জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেছেন, সব ধরনের ষড়যন্ত্রকে মেধা ও নৈতিক আদর্শের শক্তি দিয়ে মোকাবিলা করতে হবে। আজকাল দেখা যাচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়ায় জামায়াত-শিবিরকে জড়িয়ে বিভিন্ন প্রকার মিথ্যা ও ভুয়া তথ্য প্রচারিত হচ্ছে। তথ্যপ্রযুক্তির যথাযথ জ্ঞান অর্জন করে বিরোধীদের অপপ্রচারের সঠিক ও তথ্যবহুল জবাব দিতে হবে।

মঙ্গলবার সকালে খুলনা-৫ আসনের শাহপুর আঞ্চলিক অফিসে ডুমুরিয়া উপজেলার ধামালিয়া, রঘুনাথপুর, রুদাঘরা ইউনিয়ন ভোটকেন্দ্র প্রতিনিধি সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় গোলাম পরওয়ার এ কথা বলেন। তিনি জনগণের উদ্দেশে বলেন, ‘জামায়াত কখনো ক্ষমতায় যায়নি। এবার জামায়াতকে ভোট দিয়ে পরীক্ষা করুন।’
জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল বলেন, ‘ডাকসু, জাকসু, চাকসু ও রাকসুতে ছাত্রশিবির তার প্রতিভার স্বাক্ষর রেখেছে। সারা দেশের বিশ্ববিদ্যালয়-কলেজ ছাত্র সংসদে ছাত্রশিবিরের এ অগ্রযাত্রাকে ধরে রাখতে হবে। লেখাপড়ার পাশাপাশি আগামী নির্বাচনেও ছাত্রশিবির তাদের প্রতিভার স্বাক্ষর রাখবে বলে আশা করি। তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে জামায়াতের কল্যাণমুখী দেশ গঠনের ইতিবাচক রাজনীতি জনগণের কাছে তুলে ধরার পাশাপাশি ময়দানেও ব্যালট বিপ্লবে ভূমিকা রাখবে।’

জামায়াতের এই নেতা আরও বলেন, বাংলাদেশ একটা ইতিবাচক অবস্থার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। জুলাই সনদে স্বাক্ষর করেছি। একটা স্বচ্ছ, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন, প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতির ক্ষমতার ভারসাম্য, নির্বাচনের মধ্য দিয়ে নতুন করে নির্বাচিত কোনো শাসক যাতে কর্তৃত্ববাদী স্বৈরাচারী ফ্যাসিবাদী না হয়ে ওঠে, সেভাবে জনপ্রশাসন, মাঠপর্যায়ের প্রশাসন, জুডিশিয়ারি ব্যবস্থা, ইলেকটোরাল সিস্টেম, দুর্নীতি দমন কমিশনসহ সরকারের ছয়টি অরগানকে সাজানো হয়েছে।

একটি পক্ষ জামায়াতের গণজোয়ার রুখে দিতে ষড়যন্ত্র চালাচ্ছে উল্লেখ করে গোলাম পরওয়ার বলেন, ‘জামায়াত ঘের দখল করে না, জমি দখল করে না, বালু উত্তোলন করে না। জামায়াত ক্ষমতায় গেলে দেশে বেকার থাকবে না। কারিগরি শিক্ষার মাধ্যমে দেশের বেকারত্ব দূর করা হবে। সৃষ্টিকর্তার বিধান দিয়ে রাষ্ট্র পরিচালিত হলে হিন্দু ও মুসলিম সবাই ভালো থাকবেন।’

স্বাধীনতার ৫৪ বছরে আওয়ামী লীগ ২১ বছর, বিএনপি ১৫ বছর আর জাতীয় পার্টি ৯ বছর ক্ষমতায় থেকেও মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করতে পারেনি উল্লেখ করে গোলাম পরওয়ার বলেন, ‘তারা দেশের মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন করতে পারেনি। করেছে নিজেদের পরিবর্তন। ক্ষমতায় যায়নি শুধু জামায়াতে ইসলামী। এবার জামায়াতে ইসলামীকে ভোট দিয়ে পরীক্ষা করুন। এ কথা বলতে পারি, জামায়াত ঘুষ, চাঁদাবাজি, সন্ত্রাস করে না। দেশে দুর্নীতি ও লুটপাট থাকবে না। দেশের মানুষকে ভালো রাখবে ইনশা আল্লাহ।’

ডুমুরিয়া উপজেলা জামায়াতের আমির মাওলানা মোক্তার হোসেনের সভাপতিত্বে ও ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি আবদুর রশীদ বিশ্বাসের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি মুন্সি মিজানুর রহমান, সহকারী সেক্রেটারি মিয়া গোলাম কুদ্দুস, জেলা কর্মপরিষদ সদস্য গোলাম মোস্তফা আল মুজাহিদ, জেলা ছাত্রশিবির সভাপতি ইউসুফ ফকির, উপজেলা জামায়াতের নায়েবে আমির গাজী সাইফুল্লাহ প্রমুখ।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: গ ল ম পরওয় র ক ষমত য় ইসল ম

এছাড়াও পড়ুন:

শহীদ জিয়া হল : ইতিহাস, ষড়যন্ত্র আর আনিসুল ইসলাম সানির সংগ্রাম

‘শহীদ জিয়া হল’। একটি সংগ্রামের নাম, একটি ঐতিহ্যের নাম। অনেক ঝড়ঝাপ্টা গিয়েছে এই নামটার উপর দিয়ে। তবে ‘শহীদ জিয়া’র আদর্শকে বুকে ধারণ করেন, এমন কয়েকজনের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় এখনো মাথা উঁচু করে সটান দাঁড়িয়ে আছে ঐতিহাসিক এ স্থাপনা।

নারায়ণগঞ্জ শহরের প্রাণকেন্দ্র চাষাঢ়ায় ৬০.৬২ শতাংশ জমির উপর গড়ে ওঠা শহীদ জিয়া হলটি ছিলো একসময় সাংস্কৃতিক কর্মীদের মিলন মেলার কেন্দ্রস্থল। নাটকসহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, সভা-সেমিনার, রাজনৈতিক ও সামাজিক কর্মকান্ডে সর্বদাব্যস্ত থাকতো জিয়া হল।

নাগরিক ভাবনার উন্মেষ ঘটতো এই প্রাঙ্গণে। অথচ কালের সাক্ষী সেই শহীদ জিয়া হলটি আজ জরাজীর্ণ ভগ্নস্মৃতির স্তূপ। বাইরে থেকে দেখলে মনে হয় এটি যেনো কোনো একটি পরিত্যক্ত ভবন । সামান্য বৃষ্টি হলেই ছাদের ফাটল ও টিনের চালা দিয়ে ঝরঝরিয়ে পানি পড়ে। দেয়ালে ছত্রাকের ছোপ, দরজা-জানালার ভগ্নাংশ।

আর এই অবস্থায় সেখানে আস্তানা গেঁড়েছে মাদকসেবি আর ছিনতাইকারীরা। পাশাপাশি রাতের আঁধারে চলে অসামাজিক কার্যকালাপও। প্রশাসনের অযত্ন-অবহেলায় এটি ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়লেও কতিপয় অসাধু কর্মকর্তার ছত্রছায়ায় হল প্রাঙ্গনে বসে বিভিন্ন মেলার নামে ধান্দা। মেলার ভিতর বিভিন্ন দোকান বসিয়ে যে টাকা পাওয়া যায়, সেই টাকা যায় অজানা গন্তব্যে।

প্রশ্ন জাগে, এ কেবল একটি ভবনের ধ্বংস, নাকি শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের নামকে মুছে ফেলার সুপরিকল্পিত ষড়যন্ত্র? অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে শহীদ জিয়া হলের ইতিহাস, ষড়যন্ত্রের জাল, রাজনৈতিক প্রতিহিংসা এবং এজন সাচ্চা জিয়াপ্রেমিক আনিসুল ইসলাম সানির নিরলস সংগ্রামের গল্প। দীর্ঘ চার দশকেরও বেশি সময় ধরে শহীদ জিয়া হলের নাম, মর্যাদা এবং অস্তিত্ব রক্ষায় তিনি রাজনৈতিক ও আইনগত লড়াইয়ের মাধ্যমে নেতৃত্ব দিয়েছেন ।

তার কারণেই মূলত শহীদ জিয়া হলটি এখনো মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে। স্বৈরাচার শেখ হাসিনার আমলে (১৯৯৬-২০০০) এবং (২০০৮-২০২৪) সময়ে শামীম ওসমানের নেতৃত্বে ওসমান পরিবারের দোসররা শত চেষ্টা করেও শহীদ জিয়া হলের নাম পরিবর্তন করতে পারেনি। ভগ্নপ্রায় ভবনটি সংস্কারের জন্য বিভিন্নভাবে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন আনিসুল ইসলাম সানি।

৫ আগস্ট স্বৈরাচার হাসিনা সরকারের পতনের পর ঐতিহাসিক ৭ নভেম্বর শহীদ জিয়া হল প্রাঙ্গণে এক বিশাল জনসমাবেশ থেকে অবিলম্বে হলটি সংস্কার করে সাংস্কৃতিক কর্মকান্ড পরিচালনার জন্য উন্মুক্ত করার দাবি জানান আনিসুল ইসলাম সানি।  এ সময় তিনি “শহীদ জিয়া হলকে অবিলম্বে সংস্কার না করলে নারায়ণগঞ্জবাসিকে নিয়ে কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলার হুঁশিয়ারি দেন। 

প্রসঙ্গত, ১৯৭৮ সালের ১০ মার্চ তৎকালীন রাষ্ট্রপতি মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমান (বি.ইউ.পি.এস.সি) ‘নারায়ণগঞ্জ শহর উন্নয়ন কমিটি প্রকল্প’ এর মাধ্যমে চাষাঢ়া বালুর মাঠে ‘টাউন হল’ নামে আজকের এই শহীদ জিয়া হলটির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। উদ্দেশ্য ছিল, নারায়ণগঞ্জের সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক ও সামাজিক কর্মকাণ্ড পরিচালিত হবে এখান থেকে। স্থানীয়দের স্বপ্ন পূরণে নির্মিত এই টাউন হল একসময় হয়ে ওঠে নারায়ণগঞ্জের সাংস্কৃতিক প্রাণকেন্দ্র।

পরবর্তিতে ১৯৮১ সালের ৩০ মে চট্টগ্রামে ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে জিয়াউর রহমান নিহত হলে, একই   বছর ১৯ জুলাই তৎকালীন অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি বিচারপতি আবদুস সাত্তারকে দিয়ে ‘টাউন হল’ উদ্বোধন করার জন্য তারিখ ও সময় চূড়ান্ত করলে, ‘টাউন হল’ নামে হলটির উদ্বোধনের ক্ষেত্রে আপত্তি তোলেন বিএনপি’র অন্যতম অঙ্গসংগঠন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থা-জাসাস এর তৎকালীন নারায়ণগঞ্জ জেলার সভাপতি তরুণ বিএনপি নেতা আনিসুল ইসলাম সানি।

তিনি ‘টাউন হল’ এর পরিবর্তে ‘শহীদ জিয়া হল’ নামকরণ করার প্রস্তাব করলে সর্বসম্মতিক্রমে সেই প্রস্তাব গৃহীত হয় এবং ‘শহীদ জিয়া হল’ নামে হলটি উদ্বোধন হয়। সে থেকে অদ্যাবধি ‘শহীদ জিয়া হল’ চাষাঢ়ার বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে। 

১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর শহীদ জিয়া হলটি শামীম ওসমানের রাজনৈতিক কর্মকান্ড পরিচালনার আড়ালে ব্যবহার করা হয় টর্চারসেল হিসাবে, যা স্থানীয়ভাবে শামীম ওসমানের ‘টর্চারসেল’ হিসেবে ব্যাপক পরিচিতি পায়।

বিরোধী দলের নেতাকর্মীরা এখানে ভয়ঙ্কর নির্যাতনের শিকার  হতেন। পরিকল্পিতভাবে ভবনটি অযত্ন-অবহেলায় ব্যবহার অনুপযোগী করে ‘মুক্তিযোদ্ধা মিলনায়তন’ নামে সাইনবোর্ড টানিয়ে শহীদ জিয়ার নাম মুছে ফেলার অপচেষ্টা চালায়।

২০০১ সালে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে বিএনপি সরকার গঠনের পর ‘শহীদ জিয়া হল’ পুনঃসংস্কারের উদ্যোগ নেয়া হয়। তৎকালীন জেলা প্রসাশক এস এম হারুনার রশিদ এর সার্বিক সহযোগিতায় জেলা শিল্পকলা একাডেমীর সাধারণ সম্পাদক এবং শহীদ জিয়া হল পরিচালনা কমিটির অন্যতম সদস্য হিসেবে আনিসুল ইসলাম সানি হলটি সংস্কার করেন। 

এরপর জমি সংক্রান্ত জটিলতা নিয়ে লড়াই শুরু হয় । এক্ষেত্রেও রেকর্ড সংশোধনীর জন্য আনিসুল ইসলাম সানি বাদী হয়ে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার গংকে বিবাদী করে দায়ের করেন দেওয়ানি মোকদ্দমা। (দেঃ মোঃ নং-১৪৬/০৫)।

প্রয়াত বিশিষ্ট আইনজীবী এম.এ আজিজ প্রামাণিক বাদীর পক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন, তাকে সহযোগীতা করেন তারই জুনিয়র আইনজীবী মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম। মামলাটি দায়েরের পর আনিসুল ইসলাম সানিকে সার্বিকভাবে সহযোগিতা করেন তৎকালীন বিএনপি নেতা প্রয়াত আতাহার হোসেন সামসু, বিএনপি নেতা আনোয়ার হোসেন খান (বীর মুক্তিযোদ্ধা),

এড. মোঃ জাকির হোসেন (বর্তমানে সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক, নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপি) ও এড. সরকার হুমায়ূন কবীর (বর্তমানে যুগ্ম আহ্বায়ক, নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপি ও সভাপতি, জেলা আইনজীবী সমিতি)। মামলার রায়ে রেকর্ড সংশোধন করে ‘শহীদ জিয়া হল’ নামে হলটি রেকর্ড করার জন্য সরকারকে নির্দেশ দেয়া হয়।

আদালতের নির্দেশে ‘টাউন হল’টি ‘শহীদ জিয়া হল’ নামে রেকর্ডভুক্ত হয়। ফলে নামজারী ও জমাভাগ (মিউটিউশন), পর্চ্চা, খাজনা, পৌর ট্যাক্স, বিদ্যুৎ, ওয়াসা, গ্যাস ও টেলিফোন বিল ইত্যাদি টাউন হলের পরিবর্তে ‘শহীদ জিয়া হল’ নামে সংশোধিত হয়।

এ কারণে শত চেষ্টা করেও শহীদ জিয়া হলের নাম পরিবর্তন করার ক্ষেত্রে স্বৈরাচার শেখ হাসিনা মনের-খায়েস মিটাতে ব্যর্থ হয়েছে। ভেস্তে গিয়েছে শেখ হাসিনা ও কুখ্যাত ওসমান পরিবারের সকল ষড়যন্ত্র।

২০০৮ সালে পুনরায় শেখ হাসিনা ক্ষমতাসীন হয়ে টানা ১৬ বছর শত চেষ্টা করেও ‘শহীদ জিয়া হল’ এর নাম পরিবর্তন করতে পারেননি।  

২০২৪ সালের ৫ আগস্ট ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের পতনের পর ৭ নভেম্বর নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর জাসাস আয়োজিত মহাসমাবেশ থেকে আনিসুল ইসলাম সানি স্পষ্ট ঘোষণা দেন “শহীদ জিয়া হল আমাদের অহংকার। এর মর্যাদা রক্ষায় প্রয়োজনে রাজপথে আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।”
তার প্রধান দাবি ছিলো, অবিলম্বে শহীদ জিয়া হলের সংস্কার কার্যক্রম শুরু করা। 

১ বছর পার হলেও প্রশাসন বা সরকারের পক্ষ থেকে হলটি সংস্কারের কোনো উদ্যোগ দেখা যায়নি । প্রতিদিনই হল প্রাঙ্গনে চলছে মেলার নামে দোকান ভাড়া, অথচ সংস্কারের কোন উদ্যোগ নেই।  এতে ক্ষুব্ধ নারায়ণগঞ্জবাসী। তাদের মতে, এটি কেবল ভবন নয়, শহীদ জিয়ার নাম-স্মৃতি বিযোরীত একটি প্রতীক।

শহীদ জিয়া হল প্রসঙ্গে অনিসুল ইসলাম সানির বক্তব্য জানতে চাইলে তিনি ক্ষুব্ধ কণ্ঠে বলেন, ‘শহীদ জিয়া হল সংস্কারের ব্যবস্থা যে কেনো নিচ্ছে না তা আমরা বুঝতে পারছি না। হলটি সংস্কারের ব্যাপারে আমরা দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। যেকোন মূল্যে শহীদ জিয়া হলকে সংরক্ষণ করতেই হবে। এ হলটি আমাদের দীর্ঘ সংগ্রামের ফসল, একটি ইতিহাস।’

নারায়ণগঞ্জবাসীর প্রত্যাশা, সরকার তথা সংশ্লিষ্ট প্রশাসন আর সময়ক্ষেপণ না করে দ্রুত হলটি সংস্কারের পদক্ষেপ নেবেন। প্রয়োজনে হলটি পুনঃনির্মাণ করে একটি অত্যাধুনিক সাংস্কৃতিক কমপ্লেক্স হিসেবে নতুন আঙ্গিকে ‘শহীদ জিয়া হল’কে সাজাতে হবে।

যাতে থাকবে মাটির নিচে পার্কিং এর জন্য দি¦তলবিশিষ্ট বেজমেন্ট, বারো থেকে পনেরশ’ একটি এবং সাতশ’ থেকে একহাজার আসন বিশিষ্ট একটি, মোট দুইটি অডিটরিয়াম, এক বা একাধিক আর্ট গ্যালারি, ছোটবড় চার পাঁচটি কনফারেন্স রুম এবং দশ পনেরটি মহড়া কক্ষ। মোদ্দাকথা, ‘শহীদ জিয়া হল’ হবে বাংলাদেশের একটি অন্যতম সাংস্কৃতিক কমপ্লেক্স। 
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • জামায়াত নেতা তাহের হাসপাতালে সুস্থ আছেন: পরোয়ার
  • জামায়াত জমি দখল করে না: গোলাম পরওয়ার
  • জানুয়ারি মাসেই নির্বাচন চায় গণ অধিকার পরিষদ
  • হাসিনাবিহীন দেশ ঠিকমতো চলছে না, সেটা দেখাতে দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র
  • জামায়াত ক্ষমতায় গেলে দেশে বেকার থাকবে না: গোলাম পরওয়ার
  • শহীদ জিয়া হল : ইতিহাস, ষড়যন্ত্র আর আনিসুল ইসলাম সানির সংগ্রাম
  • এফবিআই ষড়যন্ত্র করছে! ভেবেছিলেন নায়িকা পারভিন ববি
  • জুলাই সনদে সইয়ের পরও কেন কর্মসূচি, ব্যাখ্যা দিলেন জামায়াত সেক্রেটারি
  • নোয়াখালীকে বিভাগ ঘোষণার দাবিতে বসুরহাটে ব্লকেড, বিক্ষোভ সমাবেশ