এ বয়সে এসে কিছুটা স্বাধীনতা বাবাদেরও প্রাপ্য, সন্তানদের সেটা মেনে নিতে হবে
Published: 22nd, November 2025 GMT
এ বয়সে এসে কিছুটা স্বাধীনতা বাবাদেরও প্রাপ্য, সন্তানদের সেটা মেনে নিতে হবে
লাভা টাওয়ার হয়ে কিছু সমতল কিছুটা উঁচু-নিচু পথ ধরে বারাঙ্কো ক্যাম্পে ৩ হাজার ৯০০ মিটার উচ্চতায় যখন পৌঁছালাম, তখন বিকেলের আলো ফুরিয়ে এসেছে। ছায়াচ্ছন্ন বারাঙ্কো ওয়ালের পেছনে সোনালি রং ধারণ করেছে কিলিমানজারো। দুদিন আগে সন্ধ্যার এ সময়টাতে ৩ হাজার ৬১০ মিটার উচ্চতায় শিরা-১ ক্যাম্প থেকে নানা রঙের কিলিমানজারো দেখেছি। কখনো গোলাপি, কখনো একেবারে লাল। তখনো বারাঙ্কো ওয়াল বলে কিছু চোখে পড়েনি। গত দুদিন পায়ে হেঁটে ২০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে শিরা-২ ও লাভা টাওয়ার পার হয়ে কিছুটা উঁচুতে উঠে এসেছি।
বাঁ দিকে গেলেই আমাদের তাঁবু। ডান দিকে উঁচু পাহাড়ের ওপর দাঁড়িয়ে আছে তারেক অণু ও অন্য কয়েকজন। বোঝা যায়, ওখানে মোবাইল নেটওয়ার্ক আছে। আমিও তাঁবুর দিকে না গিয়ে ক্লান্ত পায়ে হেঁটে হেঁটে পাহাড়ের ওপরে উঠে ওদের সঙ্গে দাঁড়াই। অণু তখন ফেসবুক লাইভে জায়গাটার বর্ণনা দিচ্ছে। কত সহজে ও এই অদেখা অপরূপ জগতের বর্ণনা দেয়, শুনে অবাক লাগে। কথা বলতে বলতে আমাকে ডেকে নিয়ে পরিচয় করিয়ে দেয় ওর দর্শক-শ্রোতার সঙ্গে। জানতে চায়, অবসরজীবন কেমন কাটছে, কীভাবে এমন অভিযানের সঙ্গে জড়িত হলাম। বর্ষীয়ান অভিযাত্রী হিসেবে আমার অভিজ্ঞতা জানতে চায় অণু।
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
ভূমিকম্পের সময় কী করবেন, কী করবেন না
দেশে গত সাড়ে ৩১ ঘণ্টায় চারবার ভূমিকম্প হয়েছে। এর মধ্যে আজ শনিবার সকালে একবার ও সন্ধ্যায় পরপর দুবার ভূকম্পন অনুভূত হয়। এর আগে গতকাল শুক্রবার সকাল ১০টা ৩৮ মিনিটে ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে রাজধানীসহ আশপাশের এলাকা।
শুক্রবারের ভূমিকম্প সারা দেশেই অনুভূত হয়। ভূমিকম্পের সময় অনেকেই আতঙ্কে ঘরের বাইরে বেরিয়ে আসেন। আতঙ্কে অনেকেই ভবন থেকে লাফিয়েও পড়েন। এতে শিশুসহ ১০ জন নিহত ও ছয় শতাধিক ব্যক্তি আহত হয়েছেন।
ভূমিকম্পের সময় কিছু করণীয় আছে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় ভূমিকম্পের সময় করণীয় নিয়ে একগুচ্ছ পরামর্শ দিয়েছে। দেখে নেওয়া যাক পরামর্শগুলো:
কী করবেন, কী করবেন নাভূকম্পন অনুভূত হলে আতঙ্কিত হবেন না।
ভূকম্পনের সময় বিছানায় থাকলে বালিশ দিয়ে মাথা ঢেকে টেবিল, ডেস্ক বা শক্ত কোনো আসবাবের নিচে আশ্রয় নিন।
রান্নাঘরে থাকলে গ্যাসের চুলা বন্ধ করে দ্রুত বেরিয়ে আসুন।
বিম, কলাম ও পিলার ঘেঁষে আশ্রয় নিন।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অবস্থানকালে স্কুলব্যাগ মাথায় দিয়ে শক্ত বেঞ্চ অথবা শক্ত টেবিলের নিচে আশ্রয় নিন।
ঘরের বাইরে থাকলে গাছ, উঁচু বাড়ি, বৈদ্যুতিক খুঁটি থেকে দূরে খোলাস্থানে আশ্রয় নিন।
গার্মেন্টস ফ্যাক্টরি, হাসপাতাল, মার্কেট ও সিনেমা হলে থাকলে বের হওয়ার জন্য দরজার সামনে ভিড় কিংবা ধাক্কাধাক্কি না করে দুহাতে মাথা ঢেকে বসে পড়ুন।
ভাঙা দেয়ালের নিচে চাপা পড়লে বেশি নড়াচড়ার চেষ্টা করবেন না। কাপড় দিয়ে মুখ ঢেকে রাখুন, যাতে ধুলাবালু শ্বাসনালিতে না ঢোকে।
একবার কম্পন হওয়ার পর আবারও কম্পন হতে পারে। তাই সুযোগ বুঝে বের হয়ে খালি জায়গায় আশ্রয় নিন।
ওপর তলায় থাকলে কম্পন বা ঝাঁকুনি না থামা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে; তাড়াহুড়ো করে লাফ দিয়ে বা লিফট ব্যবহার করে নামা থেকে বিরত থাকুন।
কম্পন বা ঝাঁকুনি থামলে সিঁড়ি দিয়ে দ্রুত বেরিয়ে পড়ুন এবং খোলা আকাশের নিচে অবস্থান নিন।
গাড়িতে থাকলে পদচারী–সেতু, উড়ালসড়ক, গাছ ও বৈদ্যুতিক খুঁটি থেকে দূরে গাড়ি থামান। ভূকম্পন না থামা পর্যন্ত গাড়ির ভেতরে থাকুন।
ব্যাটারিচালিত রেডিও, টর্চলাইট, পানি এবং প্রাথমিক চিকিৎসার সরঞ্জাম বাড়িতে রাখুন।