আমিই আপনাদের এই এলাকার ভোটার করে দিয়েছি : মামুন মাহমুদ
Published: 21st, October 2025 GMT
নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির আহবায়ক অধ্যাপক মামুন মাহমুদ বলেছেন, স্বাধীনতা ৪০ বছর পরেও কিন্তু আপনারা এ দেশের নাগরিক হিসেবে ভোটার হতে পারেননি। আপনারা যখন এদেশে কোন সুযোগ সুবিধা পাচ্ছেন না।
তখন ২০০৩ সালে আমি উপলব্ধি করে বেগম খালেদা জিয়া যখন প্রধানমন্ত্রী ছিল সেই সময়ে হাইকোর্ট একটি আপনাদের ব্যাপারে একটি রিট ও মামলা হয়েছিল।
একজন রিট করেছিল আপনারা ভোটার হতে পারবেন কি পারবেন না। আর সেই দিনের সিদ্ধান্ত হয়েছিল ২০০৮ সালে। তখন আমি এখানে আপনাদের অনেকের সাথে কাজ করে আপনাদেরকে সঙ্গে মূলধারায় ফিরিয়ে আনার জন্য অনেকে আমি ভোটার হওয়ার পরামর্শ দিয়েছি।
তৎকালীন সময় অনেকে যারা ভোটার হয়েছে এবং আদমজী এম ডাব্লিউ স্কুলে যখন দায়িত্বগত ছিল তাদের সাথে কথা বলেছি। তখন ৫ নাম্বার ওয়ার্ড ৬ নাম্বার ওয়ার্ড ৭ নম্বর ওয়ার্ড সুমিল পাড়াতে আপনাদের মধ্যে দুইটা ভাগ ছিল। তাতে আপনারা ভোটার হতে না পারেন।
আমি চিন্তা করছি তখন আমাদের সাথে আপনাদেরকে ভাই ভাই একসাথে মিলেমিশে বসবাস করতে হবে সেই চিন্তা থেকে আমি বলেছি প্রথমত তাদেরকে ভোটার করতে হবে। ভোটার হলে তারা বাংলাদেশের হিসাবে বিবেচিত হবে।
তারা তাদের ছেলেমেয়েদেরকে স্কুল কলেজ পড়াতে সুযোগ সুবিধা পাবে এবং তাদের ছেলেমেয়েদেরকে আমাদের ছেলেমেয়েদের সাথে বিবাহ সাদি দিতে পারবে এবং একসাথে মিলেমিশে বসবাস করতে পারে রাজনীতিও করতে পারবে।
তারা কাউন্সিলর হতে পারবে এমপি হতে পারবে এবং মন্ত্রীও হতে পারবে। ভোটার না হতে পারলে আপনারা যারা বড় জন সমষ্টি রয়েছেন আপনার এখানে ৭ হাজার ভোটার কিন্তু বসবাস করেন কম করে হলে বিশ হাজার। যদি ভোটার হতে না পারতো তাহলে এই ২০ হাজার লোক অন্ধকারই থেকে যেত।
আপনাদের এখানে অনেকে স্বামী সন্তান ও বাবা মা সবাইকে হারিয়ে ফেলেছেন কিন্তু পাকিস্তান যেতে পারেন নাই। পাকিস্তানে আপনাদের প্রত্যাবর্তন হয়নি কারণ তারা আপনাদেরকে ফেরত নেইনি। আমি চিন্তাভাবনা করেই আপনাদের এই এলাকার ভোটার করে দিয়েছি।
বর্তমানে আপনাদের এই ক্যাম্পে সাত হাজারেরও অধিক কিন্তু ভোটার আপনারা হয়েছেন। সুতরাং আপনাদের মর্যাদা ও সম্মান বৃদ্ধি পেয়েছে আপনার মূলধারার সাথে এই জাতির সাথে মিলেমিশে বসবাস করা সুযোগ পেয়েছেন।
মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) বিকালে সিদ্ধিরগঞ্জের নাসিক ৬ নং ওয়ার্ডের আদমজী সুমিলপাড়া বিহারী ক্যাম্প বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের উদ্যোগে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান কর্তৃক ঘোষিত রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১ দফা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে লিফলেট বিতরণ ও ডেঙ্গু প্রতিরোধে মশারী বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আদমজী বিহারী ক্যাম্পের চেয়ারম্যান মো: লিয়াকত হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে জেলা বিএনপির সদস্য অকিল উদ্দিন ভুইয়াসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। এর আগে তিনি আদমজী এলাকায় ৩১ দফার প্রচারপত্র বিলি ও গণসংযোগ করেন।
এ সময় তিনি আরও বলেন, আমাদের নেতা তারেক রহমান রাষ্ট্র মেরামতে যে ৩১ দফা ঘোষণা করেছেন রাষ্ট্রকে নতুন করে সংস্কার করার জন্য। কারণ বিগত ১৫ বছরের শেখ হাসিনার সরকারে রাষ্ট্রকে কি করেছে তা আপনারা জানেন। এই রাষ্ট্র জায়গায় জায়গায় তারা ধ্বংস করেছে।
শাসন ব্যবস্থা থেকে শুরু করে বিচার বিভাগ ব্যবস্থা থেকে আইনের শাসন নেই দুর্নীতি ও লুটপাটের দেশকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিয়েছিল। শুধু তাই না দেশে মাদক-পাতের সূত্রপাত ঘটিয়েছে শেখ হাসিনা। এসে কিন্তু আগে এত মাদক ব্যবসা ছিল না।
এসব হাসিনা এদেশে এনেছে এবং মানুষের চরিত্র নষ্ট করেছে। শুধু তাই নয় মানুষের ভোটের অধিকার মৌলিক অধিকার সবকিছুই হরণ করেছে শেখ হাসিনা।
আপনাদেরকে ভোট দিতে দেইনি তারা দাঁড়িয়ে থেকে আপনাদের ভোট দিয়ে দিত। এবং জোর করে তাদের সামনেই ভোট দেওয়া হতো। এটা কিন্তু একটি গণতান্ত্রিক দেশের মানুষের অধিকার হতে পারে না তারা এভাবে মানুষের অধিকার কে হরণ করেছে।
তারা আপনাদের অধিকার আপনাদেরকে পালন করতে দেইনি। সে অধিকারের জন্যই কিন্তু বিএনপি দীর্ঘ ১৬টি বছর রাজপথে আন্দোলন সংগ্রাম করেছে।
সে আন্দোলন সংগ্রামের মাধ্যমে কিন্তু আমরা খুনি শেখ হাসিনাকে থেকে বিতাড়িত করেছি। হাসিনার সাথে সাথে যারা আপনাদের কাছে জুলুম অত্যাচার করেছে আপনার মন পড়েছিল ধানের শীষ ও খালেদা জিয়ার দিকে অথচ আপনাদেরকে জোর করে মিছিলে নেওয়া হতো জোর করে আপনাদেরকে বলানো হত নৌকা নৌকা।
আপনারা কিন্তু কেউ মনের দিক থেকে যান নাই। আমি জানি এই এখানকার শতভাগ লোকই ধানের শীষ ও খালেদা জিয়ার।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: স দ ধ রগঞ জ ব এনপ ন র য়ণগঞ জ ভ ট র হত আপন দ র ব স কর আপন র ব এনপ
এছাড়াও পড়ুন:
বিপিএলে থাকবেন সালাহউদ্দিনও
ক্রিকেটারদের এখন ছুটি। অখন্ড অবসর। তবে চাইলেই মাঠে ফেরার সুযোগ আছে। টি-টোয়েন্টির ব্যাটসম্যানদের জন্য আলাদা একটি সেশন শুরু করেছেন সিনিয়র সহকারী কোচ মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন। সেই সেশনে সাইফ হাসান, কাজী নুরুল হাসান সোহান, তানজিদ হাসান তামিম, পারভেজ হোসেন ইমনরা যোগ দিয়েছেন।
কেন হঠাৎ এই আয়োজন? শনিবার বিকেলে মিরপুরে সেই উত্তর দিয়েছেন সালাহউদ্দিন, ‘‘উন্নতির তো শেষ নেই। আমরা সবাই বলি, স্কিলের ঘাটতি আছে। ওইটা উন্নতি করারও আসলে আমরা কোনো সময় সময় পাইনা। কারণ এত ইন্টারন্যাশনাল শিডিউল থাকে, ছেলেদের খেলা থাকে। এরকম একটা যেহেতু সুযোগ পেয়েছি তাই ব্যাটসম্যানদের স্কিলের আরেকটু উন্নতি…।’’
কোন দিকগুলো নিয়ে কাজ করছেন সেগুলো খোলাসা করলেন সালাহউদ্দিন, ‘‘টি-টোয়েন্টিতে আমাদের যেসব লাগবে, অনেক সময় হয়তো আমরা ভালো শট খেলি কিন্তু হয়তো ওগুলা হাতে চলে যায়। কিভাবে গ্যাপে মারতে হয়, কিভাবে বল ইউজ করতে হয়, পেসটা ইউজ করতে হয় এবং যদি নিজেকে আরেকটু ডেভেলপ করতে পারে, কম রিস্ক নিয়ে কিভাবে আসলে বাউন্ডারি আদায় করা যায় এবং কিভাবে আসলে সিঙ্গেলস ডেভেলপও করা যায়।’’
আগামী বছরের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের চিন্তা মাথায় রেখেই সালাহউদ্দিন প্রস্তুত করছেন ক্রিকেটারদের। যার পরীক্ষা হবে আসন্ন বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল)। ফ্রাঞ্চাইজিভিত্তিক এই প্রতিযোগিতার সবচেয়ে সফল কোচ সালাহউদ্দিন। জাতীয় দলে যুক্ত থাকায় এ বছর তার কাজ করা হবে না। তবে জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের পাখির চোখে পরখ করবেন তিনি।
প্রধান কোচ ফিল সিমন্স দেশে থাকবেন না। দেশে ক্রিকেটারদের দেখভালের দায়িত্ব পালন করবেন সালাহউদ্দিন। বিপিএলের পরপরই বিশ্বকাপ। ক্রিকেটাররা যেন পর্যাপ্ত অনুশীলন, ম্যাচ এবং সঠিক গাইডলাইন অনুযায়ী চলতে পারেন তা নিশ্চিত করবেন তিনি,
‘‘তাদের (ক্রিকেটারদের) সব দিকেই নজর রাখা হবে কারণ তাদের মানসিক অবস্থা কি রকম আছে, তাদের শারীরিক অবস্থা কিরকম আছে, তারা টেকনিক্যালি কি রকম করছে সবকিছুই তাদের নজর রাখতে হবে। কে কোথায় কিভাবে কাজ করছে দেখতে হবে। এখানে জাতীয় দলে একজন ট্রেনার যেভাবে ট্রেনিং করাচ্ছে, হয়তো বিপিএল এসে সে ওই ট্রেনিং পাচ্ছে না। ফিটনেস ডাউন হলে তো পরবর্তীতে আমাদেরই আবার এটা রিকভার করে তাকে ফিট করে নিয়ে আসতে হবে। এই জিনিসগুলো পুরো লক্ষ্য রাখা হবে, তারা যেন প্রতিটা সেক্টরেই তারা যেন বিশ্বকাপের জন্য প্রস্তুত থাকেন। কারণ খুব বেশি সময় থাকবে না।’’
বিশ্বকাপের আগে বিপিএলকে গুরুত্বপূর্ণ প্রতিযোগিতা বলে মনে করছেন সালাহউদ্দিন, ‘‘ছেলেরা একটা প্রতিদ্বন্দ্বীতাপূর্ণ পরিবেশে একটা টুর্নামেন্ট খেলবে। ভালো বোলাররা আসবে। ব্যাটসম্যানরা তাদের ম্যাচ থেকে অনেক কিছু শিখতে পারবে। আমি বলবো ভালো অনুশীলন হবে বিশ্বকাপের আগে। যেহেতু ফর্মটাই বিশ্বকাপে নিয়ে যেতে পারবে। তারা যদি ভালোভাবে সুযোগ ব্যবহার করতে পারে তাহলে দলের জন্য ভালো হবে।’’
জাতীয় দলের দায়িত্বে থাকায় বিপিএলে নির্দিষ্ট কোনো ফ্রাঞ্চাইজিতে কাজ করা হবে না সালাহউদ্দিনের। কোচ হিসেবে বিপিএলকে কি মিস করবেন তিনি? উত্তর দিয়েছেন সোজাসাপ্টা,‘‘আমি সচরাচর কোনো কিছু মিস করি না।’’
ঢাকা/ইয়াসিন