নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার বক্তাবলী ইউনিয়নের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও স্থানীয় জামায়াতে ইসলামীর নেতা মো. রাসেল এর উপর সন্ত্রাসী, মাদক ব্যবসায়ী ও চিহ্নিত ছিনতাইকারীদের বর্বরোচিত হামলার প্রতিবাদে ফুঁসে উঠেছেন এলাকাবাসী ও ব্যবসায়ীবৃন্দ।এই হামলার সর্বোচ্চ বিচারের দাবীতে মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) বিকালে এক বিশাল বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

​স্থানীয় সূত্র ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বক্তাবলী এলাকার সমাজসেবক হিসেবে পরিচিত এবং ব্যবসায়ী মো.

রাসেলকে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে সন্ত্রাসী, মাদক ব্যবসায়ী ও ছিনতাইকারী চক্রের সদস্যরা অতর্কিত হামলা করে গুরুতর আহত করে। ব্যবসায়িক ও সামাজিক কর্মকাণ্ডের কারণে এলাকায় রাসেলের বেশ পরিচিতি আছে।

এই হামলার ঘটনা জানাজানি হতেই এলাকায় তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।​হামলার প্রতিবাদে বক্তাবলী বাজারের ব্যবসায়ীসহ ইউনিয়নের বিভিন্ন স্তরের জনতা রাস্তায় নেমে আসে। তারা বিক্ষোভ মিছিল বের করে এবং বাজারের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে। মিছিলে অংশগ্রহণকারীরা হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও সর্বোচ্চ শাস্তির দাবীতে স্লোগান দেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে মাওলানা নুরুল হক বলেন,  আমাদের সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে হবে এবং সমাজের মানুষকে সচেতন করতে হবে যাতে সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজরা ভয় পায় এবং সাধারন মানুষ তাদের প্রতিরোধ গড়ে তুলে।

সন্ত্রাসীদের অতি দ্রুত আইনের আওতায় এনে গ্রেফতার করতে হবে, সমাজ থেকে মাদক সেবী, ছিনতাইকারী এবং দূর্বৃত্তদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনার দাবী জানান- মাওলানা নুরুল হক

​বিক্ষোভ মিছিল শেষে বক্তাবলী বাজারে এক প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে বক্তাবলী ইউনিয়ন জামায়াতের সভাপতি আবু বক্কর বলেন, এলাকায় সন্ত্রাসী, মাদক ব্যবসায়ী ও ছিনতাইকারীদের দৌরাত্ম্য দিন দিন বেড়েই চলেছে।

একজন ব্যবসায়ী ও সমাজসেবকের উপর এমন ন্যক্কারজনক হামলা প্রমাণ করে যে, সাধারণ মানুষ ও ব্যবসায়ীরা এখন চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে।তিনি আরও বলেন, সমাজের সকলে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যাবে।

সকল সন্ত্রাসীকে আইনের আওতায় আনতে হবে। সমাজে দূর্বার আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। আইন শৃংখলা বাহিনীকে দ্রুত তাদের গ্রেফতার করে সমাজে শান্তি শৃংখলা ফিরিয়ে আনতে হবে। 

​বক্তারা আরও বলেন, জামায়াত নেতা রাসেল এর উপর হামলাকারীদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে, যাতে ভবিষ্যতে কেউ এমন অপরাধ করার সাহস না পায়। তারা প্রশাসনকে উদ্দেশ্য করে বলেন, যদি দ্রুততম সময়ের মধ্যে দোষীদের আইনের আওতায় আনা না হয়, তবে তারা আরও কঠোর আন্দোলন কর্মসূচী দিতে বাধ্য হবেন।

​এলাকার শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে এবং ব্যবসায়ী মহলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে তারা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

সন্ত্রাসী, মাদকসেবী ও ছিন্তাইকারীদের দ্রুত গ্রেফতার করতে হবে এবং তাদের বিচারের আওতায় আনতে হবে এই দাবীতে বক্তাবলী এলাকাবাসী ও বাজার ব্যবসায়ীরা আজকে বক্তাবলী বাজারে রাজাপুর চৌরাস্তা থেকে বক্তাবলী বাজারের বিতরে মেইন রাস্তায় মিছিল ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

বক্তাবলী ইউনিয়নের আমীর মাওলানা আবু বকর ছিদ্দিকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ফতুল্লা পশ্চিম থানা সেক্রেটারী মাওলানা আব্দুল করিম, আলীরটেক ইউনিয়নের সভাপতি মো: মুরাদ হোসেন,  বক্তাবলী ইউনিয়ন সেক্রেটারী নাছির উদ্দিন, আবু সাইদ, সাইফুল ইসলাম, রবিউল ইসলাম, বাজার ব্যবসায়ী মোখলেছিন, আনিছুর রহমানসহ প্রমূখ। 

 

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: ব ল দ শ জ ম য ত ইসল ম ন র য়ণগঞ জ অন ষ ঠ ত সন ত র স ব যবস য় ত র কর র উপর

এছাড়াও পড়ুন:

মালিতে সেনাবাহিনীকে সহযোগিতার অভিযোগে নারী টিকটকারকে হত্যা

উত্তর আফ্রিকার দেশ মালিতে সেনাবাহিনীর সঙ্গে ‘সহযোগিতার’ অভিযোগে জনপ্রিয় টিকটকার মারিয়াম সিসেকে অপহরণের পর প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করেছে সন্দেহভাজন জঙ্গিরা। নৃশংস এই ঘটনাটি ঘটেছে দেশটির উত্তরাঞ্চলীয় তিমবুকতু প্রদেশে টঙ্কা শহরে। 

নিহত তরুণীর পরিবার ও স্থানীয় কর্মকর্তারা রবিবার (৯ নভেম্বর) এ তথ্য নিশ্চিত করেন। আজ সোমবার এনডিটিভি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে। 

আরো পড়ুন:

মার্কিন পর্যটকদের ওপর ১০ হাজার ডলার ভিসা বন্ড আরোপ করল মালি

শিঙাড়া খেলে মৃত্যুদণ্ড দেয় যে দেশ

প্রতিবেদনে বলা হয়, মারিয়াম সিসে টঙ্কা শহর নিয়ে নিয়মিত ভিডিও তৈরি করতেন এবং টিকটকে তার ৯০ হাজার ফলোয়ার ছিল। অপহরণকারীরা তার বিরুদ্ধে সেনাবাহিনীর সাথে সহযোগিতা করার অভিযোগ এনেছিল।

তাকে হত্যার খবর দেশটিকে হতবাক করেছে। সামরিক জান্তা শাসিত মালিতে তীব্র ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। ২০১২ সাল থেকে দেশটি জঙ্গিদের দমন করতে লড়াই করছে। 

নিহত মারিয়ামের ভাই বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, “আমার বোনকে বৃহস্পতিবার জিহাদিরা আটক করে। তারা তাকে ‘জিহাদিদের গতিবিধি সম্পর্কে মালির সেনাবাহিনীকে অবহিত করার’ অভিযোগে অভিযুক্ত করে।”

তিনি আরো বলেন, “পরদিন তাকে মোটরসাইকেলে করে টঙ্কা শহরের স্বাধীনতা চত্বরে নিয়ে গিয়ে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করা হয়। আমি ঘটনাস্থলে ভিড়ের মধ্যে ছিলাম।”

এক নিরাপত্তা সূত্র এএফপিকে বলেন, “টঙ্কার একটি পাবলিক চত্বরে মারিয়াম সিসেকে জিহাদিরা হত্যা করেছে, যারা তার বিরুদ্ধে মালির সেনাবাহিনীর জন্য ভিডিও করার অভিযোগ এনেছে।” নাম প্রকাশ না করার শর্তে তিনি এটিকে ‘বর্বরোচিত’ কাজ বলে অভিহিত করেছেন। 

স্থানীয় প্রশাসনের এক কর্মকর্তাও এ ঘটনাকে ‘অমানবিক ও ঘৃণ্য কাজ’ বলে নিন্দা জানিয়েছেন।

সামরিক জান্তা দীর্ঘদিন ধরে চলমান জিহাদি বিদ্রোহ নিয়ন্ত্রণে লড়াই করছে। 

সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে আল-কায়েদা-সংযুক্ত গোষ্ঠী ফর দ্য সাপোর্ট অব ইসলাম অ্যান্ড মুসলিমস (জেএনআইএম) যোদ্ধারা জ্বালানি অবরোধ আরোপ করেছে, যার ফলে সরকারকে বহু অঞ্চলে স্কুল বন্ধ ও ফসল সংগ্রহ কার্যক্রম স্থগিত করতে হয়েছে।

ঢাকা/ফিরোজ

সম্পর্কিত নিবন্ধ