আমার বাংলাদেশ পার্টির (এবি পার্টি) চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেছেন, ‘২০২৪-এর গণ-অভ্যুত্থান প্রমাণ করেছে, জোর করে ক্ষমতায় থাকা যায় না। একদিন না একদিন এর করুণ পরিণতি ভোগ করতে হয়। আমরা দেখছি, তিনটি রাজনৈতিক দলকে সরকার খুশি করার চেষ্টা করছে। তাদের চাপে সরকার দিশাহারা। অথচ অতীতে তত্ত্বাবধায়ক সরকারগুলো এমন ছিল যে সরকারের চাপে রাজনৈতিক দলগুলো দিশাহারা হতো।’

আজ শুক্রবার দুপুরে ঝিনাইদহ শহরের একটি রেস্তোরাঁয় সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এ কথাগুলো বলেন এবি পার্টির এই নেতা। এ সময় তিনি ঝিনাইদহের ৩টি আসনে এবি পার্টি মনোনীত প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন। তাঁরা হলেন ঝিনাইদহ-১ আসনে মতিয়ার রহমান, ঝিনাইদহ-২ আসনে হাদিউজ্জামান খোকন, ঝিনাইদহ-৩ আসনে মুফতি মুজাহিদুল ইসলাম।

সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করে মজিবুর রহমান বলেন, ‘সব রাজনৈতিক দলের মধ্যে “লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড” বজায় থাকার কথা ছিল। কিন্তু আমরা দেখছি, ব্যক্তিস্বার্থ নিয়ে বিএনপি-বিএনপি সংঘর্ষ, বিএনপি-জামায়াত সংঘর্ষ, খুনোখুনি ও রাজনৈতিক চক্রান্ত চলছে।’

গণ-অভ্যুত্থানে এবি পার্টির ভূমিকার কথা তুলে ধরে মজিবুর রহমান বলেন, ‘সবাই আমাদের সাধুবাদ জানিয়েছে। আমরা চাই এবি পার্টি ধীরে ধীরে বড় হবে। মানুষের কাছে পৌঁছাবে। আমরা চাই, সব রাজনৈতিক দল নিজেদের বিভেদ ভুলে জনগণের কল্যাণে কাজ করুক।’

মতবিনিময় সভায় সাংবাদিকদের পাশাপাশি এবি পার্টির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: র জন ত ক ঝ ন ইদহ সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

নরসিংদীতে বাসের ধাক্কায় নিহত তিন বন্ধুর পাশাপাশি দাফন

নরসিংদী সদর উপজেলার মাধবদীতে বাসের ধাক্কায় নিহত তিন তরুণ ছিলেন শৈশবের বন্ধু। আজ শুক্রবার সকালে তাঁদের লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে পুলিশ। বাদ জুমা একসঙ্গে তিনজনের জানাজা শেষে পাশাপাশি কবরে তাঁদের দাফন করা হয়।

গতকাল বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে মাধবদী থানার নুরালাপুর ইউনিয়নের ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের রাইনাদী এলাকায় বাসের ধাক্কায় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশায় থাকা ওই তিন বন্ধু নিহত হন। নিহত তিনজন হলেন রাইনাদী গ্রামের সিয়াম মিয়া (২৭), সাব্বির হোসেন (২৮) ও ফাহিম মিয়া (৩০)। মাধবদীর একটি ইলেকট্রিকের দোকানে কাজ করতেন সিয়াম। একটি অটোরিকশার গ্যারেজে কাজ করতেন ফাহিম এবং সাব্বির ছিলেন অটোরিকশাচালক।

হাইওয়ে পুলিশ ও স্বজনদের তথ্য অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে তিন বন্ধু মাধবদী থেকে অটোরিকশায় রাইনাদী যাচ্ছিলেন। অটোরিকশাটি মহাসড়ক থেকে গলিতে ঢোকার সময় পেছন থেকে সিলেটগামী একটি বাস ধাক্কা দেয়। ঘটনাস্থলেই সিয়াম মারা যান, আর হাসপাতালে নেওয়ার পথে সাব্বির ও ফাহিমের মৃত্যু হয়।

স্বজন ও স্থানীয় লোকজন জানান, সাব্বিরের স্ত্রীর জন্মদিন উদ্‌যাপনের পরিকল্পনায় ওই রাতে ফাহিমের কর্মস্থলে তিন বন্ধু একত্র হয়েছিলেন। সেখান থেকে একটি অটোরিকশা নিয়ে ফাহিম নিজেই সেটি চালিয়ে বন্ধুদের নিয়ে বের হন। পথে তাঁরা মাধবদীর একটি দোকান থেকে জন্মদিনের উপহার কেনেন। ফেরার পথে জাকিয়া কটন মিলের সামনে দুর্ঘটনাটি ঘটে।

পাশাপাশি কবরে তিন বন্ধুর দাফন সম্পন্ন হয়েছে

সম্পর্কিত নিবন্ধ