গাজীপুরের কালিয়াকৈরে দিনদুপুরে ১৪ লাখ টাকা ছিনতাই
Published: 25th, November 2025 GMT
গাজীপুরে প্রাইভেট কার দিয়ে মোটরসাইকেলের গতি রোধ করে ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। আজ মঙ্গলবার বিকেলে কালিয়াকৈর উপজেলার লতিফপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ছিনতাইকারী ব্যক্তিরা মোটরসাইকেল আরোহীদের কাছে থাকা জমি কেনার ১৪ লাখ টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যায়।
এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ভাউমান টালাবহ এলাকার আফসার আলীর তিন ছেলে আরিফ হোসেন, আরেফিন হোসেন ও আবির হোসেন জমি কেনার জন্য ১৪ লাখ টাকা নিয়ে লতিফপুর এলাকার ভেন্ডার অফিসে যান। এ সময় তাঁদের স্বজনেরাও সেখানে আসেন। দলিল লেখক মতিউর রহমান কাগজপত্রে ত্রুটি থাকায় জমি রেজিস্ট্রি করতে পারেননি। যে কারণে টাকাও লেনদেন হয়নি। পরে আরেফিন ও আবির তাঁদের দুলাভাই আমিনুল ইসলামের মোটরসাইকেলে ওই টাকাভর্তি ব্যাগ নিয়ে বাড়ির দিকে যাচ্ছিলেন। বেলা তিনটার দিকে ঢাকা–টাঙ্গাইল মহাসড়কের লতিফপুর এলাকার জোড়া ব্রিজের পাশে পৌঁছালে তাঁদের চলন্ত মোটরসাইকেলে ধাক্কা দেয় একটি প্রাইভেট কার। এতে তাঁরা মহাসড়কে ছিটকে পড়েন। এ ঘটনায় তাঁরা আতঙ্কিত হয়ে পড়লে প্রাইভেট কার থেকে দুজন নেমে এসে তাঁদের কাছে থাকা ১৪ লাখ টাকাভর্তি ব্যাগটি ছিনিয়ে নেয় এবং গাড়ি নিয়ে দ্রুত পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে কালিয়াকৈর থানার পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
দলিল লেখক মতিউর রহমান বলেন, ‘তাঁদের দলিল সম্প্রদানের জন্য প্রস্তুত করেছিলাম। কিন্তু ওই জমির একটি আমমোক্তারনামা দলিল থাকায় দলিল সম্প্রদান করা যায়নি। পরে দুই পক্ষকে বুঝিয়ে দিলে তারা চলে যায়, তবে বাইরে গিয়ে ওই ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে।’
কালিয়াকৈর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) জামিল হাসান জানান, এ ঘটনায় আরেফিন হোসেন বাদী হয়ে কালিয়াকৈর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন। ছিনতাইয়ের ঘটনাটির তদন্ত চলছে। এখনো কাউকে আটক করা যায়নি।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ১৪ ল খ ট ক
এছাড়াও পড়ুন:
প্রথম আলো সব সময় সাহসী ভূমিকায় থাকবে, প্রত্যাশা পাঠকদের
সত্য বলা এখন অনেক কঠিন। তারপরও প্রথম আলো ২৭ বছর ধরে সাহস নিয়ে এগিয়ে চলছে। জনগণের কথা, বিশেষ করে অবহেলিত মানুষের কথা তুলে ধরছে প্রথম আলো। এমন সাহসী সংবাদমাধ্যম আজকের সমাজে খুবই প্রয়োজন। প্রথম আলো সব সময় সাহসী ভূমিকায় থাকবে—এটাই সবার প্রত্যাশা।
মঙ্গলবার বিকেলে মাগুরায় প্রথম আলো আয়োজিত সুধী সমাবেশে বক্তারা এসব কথা বলেন। পত্রিকাটির ২৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সদর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে এ সুধী সমাবেশের আয়োজন করা হয়। বিকেল সোয়া চারটায় জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু হয়। এতে শিক্ষক, সাংবাদিক, চিকিৎসক, রাজনৈতিক নেতা, সাংস্কৃতিক কর্মী, উন্নয়ন কর্মী, ব্যবসায়ীসহ নানা শ্রেণি–পেশার মানুষ অংশ নেন।
সমাবেশে বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দলের জেলা শাখার আহ্বায়ক শম্পা বসু বলেন, ‘আমরা এমন একটি সময় পার করছি, যখন সত্য প্রকাশ করা অনেক ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে দাঁড়ায়। কিন্তু প্রথম আলো সেই ঝুঁকি নিয়েও মানুষের কথা বলে যাচ্ছে। মাগুরার মতো জেলার খবরও তারা নিয়মিত তুলে ধরছে—এই ধারাবাহিকতা আরও বাড়ুক।’
কলেজশিক্ষক রুহুল আমীন বলেন, ‘চব্বিশের গণ-অভ্যুত্থানের সময় প্রথম আলোর ভূমিকা ছিল প্রশংসনীয়। দেশের কঠিন সময়ে ইন্টারনেট বন্ধ থাকা সত্ত্বেও প্রথম আলো সংবাদ পরিবেশন চালিয়ে গেছে। এটাই তাদের শক্তি। দেশের গণতন্ত্র ও মানবাধিকার সুসংহত রাখতে আমরা প্রথম আলোর আরও সাহসী ভূমিকা প্রত্যাশা করি।’
অনুষ্ঠানে অতিথিদের আপ্যায়নে এ অঞ্চলের শীতকালীন ঐতিহ্যবাহী পিঠা পরিবেশন করা হয়। নাশতার সঙ্গে সঙ্গে চলে অতিথিদের গোল টেবিল আলোচনা। বন্ধুসভার সদস্য ফারহানা সুলতানার সঞ্চালনায় সমাবেশে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের জেলা সভাপতি মুফতি মোস্তফা কামাল বলেন, ‘প্রথম আলো পাঠকদের অনেক চাহিদা পূরণ করে। আমরা চাই, এই পত্রিকায় আরও বেশি ইসলাম ধর্ম নিয়ে লেখা প্রকাশিত হোক।’
জেলা জামায়াতের আমির এম বি বাকের বলেন, ‘প্রথম আলো জাতীয় খবরের পাশাপাশি স্থানীয় খবর আরও বেশি প্রকাশ করুক, যেন সব শ্রেণির সব ধরনের গল্প মানুষের সামনে উঠে আসে। সংবাদমাধ্যম সত্য নিরপেক্ষ সংবাদ পরিবেশন করলে কেউ দুর্নীতিবাজ, দখলবাজ হয়ে উঠতে পারবে না।’
সুধী সমাবেশে শিক্ষক, রাজনীতিবিদ, সাংস্কৃতিক কর্মীসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার পাঠক অংশ নেন। তাঁরা প্রথম আলোর কাছে নানা প্রত্যাশার কথা তুলে ধরেন। মঙ্গলবার বিকেলে সদর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে