ওয়ালটন ডিস্ট্রিবিউটর নেটওয়ার্কের ‘কিস্তি ক্রেতা ও পরিবার সুরক্ষা নীতির’ আওতায় দুই মৃত ক্রেতার পরিবারকে বিশেষ আর্থিক সহায়তা দিয়েছে সিলেটে ওয়ালটনের দুই ডিস্ট্রিবিউটর শোরুম- কবির এন্ড ব্রাদার্স এবং সিদ্দিকী ইলেকট্রনিকস কর্তৃপক্ষ।

পরিবারদ্বয়ের পক্ষ থেকে মো. জালাল মিয়ার (মৃত) স্ত্রী মরিয়াম আক্তার হনুফা ও ফজলু মিয়ার (মৃত) স্ত্রী মরিয়ম বেগম আর্থিক সহায়তা গ্রহণ করেন। আর্থিক সহায়তা পেয়ে ওয়ালটন কর্তৃপক্ষের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান তারা।

আরো পড়ুন:

সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ ও জেনারেল হাসপাতালে ব্যবহার হচ্ছে ওয়ালটনের স্মার্ট ইনভার্টার চিলার

সিরাজগঞ্জে স্মার্টফোনের নতুন ‘নেক্সজি ব্র্যান্ডশপ’ চালু

মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) শহরের পীরের বাজারে ওয়ালটনের ‘কবির এন্ড ব্রাদার্স’ শোরুমে আনুষ্ঠানিকভাবে দুটি পরিবারকে মোট দুই লাখ টাকার আর্থিক সহায়তার চেক হস্তান্তর করা হয়। পরিবার দুটির বকেয়া কিস্তির টাকাও মওকুফ করেছে কর্তৃপক্ষ। তাদের হাতে আর্থিক সহায়তার চেক তুলে দেন সিলেট মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রেজাউল হাসান কয়েস লোদী এবং ওয়ালটন ডিষ্টিবিউটর নেটওয়ার্কের হেড অব সেলস মো.

ফিরোজ আলম।

এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইমদাদ হোসেন চৌধুরী, খাদিমপাড়া ইউনিয়নে চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি বদরুল ইসলাম আজাদ, ওয়ালটনের এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর শহীদুজ্জামান রানা, ওয়ালটন ডিস্ট্রিবিউটর নেটওয়ার্কের ডিভিশনাল সেলস ম্যানেজার মো. আসাদুজ্জামান, রিজিওনাল সেলস ম্যানেজার পিয়াল কুমার দাস, কবির অ্যান্ড ব্রাদার্স এর ভাইস চেয়ারম্যান জামাল আহমদ সিদ্দিকী ও সিদ্দিকী ইলেকট্রনিকস এর স্বত্বাধিকারী কবির আহমদ সিদ্দিকী প্রমুখ।

জানা গেছে, চামেলিবাগ এলাকার ক্রেতা জালাল মিয়া গত মে মাসের ১৭ তারিখে কবির অ্যান্ড ব্রাদার্স শোরুম থেকে কিস্তিতে ২৪ হাজার ৯৯০ টাকার একটি এলইডি টিভি কেনেন। গত ২০ সেপ্টেম্বর তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন। অন্যদিকে, সিলেট সদর শহরের পূর্ব লামা পাতা এলাকার ফজলু মিয়া বাসায় ব্যবহারের জন্য চলতি বছলের মার্চের ৩০ তারিখে সিদ্দিকী ইলেকট্রনিক শোরুম থেকে কিস্তিতে ৪৩ হাজার ৫৭০ টাকা দামের একটি ফ্রিজ কেনেন। তিনিও হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে চলতি মাসের ১ তারিখে মৃত্যুবরণ করেন। এরই ধারাবাহিকতায় দুই মৃত ক্রেতার পরিবারের বিপদের দিনে তাদের পাশে দাঁড়িয়েছে ওয়ালটন। বকেয়া কিস্তি মওকুফসহ তাদেরকে দেওয়া হয়েছে নগদ আর্থিক সহায়তা।

সিলেট মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রেজাউল হাসান কয়েস লোদী বলেন, “ওয়ালটনের ক্রেতাদের পরিবারের মৃত্যুতে এই বিপদের দিনে তাদের পাশে দাঁড়িয়েছে শোরুম কর্তৃপক্ষ এটা অত্যন্ত প্রশংসনীয় ব্যাপার। শুধু তাই নয়, বাকি কিস্তির টাকাও মওকুফ করে দিয়েছে তারা। এটা অবিশ্বাস্য ব্যাপার। এসব সামাজিক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে ওয়ালটন তার ক্রেতাদের হৃদয়ে স্থায়ীভাবে স্থান করে নিচ্ছে। এসব কাজ একমাত্র ওয়ালটনের দ্বারাই সম্ভব। ওয়ালটন নিয়ে আমরা গর্ব করতে পারি।”

এ সময় অন্যান্য দেশীয় প্রতিষ্ঠানকেও এ ধরনের সামাজিক কার্যক্রমে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান এই স্থানীয় জনপ্রতিনিধি।

ওয়ালটন ডিস্ট্রিবিউটর নেটওয়ার্কের হেড অব সেলস মো. ফিরোজ আলম বলেন, “দেশ ও মানুষের সেবায় মানবিক দিক বিবেচনায় ওয়ালটন এসব অসহায় পরিবারের পাশে দাঁড়াচ্ছে। শুধু মুনাফা অর্জনই ওয়ালটনের লক্ষ্য নয়। ক্রেতাদের কারণেই ওয়ালটন আজ দেশের শীর্ষ ইলেকট্রনিক্স ব্র্যান্ড। তাই ক্রেতাদের ও তার পরিবারের প্রতি আমাদের অনেক দায়িত্ব ও কর্তব্য রয়েছে। তাদেরকে উচ্চমানের পণ্য ও সঠিক সেবা দেওয়া আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। ওয়ালটন পণ্যের প্রতি ক্রেতাদের আস্থা আরো বৃদ্ধি, গ্রাহকের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়ন, প্রতিষ্ঠানের সুনাম ও ভাবমূর্তি আরো উজ্জ্বল করার লক্ষ্যেই দেশব্যাপী এ ধরনের কার্যক্রম পরিচালনা করছে ওয়ালটন। এসব কার্যক্রম চলামন থাকবে।”

ঢাকা/মাহফুজ/এসবি

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব উটর ন টওয় র ক র ড স ট র ব উটর র পর ব র পর ব র র ব এনপ র স লস ম

এছাড়াও পড়ুন:

আওয়ামী লীগ ও শেখ হাসিনার রাজনৈতিক মৃত্যু হয়েছে ঢাকায়, দাফন দিল্লিতে: সালাহউদ্দিন আহমদ

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেছেন, আওয়ামী লীগ ও শেখ হাসিনার রাজনৈতিক মৃত্যু হয়েছে ঢাকায় আর দাফন দিল্লিতে। এখন দাফন-কাফন খুলে মাঝেমধ্যে একটু চিৎকার করে।

সালাহউদ্দিন আহমদ আরও বলেন, ‘আল্লাহ আমাদের সবাইকে হেফাজত করুন। বাংলাদেশে যেন আর কখনো এ রকম স্বৈরাচার, সামরিক শাসক, ফ্যাসিবাদের উৎপত্তি না হয়।’

আজ শুক্রবার রাত আটটায় কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার বদরখালী বাজারে মাতামুহুরী সাংগঠনিক থানা বিএনপি আয়োজিত পথসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ মন্তব্য করেন সালাহউদ্দিন আহমদ।

বিএনপি, খালেদা জিয়া ও জিয়াউর রহমানের গণতন্ত্র রক্ষায় ভূমিকা তুলে ধরে সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় থাকলে উন্নয়ন হয়। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান দেশের স্বাধীনতার ঘোষণা থেকে শুরু করে বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছেন।

৭ নভেম্বরের ঘটনা, ১৯৭৯ সালে বহুদলীয় গণতন্ত্র পুনঃপ্রবর্তন এবং বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে এরশাদবিরোধী আন্দোলনের সাফল্যের কথাও তুলে ধরেন। তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতি চালু, সংসদীয় শাসনব্যবস্থা সুপ্রতিষ্ঠিত করা—এসব অর্জনও বিএনপির নেতৃত্বেই হয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।

শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগকে গণতন্ত্র ধ্বংসের জন্য দায়ী উল্লেখ করে সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, তাঁরা তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা বাতিল করেছেন, একদলীয় শাসন চাপিয়ে দিয়েছেন, শেষ পর্যন্ত গণ-অভ্যুত্থানের মুখে দেশ ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন।

পথসভায় সভাপতিত্ব করেন মাতামুহুরী সাংগঠনিক থানা বিএনপির সভাপতি জামিল ইব্রাহিম চৌধুরী। বক্তব্য দেন সাবেক সংসদ সদস্য হাসিনা আহমদ, কক্সবাজার জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শামীম আরা, দপ্তর সম্পাদক ইউসুফ বদরী, পেকুয়া উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান শাফায়েত আজিজ, থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হেফাজতুর রহমান, জেলা শ্রমিক দলের সভাপতি রফিকুল ইসলাম, জেলা ওলামা দলের সভাপতি আলী হাসান চৌধুরী প্রমুখ।

এর আগে সালাহউদ্দিন আহমদ কোনাখালী, পশ্চিম বড়ভেওলা, বরইতলী, সাহারবিল, ঢেমুশিয়া ও বদরখালী এলাকায় গণসংযোগ করেন। বেলা তিনটায় চকরিয়া উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি আনছারুল ইসলাম চৌধুরীর জানাজায়ও অংশ নেন তিনি।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বিএনপির মনোনীত নেতারা প্রচারে, পিছিয়ে নেই জামায়াত
  • শেখ হাসিনা দেশে বাকশাল কায়েম করেছিলেন: সালাহউদ্দিন আহমদ
  • ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত
  • আওয়ামী লীগ ও শেখ হাসিনার রাজনৈতিক মৃত্যু হয়েছে ঢাকায়, দাফন দিল্লিতে: সালাহউদ্দিন আহমদ
  • স্বাধীন বাংলার অভ্যুদয়ের প্রত্যক্ষ বয়ান
  • এবার পাকিস্তানের প্রথম প্রতিরক্ষা বাহিনীর প্রধান হলেন ফিল্ড মার্শাল আসিম মুনির