রংপুরে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের মামলায় সাবেক পিপি জাহাঙ্গীর গ্রেপ্তার
Published: 23rd, October 2025 GMT
রংপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন দমন ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় সাবেক সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) জাহাঙ্গীর হোসেনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় রংপুর নগরের আদালত এলাকায় কেরামতিয়া মসজিদের সামনে থেকে জাহাঙ্গীর হোসেনকে কোতয়ালি থানার পুলিশ গ্রেপ্তার করে। তিনি রংপুর মহানগর আওয়ামী লীগের ধর্মবিষয়ক সম্পাদক এবং বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের সদস্য।
রংপুর মহানগর পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে গত বছরের ১০ অক্টোবর কোতয়ালি ও তাজহাট থানায় এবং এ বছরের ৯ মে কোতয়ালি থানায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন দমন ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে তিনটি মামলা করা হয়। গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার আগে তিনি রংপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২-এ পিপি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের পর জাহাঙ্গীর হোসেনকে পিপি পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। তবে তিনি আইন পেশায় নিয়োজিত ছিলেন।
রংপুর মহানগর কোতয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতাউর রহমান বলেন, জাহাঙ্গীর হোসেনকে আজ বৃহস্পতিবার আদালতে তোলা হবে।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
নোয়াখালীতে শিবির-যুবদল সংঘর্ষের ঘটনায় ২ মামলা
নোয়াখালী সদর উপজেলার নেওয়াজপুর ইউনিয়নে ইসলামী ছাত্রশিবির এবং যুবদলের নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় দুইটি মামলা হয়েছে। দুই পক্ষ একে অন্যকে দায়ী করে মামলাগুলো করেছে।
বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) সুধারাম মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ কামরুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। গতকাল বুধবার (২২ অক্টোবর) মামলাগুলো হয়।
আরো পড়ুন:
ঈদগাহ মাঠের পুরনো দ্বন্দ্বে সংঘর্ষ, আহত ২০
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মহাসড়কে টর্চ জ্বালিয়ে সংঘর্ষ
পুলিশ জানায়, গত রবিবার বিকেলে নেওয়াজপুর ইউনিয়নের কাশেম বাজার জামে মসজিদে যুবদল ও ছাত্রশিবিরের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। ওই ঘটনায় উভয় পক্ষের অন্তত ৫০ জন আহত হন। পরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। এ ঘটনায় ইউনিয়ন যুবদল সভাপতি মো. ফারুক হোসেন বাদী হয়ে জামায়াত ও শিবিরের ১৯ জন নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা আরো ১৫০–২০০ জনকে আসামি করে সুধারাম মডেল থানায় মামলা করেন।
অপরদিকে, ইসলামী ছাত্রশিবিরের শহর শাখার আইন সম্পাদক নাঈম হোসেন বাদী হয়ে মামলা করেন। এতে ৩১ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। অজ্ঞাতনামা আরো ২০০-২১০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
ওসি মোহাম্মদ কামরুল ইসলাম জানান, সংঘর্ষে উভয় পক্ষের কয়েকজন আহত হন। ঘটনাটি বিস্তারিতভাবে তদন্ত করা হচ্ছে এবং অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ঢাকা/সুজন/মাসুদ