চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় অনুমোদন ছাড়া কারখানা খুলে অস্বাস্থ্যকর নোংরা পরিবেশে তৈরি হচ্ছিল রসগোল্লা, রসমালাই, দইসহ নানা পদের মিষ্টি। এসব মিষ্টি আবার বিক্রি হচ্ছিল কুমিল্লার বিখ্যাত মাতৃভান্ডার মিষ্টির প্যাকেটে। খবর পেয়ে অভিযান চালান ভ্রাম্যমাণ আদালত।

গতকাল মঙ্গলবার রাতে উপজেলার কেরানীহাট কাঁচাবাজার এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খোন্দকার মাহমুদুল হাসান। অভিযানে কারখানার মালিক মো.

আজিজকে (৪৮) দুই লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।

ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা যায়, কারখানাটিতে মিষ্টি তৈরিতে ব্যবহৃত পোড়া তেল, পচা ছানা, নষ্ট শিরা ও মেয়াদোত্তীর্ণ বিভিন্ন উপকরণ পাওয়া যায়। মিষ্টিগুলো উৎপাদনের পর কুমিল্লার মাতৃভান্ডার মিষ্টির নাম লাগিয়ে বাজারে সরবরাহ করা হতো।

খোন্দকার মাহমুদুল হাসান প্রথম আলোকে বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালানো হয়। অভিযানে মো. আজিজ নামের এক ব্যক্তিকে ২০০৯ সালের ভোক্তা অধিকার আইনে দুই লাখ টাকা জরিমানা করা হয় এবং কারখানাটি বন্ধ করা হয়। জব্দ করার পর বিপুল পরিমাণ মিষ্টি পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়।

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

ক্লাব–বিসিবি দ্বন্দ্বে সমাধান কি বিকল্প টুর্নামেন্ট

‘খেলা এবার মাঠে গড়াতেই হবে’—দৃঢ় কণ্ঠে কাল কথাটা বললেন বিসিবির পরিচালক ও সিসিডিএমের ভাইস চেয়ারম্যান ফায়াজুর রহমান। বর্তমান পরিচালনা পর্ষদকে ‘অবৈধ’ আখ্যা দিয়ে লিগ না খেলার ঘোষণা দেওয়া ঢাকার বিদ্রোহী ৪৫টি ক্লাবের সঙ্গে কয়েক দফায় সমঝোতার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছে বিসিবি, তবে এবার আর ব্যর্থতা চান না ফায়াজুর।

তৃতীয় বিভাগ দিয়েই প্রতিবছর ঘরোয়া ক্রিকেটের মৌসুম শুরু হয়। কিন্তু বিদ্রোহী ৪৫টি ক্লাবের মধ্যে তৃতীয় বিভাগের ক্লাবই ১৪টি, প্রথম বিভাগের ক্লাব ৮টি। প্রথম বিভাগের বেশির ভাগ ক্লাব (২০টির মধ্যে ১২টি) লিগ আয়োজনের পক্ষে থাকায় এবার আগে প্রথম বিভাগ ক্রিকেট আয়োজনের চেষ্টা করছে বিসিবি। কিন্তু সেটাও পারছে কই!

বিদ্রোহী ক্লাবগুলো লিগ বয়কটের সিদ্ধান্তে অনঢ় থাকায় দুবার তারিখ ঘোষণা করেও খেলা শুরু করা যায়নি। তৃতীয়বারের মতো লিগ শুরুর তারিখ ঠিক হয়েছে আগামীকাল।

তবে ৪৫ ক্লাবের অবস্থান এখনো আগের জায়গাতেই। প্রথম বিভাগের ২০টি ক্লাবের মধ্যে দলবদলে অংশ না নেওয়া ৮ ক্লাবের লিগে খেলার সম্ভাবনা নেই। প্রথম বিভাগের বিদ্রোহী ৮ ক্লাবের নেতৃত্বে থাকা সংগঠক ও আম্বার স্পোর্টিং ক্লাবের কর্মকর্তা জিয়াউর রহমান কাল প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা বিসিবির প্রধান নির্বাহীকে দেওয়া চিঠিতে আগেই জানিয়ে দিয়েছি যে এই অবৈধ বোর্ডের অধীন খেলব না। এখনো সেই সিদ্ধান্তে অনড় আছি। আমাদের (৮ ক্লাব) লিগে অংশ নেওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই।’

পরশু আনুষ্ঠানিকভাবে সূচি ঘোষণা করা হলেও লিগ যে শেষ পর্যন্ত আয়োজন সম্ভব না–ও হতে পারে, এই বাস্তবতা বুঝতে পারছে বিসিবিও। বিদ্রোহী ক্লাবগুলোর মতের বিরুদ্ধে গিয়ে লিগ আয়োজন করতে গেলে আসতে পারে আইনি বাধা। সূত্র জানিয়েছে, শেষ পর্যন্ত লিগ আয়োজন করতে না পারলে বা খেলা শুরু করেও লিগ বন্ধ করে দিতে হলে বিসিবি এগুবে ‘প্ল্যান-বি’ নিয়ে।

বিসিবি নির্বাচন নিয়ে ঢাকার ক্লাবগুলোর সংবাদ সম্মেলন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ