শরীয়তপুর শহরের রূপনগর এলাকার একটি বাড়ি থেকে এক নারীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ মঙ্গলবার দুপুরে সদরের পালং মডেল থানার পুলিশ বাড়িটির শয়নকক্ষ থেকে ওই নারীর লাশ উদ্ধার করে। পুলিশের ধারণা, গলায় ওড়না পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে তাঁকে হত্যা করা হয়েছে।

পুলিশ জানিয়েছে, ওই নারীর নাম নাজমা বেগম (৪২)। তিনি নড়িয়া উপজেলার নশাসন কাজীকান্দি এলাকার বাসিন্দা। তিনি তাঁর ছেলেকে নিয়ে রূপনগরের ওই বাসায় ভাড়া থাকতেন।

পালং মডেল থানা সূত্রে জানা যায়, নাজমা বেগমের সঙ্গে তিন বছর আগে স্বামী বাশার কাজীর বিবাহবিচ্ছেদ হয়। দুই বছর ধরে তিনি ছেলে নিবর কাজীকে নিয়ে জেলা শহরের রূপনগর এলাকার একটি বাড়িতে ভাড়া থাকেন। ছেলে নিরব শহরের পালং তুলাসার গুরুদাস সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্র। আজ মঙ্গলবার নিরব সকাল সাড়ে সাতটার দিকে স্কুলে যাওয়ার জন্য বাসা থেকে বের হয়। তখন তার মা ঘরের দরজা ভেতর থেকে বন্ধ করে দেন। স্কুল ছুটির পর বেলা দেড়টার দিকে নিরব বাসায় ফিরে দেখে, ঘরের দরজা খোলা। ভেতরে ঢুকে একটি ঘরের খাটের ওপর গলায় ওড়না পেঁচানো অবস্থায় মায়ের লাশ পড়ে থাকতে দেখে। তার চিৎকারে প্রতিবেশীরা সেখানে আসেন। খবর পেয়ে পালং মডেল থানার পুলিশ ও গোয়েন্দা পুলিশের সদস্যরা ঘটনাস্থলে আসেন।

নিহত নাজমার ভাই দ্বীন ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমার বোনকে কেউ হত্যা করেছে। তার নিথর দেহ দেখে মনে হয়েছে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। তার ঘরে থাকা ৫-৬ লাখ টাকার মালামাল খোয়া গেছে।’

পালং মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হেলাল উদ্দিন আহম্মেদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘জেলা শহরের একটি ভবনের দোতলার ফ্ল্যাটে থাকতেন নাজমা বেগম। দিনের বেলায় তাঁর ফ্ল্যাটে প্রবেশ করে দুর্বৃত্তরা তাঁকে হত্যা করেছে বলে আমাদের ধারণা। আমরা তদন্ত শুরু করেছি। আশা করছি, দ্রুততম সময়ে হত্যাকাণ্ডের রহস্য উন্মোচন ও হত্যাকারীকে চিহ্নিত করতে পারব।’

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: শহর র

এছাড়াও পড়ুন:

ইসরায়েলি পরিকল্পনা প্রত্যাখ্যান আরব দেশগুলোর

রাফা সীমান্ত ক্রসিং একমুখী খোলার ইসরায়েলের ঘোষিত পরিকল্পনাকে প্রত্যাখ্যান করেছে আরব দেশগুলো। শনিবার আল-জাজিরা অনলাইন এ তথ্য জানিয়েছে।

ইসরায়েলের পরিকল্পনা অনুযায়ী, ফিলিস্তিনিরা তাদের ভূখণ্ড ছেড়ে যেতে পারবে, কিন্তু ফিরে আসতে পারবে না। এছাড়া গাজায় ত্রাণ প্রবেশে বাধা সৃষ্টি করা হবে।

গত সাত সপ্তাহে প্রায় ৬০০ বার যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করেছে ইসরায়েল। শনিবার উত্তরাঞ্চলীয় শহর বেইত লাহিয়ায় সর্বশেষ ইসরায়েলি হামলায় তিনজন নিহত হয়েছে।

শুক্রবার মিশর, ইন্দোনেশিয়া, জর্ডান, পাকিস্তান, কাতার, সৌদি আরব, তুরস্ক এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা একটি যৌথ বিবৃতি জারি করেছেন। এতে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর সাম্প্রতিক ঘোষণায় ‘গভীর উদ্বেগ’ প্রকাশ করে বলা হয়েছে, “গাজা উপত্যকা থেকে মিশরে বাসিন্দাদের প্রস্থানের জন্য আগামী দিনে রাফাহ ক্রসিং খোলা হবে।”

যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনকারী এই ঘোষণাটি বুধবার ইসরায়েলি সামরিক ইউনিট ‘কোঅর্ডিনেশন অফ গভর্নমেন্ট অ্যাক্টিভিটিজ ইন টেরিটরিজ ঘোষণা করেছে। এতে বলা হয়েছে যে মিশরের সাথে সমন্বয় করে ইসরায়েলি ‘নিরাপত্তা অনুমোদন’ নিয়ে একমুখী ক্রসিংয়ের অনুমতি দেওয়া হবে।

মিশর এবং মধ্যস্থতা চুক্তিতে স্বাক্ষরকারীরা এই পরিকল্পনার নিন্দা জানিয়ে বলেছে, “ফিলিস্তিনি জনগণকে তাদের ভূমি থেকে বিতাড়িত করার যেকোনো প্রচেষ্টাকে সম্পূর্ণ প্রত্যাখ্যান করছি।” 

ঢাকা/শাহেদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ