ভারতের নারী ক্রিকেটার স্মৃতি মান্ধানা ও বলিউডের বিখ্যাত প্লেব্যাক গায়ক, সংগীত পরিচালক পলাশ মুচ্ছাল। দীর্ঘ পাঁচ বছর চুটিয়ে প্রেম করার পর বিয়ে করতে যাচ্ছেন এই যুগল। গত কয়েক দিন ধরে বিয়ের আনন্দে মেতেছিলেন তারা। রবিবার (২৩ নভেম্বর) সাঙ্গলির সামডোলের মান্ধানার ফার্ম হাউজে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু হঠাৎ হার্ট অ্যাটাক হয় স্মৃতির বাবা শ্রীনীবাস মান্ধানার। ফলে থমকে যায় বিয়ে। এরই মধ্যে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন স্মৃতির হবু বর পলাশ মুচ্ছাল। 

এনডিটিভির বরাত দিয়ে টাইমস অব ইন্ডিয়া এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, স্মৃতির হবু বর সংগীতশিল্পী পালাশ মুচ্ছাল অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। ভাইরাসজনিত সংক্রমণ ও এসিডিটি বেড়ে যাওয়ায় তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। পরে দ্রুত তাকে একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে তার সমস্যা গুরুতর নয়, পরে চিকিৎসা দিয়ে গতকাল সন্ধ্যায় হোটেলে ফিরেন। 

আরো পড়ুন:

থমকে গেল গায়ক পলাশ ও ক্রিকেটার স্মৃতির বিয়ের সানাই

দিল্লি বিস্ফোরণ নিয়ে শাহরুখ খানের বক্তব্য

সর্বহিত হাসপাতাল ও ক্লিনিক্যাল রিসার্চ সেন্টারে ভর্তি রয়েছেন স্মৃতির বাবা শ্রীনীবাস। এ হাসপাতালের  চেয়ারম্যান ও নিউরো ফিজিশিয়ান নমান শাহ বলেন,  “গতকাল বিকেল ১টা ৩০ মিনিটের দিকে তার এনজাইনা শুরু হয়, ২টা ১৫ মিনিটে তাকে আমাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে ভর্তি রয়েছেন তিনি। সোমবার (২৪ নভেম্বর) আমরা আরো কিছু পরীক্ষা করব, তারপর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে অ্যাঞ্জিওগ্রাফি প্রয়োজন কি না,” 

বিয়ের অনুষ্ঠান বাতিল করার তথ্য জানিয়ে স্মৃতির ম্যানেজার তুহিন মিশ্রা বলেন, “আপনারা জানেন, স্মৃতি তার বাবার খুব কাছের মানুষ। তাই তিনি সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, তার বাবা সুস্থ না হওয়া পর্যন্ত আজকের (২৩ নভেম্বর) নির্ধারিত বিয়েটি অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত থাকবে। এখন তিনি হাসপাতালে আছেন। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তাকে আরো কিছুদিন হাসপাতালে থাকতে হবে। আমরাও খুব মর্মাহত। আমাদের একটাই চাওয়া তিনি যেন দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠেন।”

ঢাকা/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র

এছাড়াও পড়ুন:

তাজরিন ট্র্যাজেডি: ফুলেল শ্রদ্ধায় নিহত শ্রমিকদের স্মরণ

সাভারের আশুলিয়ায় তাজরীন ফ্যাশনে আগুনে নিহত ১১৭ শ্রমিককে শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেছেন তাদের পরিবার ও বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনের নেতারা।

সোমবার (২৪ নভেম্বর) সকালে আশুলিয়ার নিশ্চিন্তপুরে পরিত্যক্ত তাজরিন গার্মেন্টসের সামনে প্রতি বছরের মতো ফুল দিয়ে নিহতদের স্মরণ করেন তারা। 

নিহতদের রুহের মাগফিরাত কামনায় দোয়া ও এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। পরে মানববন্ধন কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে নিহত ও আহত শ্রমিকদের এক জীবন সমপরিমাণ ক্ষতিপূরণসহ পুনর্বাসনের দাবি জানানো হয়।

শ্রমিক নেতারা বলেন, আজকে তাজরিন ট্র্যাজেডিন ১৩ বছর পূর্ণ হলো। এ ঘটনায় দোষীদের বিচার এখনো হয়নি। নিহত শ্রমিকদের পরিবারগুলো কষ্টে দিন পার করছেনে। আহত শ্রমিকরা পঙ্গু হয়ে জীবনযাপন করছেন। নেতারা তাজরিনের এই ভবনটি ভেঙে শ্রমিকদের পুনর্বাসন অথবা হাসপাতালে তৈরি করা দাবি জানান। 

সেই দিনের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন অনেকেই। তাদেরই একজন তাজরিনের আহত শ্রমিক নাছিমা আক্তার। তিনি বলেন, “আজ তাজরিন ঘটনার ১৩ বছর হয়ে গেল। তারপরও আমরা ন্যায্য ক্ষতিপূরণ পেলাম না। বেঁচে থাকার জন্য শারিরীক ও মানসিক যন্ত্রণা নিয়েই ঝুটের গোডাউনে অল্প বেতনে কাজ করছি। চিকিৎসা না পেয়ে আমাদের কয়েকজন শ্রমিক মারা গেছেন। সবাই এই দিনটির কথা ভুলে গেলেও আমরা কোনভাবেই ভুলতে পারি না।”

বাংলাদেশ গার্মেন্টস ও সোয়েটার্স শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের কেন্দ্রীয় কমিটির আইন বিষয়ক সম্পাদক খায়রুল মামুন মিন্টু বলেন, “২০১২ সালের ২৪ নভেম্বর আশুলিয়ার নিশ্চিতপুরে অবস্থিত তোবা গ্রুপের গার্মেন্টস কারখানা তাজরিন ফ্যাশন লিমিটেডের মালিক দেলোয়ারের পরিকল্পিত লাগানো আগুনে ১১৪ শ্রমিক নিহত হন। বহু শ্রমিক আহত আহত হয়ে বিভিন্নভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হন। ক্ষতিগ্রস্ত শ্রমিকদের সুচিকিৎসা, পুর্নবাসন, ক্ষতিপূরণ এখনো দেওয়া হয়নি। অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় কারখানা মালিক দেলোয়ারসহ দায়ী ব্যাক্তিদের বিচার হয়নি।”

তিনি বলেন, “বিগত সরকার শ্রমিকদের সুচিকিৎসা, পুর্নবাসন, ক্ষতিপূরণ এবং অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় কারখানা মালিক দেলোয়ারসহ দায়ী ব্যাক্তিদের বিচার নিশ্চিত করেনি। বরং দলীয় পদ-পদবী দিয়ে পুরস্কৃত করেছেন। বর্তমান সরকার শ্রমিকদের বারবার আশ্বাস দিয়ে দিয়ে আসছেন, কিন্তু আশ্বাস বাস্তবায়নের কোনো উদ্যোগ দেখছি না। সবাই শ্রমিকদের সঙ্গে প্রতারণা করছেন।”

২০১২ সালের ২৪ নভেম্বর আশুলিয়ার নিশ্চিতপুরে তাজরীন গামেন্টেসে অগ্নিকাণ্ডে প্রায় ১১৭ জন শ্রমিক নিহত হন। আহত হন প্রায় দুই শতাধিক শ্রমিক।

ঢাকা/সাব্বির/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ