Prothomalo:
2025-12-13@01:44:28 GMT

এখন কি সোনা কেনার সময়

Published: 19th, October 2025 GMT

রবীন্দ্রনাথের মণিহারা গল্পটা নিশ্চয়ই মনে আছে। ফণিভূষণ স্ত্রী মণিমালিকাকে খুবই ভালোবাসতেন। সুসময়ে হীরা, মুক্তা আর সোনার গয়না দিয়ে স্ত্রীকে ভরিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। ব্যবসায় যখন পুঁজির টান পড়ল, বন্ধক রাখতে সেই গয়না চেয়েছিলেন ফণিভূষণ। কিন্তু যখন বুঝলেন গয়নার প্রতি মণিমালিকার তীব্র আকর্ষণের কথা, তখন অর্থ সংগ্রহে অন্য পথ ধরেছিলেন। কিন্তু তাতেও ভরসা করতে পারেননি মণিমালিকা। এক সন্ধ্যায় দূরসম্পর্কের ভাইয়ের সহায়তায় সব গয়না নিয়ে নৌকায় উঠেছিলেন মণিমালিকা। দূরসম্পর্কের ভাইটি যে সুবিধার নয়, তা জানতেন। তাই কোনো বাক্সে না, শরীরভর্তি সব গয়না পরে নৌকায় উঠেছিলেন মণিমালিকা। তাকে না মেরে একটি গয়নাও যাতে কেউ না নিতে পারে।

গল্পের শেষে কী হলো, এখানে সেটা অন্য বিষয়। আসলে সোনা হচ্ছে এমন এক সম্পদ, যা বিপদে কাজে লাগে। আবার গয়না হিসেবেও এর চাহিদা প্রচুর। ফলে দাম যা–ই থাকুক, এর চাহিদা সাধারণত কমে না। যদিও এখন সোনার যে দাম, তাতে এই কথা বলতেও সাহস লাগে। অন্তত এক ভরি সোনার দাম যদি দুই লাখ টাকা ছাড়িয়ে যায়, তাহলে এ যুগের ফণিভূষণ স্ত্রীকে যতই ভালোবাসুক, সোনার গয়না দিয়ে শরীর মুড়ে দেওয়া সহজ হতো না।

সোনার অলংকার.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: মণ ম ল ক

এছাড়াও পড়ুন:

ক্লাব–বিসিবি দ্বন্দ্বে সমাধান কি বিকল্প টুর্নামেন্ট

‘খেলা এবার মাঠে গড়াতেই হবে’—দৃঢ় কণ্ঠে কাল কথাটা বললেন বিসিবির পরিচালক ও সিসিডিএমের ভাইস চেয়ারম্যান ফায়াজুর রহমান। বর্তমান পরিচালনা পর্ষদকে ‘অবৈধ’ আখ্যা দিয়ে লিগ না খেলার ঘোষণা দেওয়া ঢাকার বিদ্রোহী ৪৫টি ক্লাবের সঙ্গে কয়েক দফায় সমঝোতার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছে বিসিবি, তবে এবার আর ব্যর্থতা চান না ফায়াজুর।

তৃতীয় বিভাগ দিয়েই প্রতিবছর ঘরোয়া ক্রিকেটের মৌসুম শুরু হয়। কিন্তু বিদ্রোহী ৪৫টি ক্লাবের মধ্যে তৃতীয় বিভাগের ক্লাবই ১৪টি, প্রথম বিভাগের ক্লাব ৮টি। প্রথম বিভাগের বেশির ভাগ ক্লাব (২০টির মধ্যে ১২টি) লিগ আয়োজনের পক্ষে থাকায় এবার আগে প্রথম বিভাগ ক্রিকেট আয়োজনের চেষ্টা করছে বিসিবি। কিন্তু সেটাও পারছে কই!

বিদ্রোহী ক্লাবগুলো লিগ বয়কটের সিদ্ধান্তে অনঢ় থাকায় দুবার তারিখ ঘোষণা করেও খেলা শুরু করা যায়নি। তৃতীয়বারের মতো লিগ শুরুর তারিখ ঠিক হয়েছে আগামীকাল।

তবে ৪৫ ক্লাবের অবস্থান এখনো আগের জায়গাতেই। প্রথম বিভাগের ২০টি ক্লাবের মধ্যে দলবদলে অংশ না নেওয়া ৮ ক্লাবের লিগে খেলার সম্ভাবনা নেই। প্রথম বিভাগের বিদ্রোহী ৮ ক্লাবের নেতৃত্বে থাকা সংগঠক ও আম্বার স্পোর্টিং ক্লাবের কর্মকর্তা জিয়াউর রহমান কাল প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা বিসিবির প্রধান নির্বাহীকে দেওয়া চিঠিতে আগেই জানিয়ে দিয়েছি যে এই অবৈধ বোর্ডের অধীন খেলব না। এখনো সেই সিদ্ধান্তে অনড় আছি। আমাদের (৮ ক্লাব) লিগে অংশ নেওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই।’

পরশু আনুষ্ঠানিকভাবে সূচি ঘোষণা করা হলেও লিগ যে শেষ পর্যন্ত আয়োজন সম্ভব না–ও হতে পারে, এই বাস্তবতা বুঝতে পারছে বিসিবিও। বিদ্রোহী ক্লাবগুলোর মতের বিরুদ্ধে গিয়ে লিগ আয়োজন করতে গেলে আসতে পারে আইনি বাধা। সূত্র জানিয়েছে, শেষ পর্যন্ত লিগ আয়োজন করতে না পারলে বা খেলা শুরু করেও লিগ বন্ধ করে দিতে হলে বিসিবি এগুবে ‘প্ল্যান-বি’ নিয়ে।

বিসিবি নির্বাচন নিয়ে ঢাকার ক্লাবগুলোর সংবাদ সম্মেলন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ