অনলাইন প্রতারণা ও সাইবার হামলা থেকে ফেসবুক, মেসেঞ্জার, ইনস্টাগ্রাম ও হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীদের রক্ষা করতে নতুন নিরাপত্তাসুবিধা ও সচেতনতামূলক কর্মসূচি চালু করেছে মেটা। নতুন এ উদ্যোগের আওতায় ফেসবুক, মেসেঞ্জার ও হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীদের জন্য ‘পাসকি’সহ একাধিক নতুন সুবিধা যুক্ত করা হয়েছে। পাসকি সুবিধার মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা আঙুলের ছাপ, মুখের ছবি বা পিন ব্যবহার করে নিজেদের অ্যাকাউন্টে লগইন করতে পারবেন। ফলে পাসওয়ার্ড চুরি বা ফাঁস হওয়ার ঝুঁকি কমবে।

মেটার তথ্যমতে, অনলাইনে প্রতারকেরা প্রায়ই হোয়াটসঅ্যাপে ভিডিও কল চলাকালে ফোনের পর্দা শেয়ার করতে বলে। এর মাধ্যমে তারা ব্যবহারকারীদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টের তথ্য, পিন বা যাচাইকরণ কোড হাতিয়ে নেয়। এই কৌশল ব্যবহার করে নিয়মিত প্রতারণার ঘটনা ঘটছে। নতুন এ পরিবর্তনের ফলে হোয়াটসঅ্যাপে এখন থেকে কোনো ব্যবহারকারী অচেনা ব্যক্তির সঙ্গে ভিডিও কলে ফোনের পর্দা শেয়ার করতে চাইলে আগে থেকেই সতর্কবার্তা দেখানো হবে।

নতুন এ উদ্যোগের আওতায় মেসেঞ্জারে চালু করা হয়েছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) নির্ভর প্রতারণা শনাক্তকরণ ব্যবস্থা। ফলে নতুন যুক্ত হওয়া কোনো আইডি থেকে সন্দেহজনক বার্তা এলে ব্যবহারকারী সতর্কবার্তা পাবেন এবং চাইলে সাম্প্রতিক বার্তাগুলো এআইয়ের মাধ্যমে যাচাই করাতে পারবেন। ব্যবহারকারীরা চাইলে প্রতারণা প্রতিরোধে করণীয় জানার পাশাপাশি সন্দেহজনক অ্যাকাউন্ট ব্লক বা মেটার কাছে অভিযোগ করতে পারবেন।

ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামে চালু করা হয়েছে ‘সিকিউরিটি চেকআপ’ সুবিধা। সুবিধাটি ব্যবহারকারীদের নিরাপত্তা সেটিংস পর্যালোচনায় সাহায্য করবে এবং পাসওয়ার্ড আপডেটসহ ব্যক্তিগত নিরাপত্তাসংক্রান্ত পরামর্শ দেবে। পর্যায়ক্রমে সব ব্যবহারকারীর জন্য এসব নিরাপত্তাসুবিধা উন্মুক্ত করা হবে।

সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: হ য় টসঅ য প ব যবহ র ফ সব ক

এছাড়াও পড়ুন:

এবার রংপুরের পীরগঞ্জে অ্যানথ্রাক্স উপসর্গের ৬ রোগী

রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলায় অ্যানথ্রাক্স উপসর্গের ছয়জন রোগী পাওয়া গেছে। আজ মঙ্গলবার সকালে পীরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঁচজনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। এর আগে গত রোববার অপরজনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল।

পীরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মাসুদ রানা প্রথম আলোকে বলেন, সর্বশেষ অ্যানথ্রাক্সের উপসর্গে আক্রান্ত এসব রোগীর বাড়ি উপজেলার দাঁড়িয়াপুরে। তাঁদের মধ্যে পুরুষ চারজন, নারী একজন। তাঁরা শরীরের বিভিন্ন অংশে ঘা নিয়ে হাসপাতালে এসেছিলেন।

আক্রান্ত রোগীদের পরিবারের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, স্থানীয় টুটুল মিয়ার একটি গাভি অসুস্থ হলে গত ১১ নভেম্বর জবাই করে গ্রামবাসীর মধ্যে বিতরণ করা হয়। এরপর ১২ অক্টোবর মাংস কাটাকাটির সঙ্গে যাঁরা জড়িত ছিলেন তাঁদের শরীরে ঘা দেখা দেয়।
স্থানীয় নারী শান্তি বেগম মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, তাঁর ভাশুরের অসুস্থ গরু জবাই করার পর ৮-৯ জনের শরীরে অ্যানথ্রাক্সের উপসর্গ দেখা দেয়। তবে তাঁরা রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যাননি, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র নিয়ে বাড়িতে ফিরে গেছেন।

জেলা সিভিল সার্জনের কার্যালয়ের তথ্য বলছে, গতকাল সোমবার পর্যন্ত রংপুরের পীরগাছায় ৩৮, কাউনিয়ায় ১৮, মিঠাপুকুরে ১২, গঙ্গাচড়ায় ৭, পীরগঞ্জে ১ জনসহ মোট ৭৮ জন সন্দেহজনক অ্যানথ্রাক্স রোগী পাওয়া গেছে। এর মধ্যে ২৪ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। তবে পীরগঞ্জে অ্যানথ্রাক্স উপসর্গের নতুন পাঁচ রোগীর তথ্য এখনো এই হিসাবে যুক্ত হয়নি।

জেলা সিভিল সার্জন শাহীন সুলতানা প্রথম আলোকে বলেন, জেলায় অ্যানথ্রাক্সে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ১১। তবে অ্যানথ্রাক্স সন্দেহজনক রোগীর সংখ্যা বেশি। এর কারণ অ্যানথ্রাক্স উপসর্গের রোগীর নমুনা নিতে হলে শরীরে কাচা ঘা থাকতে হয়। কিন্তু ঘা শুকিয়ে গেলে আর নমুনা নেওয়া সম্ভব হয় না। তাঁরা কিছু রোগী পেয়েছেন, যাঁরা চিকিৎসা শুরু করাচ্ছেন, ঘা শুকিয়ে গেছে।

গত জুলাই ও সেপ্টেম্বরে রংপুরের পীরগাছায় অ্যানথ্রাক্স উপসর্গ নিয়ে দুই নারী ও পুরুষ মারা গেলে অ্যানথ্রাক্স সংক্রমণের বিষয়টি আলোচনায় আসে। পরে গাইবান্ধায়ও অ্যানথ্রাক্স উপসর্গের রোগী পাওয়া যায়। ৪ অক্টোবর অ্যানথ্রাক্সের উপসর্গ নিয়ে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (রমেক) গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জের রোজিনা বেগম (৪৫) মারা যান।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • এবার রংপুরের পীরগঞ্জে অ্যানথ্রাক্স উপসর্গের ৬ রোগী