প্রথম আলো বাংলাদেশের মানুষের বিজয়ের সঙ্গী
Published: 4th, December 2025 GMT
বাংলাদেশের সাহসী সাংবাদিকতায় নতুন ইতিহাস গড়ে চলেছে প্রথম আলো। মানুষের লড়াই-সংগ্রাম, আনন্দ-বেদনার গল্প তুলে ধরে পত্রিকাটি হয়ে উঠেছে দেশের মতোই দক্ষিণ এশিয়ার নির্ভরযোগ্য নাম। পথচলার প্রতিটি ধাপই ছিল চ্যালেঞ্জে ভরা, তবু থেমে না গিয়ে প্রথম আলো শুধু সংবাদ পরিবেশনেই নয়, জনগণের শক্তি ও সচেতনতা জাগিয়ে তোলার কাজেও কাজ করে চলেছে। প্রথম আলো বাংলাদেশের মানুষের বিজয়ের সঙ্গী। সাহসী সাংবাদিকতার প্রতীক হিসেবেই প্রথম আলোকে সামনের দিনগুলোতে পাড়ি দিতে হবে।
প্রথম আলোর ২৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বৃহস্পতিবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জে আয়োজিত সুধী সমাবেশে বক্তারা এ কথাগুলো বলেন। নগরের ডিআইটি এলাকায় অবস্থিত আলী আহাম্মদ চুনকা নগর পাঠাগার মিলনায়তনে আয়োজিত এই সুধী সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমান। বিকেল চারটায় জাতীয় রবীন্দ্রসংগীত সম্মিলন পরিষদ নারায়ণগঞ্জ জেলার শিল্পীদের পরিবেশনায় জাতীয় সংগীতের মধ্যে দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হয়। অনুষ্ঠানে অংশ নেন নারায়ণগঞ্জের রাজনীতিক, শিল্প উদ্যোক্তা, শিক্ষক, কবি-সাহিত্যিক, সাংবাদিক, চিকিৎসক, প্রকৌশলী, সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা, সংস্কৃতিকর্মীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। তাঁরা প্রথম আলো নিয়ে নিজেদের অভিজ্ঞতা তুলে ধরার পাশাপাশি নানা পরামর্শও দেন।
প্রথম আলোকে শুভেচ্ছা জানিয়ে দেওয়া বক্তব্যে কবি ও সাংবাদিক হালিম আজাদ বলেন, প্রথম আলো বাংলাদেশের সাংবাদিকতায় নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করে চলেছে। মানুষের লড়াই সংগ্রাম, আনন্দ–বেদনার গল্প ধারণ করার মাধ্যমে প্রথম আলো বাংলাদেশ তথা দক্ষিণ এশিয়ায় অনন্য হয়ে উঠেছে।
শুধু সংবাদ পরিবেশন নয়, প্রথম আলো জনগণের শক্তি জাগিয়ে তোলার জন্য কাজ করছে বলে মন্তব্য করেন নারায়ণগঞ্জ কলেজের অধ্যক্ষ রুমন রেজা। তিনি বলেন, প্রথম আলো এগিয়ে যাবে, এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ। বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়বে বাংলা ভাষাভাষী মানুষের কাছে। নারায়ণগঞ্জ সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক দীনা তাজরিন বলেন, ত্বকীসহ নারায়ণগঞ্জের সব হত্যাকাণ্ড নিয়ে প্রথম আলো নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করেছে। প্রথম আলো সাহসী সাংবাদিকতার প্রতীক বলে মন্তব্য করেন নারায়ণগঞ্জ কলেজের প্রভাষক ফারজানা আফরোজ। তিনি বলেন, এই সাহসিকতা নিয়ে প্রথম আলো সত্য প্রকাশ করে যাবে।
অনুষ্ঠানে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশ নেন। বৃহস্পতিবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জের আলী আহম্মদ চুনকা নগর পাঠাগার মিলনায়তনে.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ প রথম আল ব দ কত
এছাড়াও পড়ুন:
আইভীর দুই মামলায় জামিন নামঞ্জুর
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সিনিয়র সহসভাপতি ডা. সেলিনা হায়াত আইভীর বিরুদ্ধে নতুন করে গ্রেফতার দেখানো পাঁচ মামলার মধ্যে দুটিতে জামিন নামঞ্জুর করেছে আদালত। বৃহস্পতিবার দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ আবু শামীম আজাদের আদালত শুনানী শেষে জামিন নামঞ্জুর করেন।
এদিন নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানায় পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় হওয়া মামলা এবং ফতুল্লার ইয়াসিন হত্যা মামলার আদালতে জামিন শুনানি হয়।
নারায়ণগঞ্জ আদালতের পুলিশ পরিদর্শক কাইয়ুম খান বলেন, নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানায় পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলা ও ফতুল্লার ইয়াসিন হত্যা মামলায় আদালত আইভীর জামিন নামঞ্জুর করেছেন।
আইভীর আইনজীবী অ্যাডভোকেট আওলাদ হোসেন জানান, দুই মামলার এজাহারে সাবেক মেয়র আইভীর নাম না থাকা সত্ত্বেও তাঁর জামিন আবেদন নামঞ্জুর করা হয়েছে। আমরা এ বিষয়ে উচ্চ আদালতে যাওয়ার পরিকল্পনা করছি। হাইকোর্ট ইতোমধ্যে পাঁচটি মামলায় আইভীকে জামিন দিলেও নতুন করে তাকে আরও পাঁচ মামলায় জড়ানো হয়েছে, যেগুলোর কোনোটাতেই তার নাম নেই।
এর আগে গত ৯ মে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সংঘটিত একটি হত্যা মামলায় গ্রেফতার হওয়ার পর থেকে আইভী গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় মহিলা কারাগারে বন্দি রয়েছেন। পরে তাকে আরও চারটি মামলায় ‘শ্যোন অ্যারেস্ট’ দেখায় পুলিশ।
এদিকে গত ৯ নভেম্বর হাই কোর্টের বিচারপতি এ এস এম আবদুল মোবিন ও বিচারপতি মো. সগীর হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ আইভীকে পাঁচটি মামলায় জামিন দেন।
ওই দিনই নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানা পুলিশ তাদের উপর হামলা ও সরকারি কাজে বাধার অভিযোগে একটি মামলায় গ্রেফতার দেখাতে আদালতে আবেদন করে। পরদিন ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশ বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে হতাহতের ঘটনায় আরও চারটি মামলায় গ্রেফতার দেখাতে আবেদন করে।
সেই সাথে গত ১৮ নভেম্বর পাঁচটি মামলায় নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভীকে গ্রেফতারে পুলিশের আবেদন মঞ্জুর করেছেন আদালত।