ঘরোয়া ক্রিকেটে ২০০-৩০০ করলেই আন্তর্জাতিকে সম্ভব: আশরাফুল
Published: 22nd, November 2025 GMT
৪ সেঞ্চুরি, ৮ ফিফটি। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে দুই টেস্টে তিন ইনিংসে ব্যাটিংয়ের সুযোগ পেয়ে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা এভাবেই নিজেদের মেলে ধরেছেন। সংখ্যাটি আরো বাড়তে পারত। যদি বাংলাদেশ ইনিংস ঘোষণা না করতে শুক্রবার দুপুরে। আবার না-ও হতে পারত। সেই বিতর্কে আপাতত না আগানোই ভালো।
প্রাপ্তির বিষয় হচ্ছে, নিজেদের ১৫৬ টেস্টে ব্যাটিংয়ে সবচেয়ে ভালো সময় কাটাল বাংলাদেশ। এর আগে ২০১০ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে দুই ম্যাচের সিরিজে ১০ ফিফটি ও ১ সেঞ্চুরি ছিল বাংলাদেশের। মাঝের লম্বা সময়ে প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তিতে কেটেছে বাংলাদেশের বছরের পর বছর।
আরো পড়ুন:
কেন মুশফিকুরের সেঞ্চুরি পর্যন্ত অপেক্ষা করলো না বাংলাদেশ?
ভালোবাসা, গর্বে মোড়ানো মুশফিকের ‘একশ’ টেস্ট
বাংলাদেশের ‘পথের কাঁটা’ হয়ে আছে ব্যাটসম্যানদের ইনিংস বড় করতে না পারার অভ্যাস। থিতু হওয়ার পর বেশিরভাগ সময়ই আউট হয়ে যান ব্যাটসম্যানরা। আবার সেঞ্চুরি পেলে সেটাকে ডাবলে রূপ দিতে না পারার ব্যর্থতা তো আছেই। এবারের আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে মাহমুদুল হাসান জয়, নাজমুল হোসেন শান্ত, মুশফিকুর রহিম ও লিটন দাস সেঞ্চুরি পেয়েছেন। জয়ের ১৭১ বাদে বাকি কেউই পারেননি সেঞ্চুরির ইনিংসটিকে বড় করতে।
আবার ফিফটি করেই তৃপ্ত অনেকে। সাদমান ইসলাম ৮০, ৩৫ ও ৭৮ রান করে আউট হয়েছেন। মুমিনুল হক ৬৩, ৮৭ ও ৮২ রান করেছেন। অথচ টপ অর্ডারের দুই ব্যাটসম্যানেরই সুযোগ ছিল ইনিংস লম্বা করার। যতক্ষণ চাই ব্যাটিং করার। কিন্তু বড় রান করার অনভ্যস্ততা ফুটে উঠল তাদের ব্যাটে।
ব্যাটিং কোচ হিসেবে সদ্যই নিয়োগ পাওয়া মোহাম্মদ আশরাফুলের চোখে ব্যাটসম্যানদের আত্মবিশ্বাসের কোনো ঘাটতি নেই, ‘‘৫০ করে বা ৭০ করে যে আউট হচ্ছেন এইটা নিয়ে তারা চিন্তা করছেন এবং কিভাবে এই জায়গা থেকে বড় রান করা যায় এই বিষয় নিয়ে তারাও চিন্তা করছেন এবং আশা করব যে, ২০২৭ পর্যন্ত আমাদের ৮টি টেস্ট ম্যাচ আছে। ওই পর্যন্ত একটি লক্ষ স্থির করা আছে। তারা সেভাবেই খেলছে এবং নিজেদের প্রস্তুতি সেভাবেই নিচ্ছে।’’
আশরাফুল বিরতি দিয়ে টেস্ট ম্যাচ খেলার বিষয়টিকে সামনে নিয়ে আসতে চাইলেন, ‘‘তিন মাস বা চার মাস পর পর আমাদের টেস্ট হয়। ওই জায়গাটাতে আসলে খেলোয়াড়দের মানিয়ে নেওয়াটা মুশকিল হয়ে যায়।’’
এজন্য ঘরোয়া ক্রিকেটে লাগাতার বড় ইনিংস খেলার দিকে মনোযোগ দিতে বললেন তিনি, ‘‘শেষ তিন বছর ধরে আমরা প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ডিউক বলটা ব্যবহার করি। দেখবেন যে এক মৌসুমে মুমিনুল ৩৯০ রান করেছেন কোন সেঞ্চুরি ছাড়া। ডিউক বলে কিন্তু আসলে প্রত্যেকটা বলই চ্যালেঞ্জিং হয়। ঘরোয়া ক্রিকেটে যদি আপনি বড় বড় ইনিংস খেলেন, আপনি প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ২০০-৩০০ করবেন তখন কিন্তু আপনি আশা করতে পারবেন টেস্ট ম্যাচে ২০০-৩০০ করবেন। রাতারাতি এসে ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেটে বড় ইনিংস খেলাটা আশা করাটা আমাদের ঠিক হবে না। ঘরোয়া ক্রিকেট থেকে আসতে হবে।’’
ঢাকা/ইয়াসিন
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র ন কর য টসম
এছাড়াও পড়ুন:
রূপগঞ্জে ফাটল ধরা কারখানা ভবনে পুনরায় কম্পন : বিক্ষোভ, ভাংচুর
রূপগঞ্জ উপজেলায় ভূমিকম্পে ফাটল ধরা ভবনে কাজ করতে মালিকপক্ষ বাধ্য করার প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেছেন রপ্তানিমুখী একটি পোশাক কারখানার শ্রমিকরা।
কারখানার ভেতরে অন্তত পাঁচটি যানবাহনে বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা ভাঙচুর চালিয়েছে বলেও জানায় পুলিশ। শনিবার (২২ নভেম্বর) উপজেলার ভুলতা এলাকায় রবিনটেক্স (বাংলাদেশ) লিমিটেডে এ ঘটনা বলে জানান শিল্প পুলিশের পরিদর্শক সেলিম বাদশা।
তিনি বলেন, শুক্রবার ভূমিকম্পে কারখানাটির দুʼটি ভবনে ফাটল দেখা যায়। ভবনটি নিজস্ব প্রকৌশলীদের মাধ্যমে নিরীক্ষণের পর সাময়িক সংস্কার করে শনিবার কর্মস্থলে শ্রমিকদের যোগদানের আহ্বান জানায়। সকাল নয়টার দিকে কারখানায় কর্মীরা যোদগদানও করেন।
“কাজ করার সময় হঠাৎ কারখানা ভবনে পুনরায় কপ্পন অনুভূত হওয়ায় শ্রমিকদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এবং শ্রমিকরা সব কারখানা থেকে বেরিয়ে আসেন।”
হুড়োহুড়ি করে বের হতে গিয়ে কারখানার অন্তত অর্ধশতাধিক শ্রমিক সামান্য আহত হয়েছেন। তারা প্রাথমিক চিকিৎসাও নিয়েছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
আহতের ঘটনার পর শ্রমিকরা আরও উত্তেজিত হয়ে পড়েন। পরে বিক্ষুব্দ শ্রমিকরা কারখানার ভেতরে কয়েকটি যানবাহনে ভাঙচুর চালান বলে জানান পুলিশ পরিদর্শক সেলিম বাদশা।
দুপুর পর্যন্ত বিক্ষুব্দ হাজারো শ্রমিক কারখানাটিতে অবস্থান নিয়ে থাকলেও পরে তারা চলে যান। পরে বিকেলে উপজেলা প্রশাসন, থানা পুলিশ, শিল্প পুলিশ, শ্রমিক ও মালিক প্রতিনিধিরা বৈঠকে বসেন।
রূপগঞ্জ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তরিকুল ইসলাম বলেন, “শ্রমিক ও মালিক পক্ষকে নিয়ে পুলিশ ও প্রশাসনের কর্মকর্তারা বসেছেন। ক্ষতিগ্রস্ত ভবনে কাজ শুরু করা যাবে কিনা এ বিষয়ে পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত জানানো হবে।