দক্ষিণ আফ্রিকার একটি হোস্টেলে বন্দুক হামলার ঘটনায় কমপক্ষে ১১ জন নিহত হয়েছেন। শনিবার ভোরে রাজধানী প্রিটোরিয়ার পশ্চিমে অবস্থিত সলসভিল শহরতলিতে বন্দুকধারীদের হামলায় আরো ১৪ জন আহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে তিন বছর বয়সী এক শিশুও রয়েছে।

পুলিশের মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার অ্যাথলেন্ডা ম্যাথে বলেন, “কমপক্ষে তিনজন অজ্ঞাত বন্দুকধারী এই হোস্টেলে প্রবেশ করে, যেখানে একদল লোক মদ্যপান করছিল এবং তারা এলোপাতাড়ি গুলি চালাতে শুরু করে।”

গুলিবর্ষণের উদ্দেশ্য অজানা এবং এখনো পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে অপরাধপ্রবণ দেশটিতে ধারাবাহিক গণহারে গুলিবর্ষণের ঘটনাগুলির মধ্যে এটি সর্বশেষ ঘটনা।

হামলায় নিহতদের মধ্যে ১২ বছর বয়সী এক ছেলে এবং ১৬ বছর বয়সী এক মেয়েও রয়েছে।

ম্যাথে বলেন, “"আমি নিশ্চিত করতে পারি যে মোট ২৫ জন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।”

হোস্টেলটিকে ‘অবৈধ শিবিন’ হিসেবে বর্ণনা করে তিনি বলেন, “এই অবৈধ ও লাইসেন্সবিহীন মদের দোকানের ক্ষেত্রে আমরা একটি গুরুতর চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হচ্ছি। এখানে নিরপরাধ মানুষও ক্রসফায়ারের কবলে পড়ে।”
 

ঢাকা/শাহেদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর বন দ ক

এছাড়াও পড়ুন:

এশিয়ার ৫ দেশে বন্যা ও ভূমিধসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৭৫০

এশিয়ার পাঁচটি দেশে বন্যা ও ভূমিধসে ক্ষতিগ্রস্ত লাখ লাখ মানুষকে সহায়তা করার জন্য উদ্ধারকারী দল এবং স্বেচ্ছাসেবকরা লড়াই করে যাচ্ছেন। শনিবার ইন্দোনেশিয়া, শ্রীলঙ্কা ও থাইল্যান্ডে মৃতের সংখ্যা ১ হাজার ৭৫০ জন ছাড়িয়ে গেছে।

আচেহ প্রদেশের সুমাত্রা দ্বীপ থেকে শনিবারের সর্বশেষ তথ্য অনুসারে, ইন্দোনেশিয়ায় কমপক্ষে ৯০৮ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত হওয়া গেছে এবং ৪১০ জন এখনো নিখোঁজ রয়েছে। এই অঞ্চলে আট লাখেরও বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে।

শ্রীলঙ্কায় সরকার ৬০৭ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে। বন্যা ও ভূমিধসের কারণে আরো ২১৪ জন নিখোঁজ রয়েছে। সেই হিসেবে মৃতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

বন্যায় থাইল্যান্ডেও কমপক্ষে ২৭৬ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে। এছাড়া মালয়েশিয়ায় দুজন এবং ভিয়েতনামে দুইজনের মৃত্যু হয়েছে।

এদিকে, ইন্দোনেশিয়ার আবহাওয়া সংস্থা সতর্ক করে দিয়ে বলেছে, আচেহ প্রদেশে শনিবার পর্যন্ত ‘খুব ভারী বৃষ্টিপাত’ হতে পারে, উত্তর ও পশ্চিম সুমাত্রাও ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।

আচেহের গভর্নর মুজাকির মানাফ জানিয়েছেন, উদ্ধারকারী দলগুলো এখনো ‘কোমর-গভীর’ কাদায় মৃতদেহ অনুসন্ধান করছে। দুর্ভিক্ষ এখন প্রত্যন্ত ও দুর্গম গ্রামগুলোতে সবচেয়ে গুরুতর হুমকি হয়ে উঠছে এখন।

তিনি বলেন, “অনেক মানুষের মৌলিক জিনিসপত্র প্রয়োজন। আচেহের প্রত্যন্ত অঞ্চলের অনেক এলাকায় এখনো যাওয়া সম্ভব হয়নি উদ্ধারকারীদের।”

শ্রীলঙ্কায় ২০ লাখেরও বেশি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কর্মকর্তারা শুক্রবার ভারী বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকার ফলে নতুন ভূমিধসের ঝুঁকি তৈরি হওয়ার বিষয়ে সতর্ক করেছেন।

শ্রীলঙ্কার দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কেন্দ্র (ডিএমসি) জানিয়েছে, ৭১ হাজারেরও বেশি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যার মধ্যে প্রায় পাঁচ হাজার বাড়ি গত সপ্তাহের বন্যা ও ভূমিধসে ধ্বংস হয়ে গেছে। 

ঢাকা/শাহেদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • এশিয়ার ৫ দেশে বন্যা ও ভূমিধসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৭৫০
  • চুয়েটের ভর্তি পরীক্ষা ১৭ জানুয়ারি, জেনে নিন আবেদনে যোগ্যতা