জোটবদ্ধ হলেও নিজেদের দলীয় প্রতীকেই নির্বাচন করতে হবে—নির্বাচনসংক্রান্ত আইন গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধনীর এই অংশের পরিবর্তন চেয়ে নির্বাচন কমিশনে (ইসি) আগামীকাল রোববার চিঠি দেবে বিএনপি। দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ প্রথম আলোকে এ তথ্য জানিয়েছেন। আরপিওর ২১ ধারায় কোনো নিবন্ধিত দল জোটভুক্ত হলে জোটের যেকোনো দলের প্রতীকে নির্বাচন করার স্বাধীনতা ছিল।

গত বৃহস্পতিবার প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে আরপিও (সংশোধন) অধ্যাদেশ অনুমোদিত হয়। তাতে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের জোটগত নির্বাচনের ক্ষেত্রে নিজ দলের প্রতীকে নির্বাচন করার বিধান অন্তর্ভুক্ত করা হয়।

বিএনপি আরপিওর ২১ ধারাটি বহাল রাখার পক্ষে মত দিয়েছিল। কারণ, ছোট দলগুলো জোটভুক্ত হয় শরিক বড় দলের প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করার সুবিধার জন্য। তা না হলে ছোট দলগুলো জোটভুক্ত হবে কেন।

জানা গেছে, এ বিষয়ে ইতিমধ্যে বিএনপির একজন নেতা আইন উপদেষ্টার সঙ্গে কথা বলেছেন। এই সংশোধনী বাতিল করার জন্য রোববার দলের পক্ষ থেকে নির্বাচন কমিশনে চিঠি পাঠানো হবে।

জোটবদ্ধ হলেও নিজেদের দলীয় প্রতীকেই নির্বাচন করার এই সংশোধনী প্রস্তাব উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে অনুমোদিত হওয়ায় ছোট দলগুলোতে অস্বস্তি দেখা দিয়েছে, যারা জোটবদ্ধ নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। বিশেষ করে, বিএনপির সঙ্গে জোট করতে আগ্রহী ছোট দলগুলোর অনেকের মধ্যে শঙ্কা তৈরি হয়েছে, নিজেদের দলীয় প্রতীকে প্রার্থী হয়ে নির্বাচনে জয়ী হওয়া যাবে কি না।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ছ ট দলগ ল উপদ ষ ট জ টবদ ধ দল র প ব এনপ আরপ ও

এছাড়াও পড়ুন:

ভেনেজুয়েলা নিয়ে ট্রাম্প কী লক্ষ্য অর্জন করতে চান

দুই মাস ধরে যুক্তরাষ্ট্র ক্যারিবীয় সাগরে কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে বড় সামরিক সমাবেশ ঘটাচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র বলছে, মাদকের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য এ আয়োজন। কিন্তু ওয়াশিংটনের প্রকৃত উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। বিশ্লেষকেরা বলছেন, যুক্তরাষ্ট্র শক্তি প্রদর্শনের মাধ্যমে কারাকাসকে বার্তা দিতে চায়।

যুক্তরাষ্ট্র ইতিমধ্যে ছোট ছোট নৌযানে হামলা চালিয়ে কয়েকজনকে হত্যা করেছে। এই হামলাগুলোকে ঘিরে লাতিন আমেরিকা অঞ্চলজুড়ে নিন্দার ঝড় উঠেছে। বিশেষজ্ঞরা প্রশ্ন তুলেছেন এর বৈধতা নিয়ে। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকাণ্ড আসলে ইঙ্গিত দিচ্ছে—ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলা মাদুরোকে ভয় দেখাতে অভিযান চালানো হচ্ছে।

লন্ডনভিত্তিক গবেষণাপ্রতিষ্ঠান চ্যাথাম হাউসের লাতিন আমেরিকা-বিষয়ক সিনিয়র ফেলো ক্রিস্টোফার সাবাতিনি বলেন, এটি মূলত সরকার পরিবর্তনের প্রচেষ্টা। তারা হয়তো সরাসরি আগ্রাসনে যাবে না, বরং শক্তি প্রদর্শনের মাধ্যমে বার্তা দিতে চায়।

সাবাতিনির মতে, এই সামরিক আয়োজন আসলে শক্তি প্রদর্শন। এর উদ্দেশ্য ভেনেজুয়েলার সেনাবাহিনী ও মাদুরোর ঘনিষ্ঠ মহলে ভয় সৃষ্টি করা, যাতে তারা তাঁর বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প

সম্পর্কিত নিবন্ধ