শেষ বিকেলের দুই আঘাতে এগিয়ে গেল পাকিস্তান
Published: 21st, October 2025 GMT
রাওয়ালপিন্ডিতে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টের দ্বিতীয় দিনে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে পাকিস্তান। দিনের একদম শেষ মুহূর্তে দুটি গুরুত্বপূর্ণ উইকেট তুলে নিয়ে ম্যাচে খানিকটা এগিয়ে গেছে স্বাগতিকরা। দ্বিতীয় দিন শেষে দক্ষিণ আফ্রিকার সংগ্রহ ৪ উইকেটে ১৮৫, এখনও তারা পাকিস্তানের থেকে পিছিয়ে আছে ১৪৮ রানে। দলের ভরসা এখনো টিকে থাকা ব্যাটার ট্রিস্টান স্টাবসের উপর। যিনি ধৈর্য ধরে গড়েছেন অপরাজিত অর্ধশত রানের ইনিংস।
দিনের শুরুটা ছিল পাকিস্তানের নিয়ন্ত্রণে। আগের দিন অপরাজিত থাকা সৌদ শাকিল নিজের অর্ধশতক সম্পূর্ণ করেন। অন্য প্রান্তে ধীরে ধীরে ছন্দে ফিরছিলেন সালমান আগা। দু’জনের সাবধানী ব্যাটিংয়ে দল পার হয়ে যায় তিনশ রানের গণ্ডি। ম্যাচ তখন পুরোপুরি পাকিস্তানের দখলেই মনে হচ্ছিল। কিন্তু এরপর বদলে যায় চিত্রটা।
আরো পড়ুন:
ওয়ানডে ক্রিকেটে বিশ্বরেকর্ড, প্রথমবার ৫০ ওভার করলেন স্পিনাররা
ছয় উইকেট হারিয়ে ধুকছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ
স্পিনের জাদু দেখিয়ে কেশভ মহারাজ ভাঙেন ৮৭ রানের সেই পার্টনারশিপ। প্রথমে সালমান আগাকে ফেরানোর পর পরের আঘাতেই বিদায় করেন সেট ব্যাটার সৌদ শাকিলকে (৬৬)। এরপর যেন পাকিস্তান ব্যাটিং এক নিমেষে ভেঙে পড়ে। টেইলএন্ডারদেরও রেহাই দেননি মহারাজ। শেষ পর্যন্ত ইনিংসে তুলে নেন ৭ উইকেট, যা দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে টেস্টে অন্যতম সেরা স্পেলগুলোর একটি। পাকিস্তানের শেষ পাঁচ উইকেট পড়ে যায় মাত্র ১৭ রানে।
ব্যাটিং ব্যর্থতার পর পাকিস্তানের প্রয়োজন ছিল এক উজ্জীবিত বোলিং শুরু এবং সেটাই এনে দেন শাহিন শাহ আফ্রিদি। ইনিংসের শুরুতেই ফেরান রায়ান রিকেলটনকে। আর পাকিস্তান পেয়ে যায় কাঙ্ক্ষিত ব্রেকথ্রু। কিন্তু এরপর ব্যাট হাতে স্থির হয়ে যান তরুণ স্টাবস। সাধারণত আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ের জন্য পরিচিত এই ব্যাটার আজ খেললেন সম্পূর্ণ বিপরীত ভূমিকায়; ধৈর্য, মনোযোগ আর সময় নিয়ে।
অন্য প্রান্তে অবশ্য এইডেন মার্করাম বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। সাজিদ খানের বলে লং অনে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরেন তিনি। পাকিস্তানের পক্ষে তখন সুযোগ ছিল আরও এক ধাক্কায় ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার। কিন্তু তা হতে দেননি টনি ডি জর্জি।
স্টাবসকে সঙ্গে নিয়ে ধীরে ধীরে গড়ে তোলেন গুরুত্বপূর্ণ জুটি। প্রথম বাউন্ডারিটা এল তার ব্যাট থেকে ৬১তম বলে। এরপর ক্রমে আস্থার সঙ্গে এগোতে থাকেন দুই ব্যাটার। একঘেয়ে সময় ভাঙেন ডি জর্জি। টানা দুটি ছক্কা হাঁকিয়ে পৌঁছে যান অর্ধশতকে। একই ওভারে ফিফটি করেন স্টাবসও। তাদের জুটি পার করে যায় শতরানের মাইলফলক।
দেখে মনে হচ্ছিল, দ্বিতীয় দিনের খেলা দক্ষিণ আফ্রিকার হাসিমুখ নিয়েই শেষ হবে। কিন্তু ভাগ্যের চাকা ঘুরে যায় দিনের একেবারে শেষ দিকে। অভিষেক দারুণ মুহূর্ত এনে দেন আসিফ আফ্রিদি। প্রথমে এলবিডব্লিউ করে ফেরান ডি জর্জিকে। এরপর নিজের পরের ওভারেই শূন্য রানে ফেরান ডেওয়াল্ড ব্রেভিসকে।
শেষ বিকেলের দুই আঘাতে কিছুটা স্বস্তি নিয়ে দিন শেষ করে পাকিস্তান। তবুও লড়াই বাকি। কারণ উইকেটে এখনো আছেন সেট ব্যাটার স্টাবস (৬৮*) এবং অভিজ্ঞ কাইল ভেরেইনে। আগামীকাল বুধবার সকালে শুরু হবে তৃতীয় দিনের খেলা।
ঢাকা/আমিনুল
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স ট বস উইক ট
এছাড়াও পড়ুন:
আইএল টি–টোয়েন্টিতে অভিষেকেই মোস্তাফিজ জাদু
দল জেতেনি। তবে বাংলাদেশের ‘কাটার মাস্টার’ মোস্তাফিজুর রহমান তাঁর কাজটা করেন দারুণভাবে। কাল সংযুক্ত আরব আমিরাতের টি-টোয়েন্টি লিগ ইন্টারন্যাশনাল টি-টোয়েন্টিতে নিজের প্রথম ম্যাচ খেলেছেন মোস্তাফিজ।
অভিষেক ম্যাচেই বল হাতে ৪ ওভারে ২৬ দিয়ে নিয়েছেন ২টি উইকেট। শুধু বোলিং নয়, ফিল্ডিংয়েও ধরেছেন দুটি ক্যাচ। এরপরও তাঁর দল দুবাই ক্যাপিটালস ৪ উইকেটে হেরে গেছে গালফ জায়ান্টসের কাছে।
দুবাইয়ে আগে ব্যাটিং করে দুবাই ক্যাপিটালস তুলেছিল ১৬০ রান। সেই রান তাড়া করতে নেমে গালফ জায়ান্টস জিতেছে ৭ বল ও ৪ উইকেট হাতে রেখে।
মোস্তাফিজ কাল উইকেট পেয়েছেন তাঁর করা প্রথম বলেই। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারের প্রথম বলে ফেরান গালফ ওপেনার রহমানউল্লাহ গুরবাজকে। প্রথম ওভারে ১১ রান দেওয়া মোস্তাফিজ এরপর আবার আসেন পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে।
উইকেট পেতে পারতেন এই ওভারের শেষ বলেও। তাঁর বলে ক্যাচ তুলেছিলেন জেমস ভিন্স। কিন্তু ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে দাঁড়ানো ডেভিড উইলি ক্যাচ নিতে পারেননি, উল্টো বানিয়ে দেন চার। সেই ওভার থেকে আসে ১০ রান। আর সেই ভিন্সই পরে ফিফটি করে অপরাজিত থেকে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন।
আরও পড়ুনদেখে নিন ২০২৬ বিশ্বকাপ ফুটবলের পূর্ণাঙ্গ সূচি৮ ঘণ্টা আগে১২তম ওভারে এসে মোস্তাফিজ আবারও ঝলক দেখান। মাত্র দুই রান দিয়ে তুলে নেন ফিফটি করা পাতুম নিশাঙ্কার উইকেট। এরপর ১৬তম ওভারে দেন মাত্র ৩ রান। প্রথম দুই ওভারে ২১ রান দেওয়া এই বাঁহাতি পেসার শেষ দুই ওভারে দিয়েছেন মাত্র ৫ রান।
মোস্তাফিজের স্পেল শেষ হওয়ার সময় গালফের দরকার ছিল ২৪ বলে ২৯ রান। সেই সমীকরণ তারা সহজেই মেলাতে পেরেছে। নিশাঙ্কা খেলেছেন ৩১ বলে ৬৭ রানের ঝড়ো ইনিংস, হয়েছেন ম্যাচসেরা।
এবারের আসরে প্রথম দুই ম্যাচেই হেরেছে দুবাই ক্যাপিটালস। আর গালফ জায়ান্টস দুটিই জিতে পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে।
আরও পড়ুনবিপিএল কি মিস করেন সালাহউদ্দীন১৪ ঘণ্টা আগে