন্দ্বে সমাধান কি বিকল্প টুর্নামেন্ট

‘খেলা এবার মাঠে গড়াতেই হবে’—দৃঢ় কণ্ঠে কাল কথাটা বললেন বিসিবির পরিচালক ও সিসিডিএমের ভাইস চেয়ারম্যান ফায়াজুর রহমান। বর্তমান পরিচালনা পর্ষদকে ‘অবৈধ’ আখ্যা দিয়ে লিগ না খেলার ঘোষণা দেওয়া ঢাকার বিদ্রোহী ৪৫টি ক্লাবের সঙ্গে কয়েক দফায় সমঝোতার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছে বিসিবি, তবে এবার আর ব্যর্থতা চান না ফায়াজুর।

তৃতীয় বিভাগ দিয়েই প্রতিবছর ঘরোয়া ক্রিকেটের মৌসুম শুরু হয়। কিন্তু বিদ্রোহী ৪৫টি ক্লাবের মধ্যে তৃতীয় বিভাগের ক্লাবই ১৪টি, প্রথম বিভাগের ক্লাব ৮টি। প্রথম বিভাগের বেশির ভাগ ক্লাব (২০টির মধ্যে ১২টি) লিগ আয়োজনের পক্ষে থাকায় এবার আগে প্রথম বিভাগ ক্রিকেট আয়োজনের চেষ্টা করছে বিসিবি। কিন্তু সেটাও পারছে কই!

বিদ্রোহী ক্লাবগুলো লিগ বয়কটের সিদ্ধান্তে অনঢ় থাকায় দুবার তারিখ ঘোষণা করেও খেলা শুরু করা যায়নি। তৃতীয়বারের মতো লিগ শুরুর তারিখ ঠিক হয়েছে আগামীকাল।

তবে ৪৫ ক্লাবের অবস্থান এখনো আগের জায়গাতেই। প্রথম বিভাগের ২০টি ক্লাবের মধ্যে দলবদলে অংশ না নেওয়া ৮ ক্লাবের লিগে খেলার সম্ভাবনা নেই। প্রথম বিভাগের বিদ্রোহী ৮ ক্লাবের নেতৃত্বে থাকা সংগঠক ও আম্বার স্পোর্টিং ক্লাবের কর্মকর্তা জিয়াউর রহমান কাল প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা বিসিবির প্রধান নির্বাহীকে দেওয়া চিঠিতে আগেই জানিয়ে দিয়েছি যে এই অবৈধ বোর্ডের অধীন খেলব না। এখনো সেই সিদ্ধান্তে অনড় আছি। আমাদের (৮ ক্লাব) লিগে অংশ নেওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই।’

পরশু আনুষ্ঠানিকভাবে সূচি ঘোষণা করা হলেও লিগ যে শেষ পর্যন্ত আয়োজন সম্ভব না–ও হতে পারে, এই বাস্তবতা বুঝতে পারছে বিসিবিও। বিদ্রোহী ক্লাবগুলোর মতের বিরুদ্ধে গিয়ে লিগ আয়োজন করতে গেলে আসতে পারে আইনি বাধা। সূত্র জানিয়েছে, শেষ পর্যন্ত লিগ আয়োজন করতে না পারলে বা খেলা শুরু করেও লিগ বন্ধ করে দিতে হলে বিসিবি এগুবে ‘প্ল্যান-বি’ নিয়ে।

বিসিবি নির্বাচন নিয়ে ঢাকার ক্লাবগুলোর সংবাদ সম্মেলন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ