ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ক্যাম্পাসে অবৈধ দোকান, উদ্বাস্তু, ভবঘুরে ও নেশাগ্রস্তদের উচ্ছেদেরর কঠোর সমালোচনা করেছেন উমামা ফাতেমা।

উমামা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে স্বতন্ত্র শিক্ষার্থী ঐক্য প্যানেলের সহ-সভাপতি (ভিপি) প্রার্থী এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক।

আরো পড়ুন:

বাংলাদেশে রাজনীতি করবে বাংলাদেশপন্থিরা: ডাকসু ভিপি

জগন্নাথ হল ট্রাজেডি স্মরণে ঢাবিতে শোক

রবিবার (২৬ অক্টোবর) রাত ১টা ১৫ মিনিটে দেওয়া এক ফেসবুক পোস্টে তিনি এ সমালোচনা করেন। ওই পোস্টে ঢাবির সিএসই বিভাগের শিক্ষার্থী আবির হাসান নামে এক শিক্ষার্থীর শেয়ার কর ভিডিও যুক্ত করেন।

পোস্টে উমামা ফাতেমা বলেন, “ক্যাম্পাস থেকে ভবঘুরে, উদ্বাস্তু সরানোর জন্য রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কোলাবোরেশন করে কাজ করা উচিত।”

তিনি বলেন, “রাস্তাঘাটে মানুষকে মারধর করে তো লাভ নাই, জীবন-জীবিকার প্রয়োজনে তারা মারধরে অভ্যস্ত।”

পোস্টে নাগরিক অধিকারের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, “ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে কি শিক্ষার্থীরাই শুধু নাগরিকের মর্যাদা পাবে? বাকিদের কোনো নাগরিক অধিকার নাই? এই ধরনের জমিদারি মানসিকতাই তো ফ্যাসিবাদ।”

তার এই পোস্টটিতে প্রায় আড়াই হাজার অনুসারি রিঅ্যাক্ট দিয়েছেন। এর মধ্যে অর্ধেকের বেশি ‘হা হা’ রিঅ্যাক্ট দিয়েছেন। তবে পোস্টে মন্তব্যের সুযোগ রাখেননি উমামা। 

এর আগে, শিক্ষার্থীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে গত চারদিন ধরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) যৌথ উদ্যোগে এই উচ্ছেদ অভিযান পরিচালিত হয়।

এরই ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) সন্ধ্যায় টিএসসি মেট্রোরেল স্টেশন এলাকা থেকে শুরু করে চারুকলা অনুষদ পর্যন্ত এলাকায় উচ্ছেদ অভিযান চলে। এতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পাশাপাশি ঢাকা মহানগর পুলিশ, সিটি কর্পোরেশন, মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘গ্রিন ফিউচার’ এর সদস্যরা অংশ নেন।

এ ঘটনায় বামপন্থীদের নেতৃত্বে হকার এবং ডাকসু নেতাদের নেতৃত্বে শিক্ষার্থীরা পাল্টাপাল্টি বিক্ষোভ করেছেন।

ঢাকা/মেহেদী

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

টক শোতে বসে ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে বড় বড় কথা বলতেছে: তথ্য উপদেষ্টা

অনেকে সাংবাদিক, বুদ্ধিজীবী বা বিভিন্ন পরিচয়ে টেলিভিশন টক শোতে বসে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে ‘বড় বড় কথা বলছেন’ উল্লেখ করে তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম বলেছেন, ওই সাহস কোথায় ছিল গত ১৫ বছরে?

আজ রোববার বিকেলে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) মিলনায়তনে ‘মিট দ্য রিপোর্টার্স’ অনুষ্ঠানে এক প্রশ্নের জবাবে তথ্য উপদেষ্টা এ কথা বলেন। ডিআরইউ আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম উপস্থিত ছিলেন।

একজন সাংবাদিক প্রশ্ন করেন, সংবাদ সংগ্রহের সময় সাংবাদিকদের ওপর হামলা রোধে আইন করা যায় কি না? জবাবে তথ্য উপদেষ্টা বলেন, সাংবাদিকতার পরিমণ্ডল থেকে যদি ‘ব্যাড অ্যাপল’ (খারাপ মানুষ) না সরানো যায়, রাজনৈতিক দুর্বৃত্তায়ন যদি থেকে যায়, তাহলে অবশ্যই সাংবাদিকদের ওপর আক্রমণ হবে।

এ প্রসঙ্গে আলোচনায় উপদেষ্টা মাহফুজ আলম বলেন, ‘যারা ভায়োলেন্স করবে, আজকে যদি সুযোগ পায়, আজকেই আমাদের মেরে ফেলবে, তারা ঘুরে বেড়াচ্ছে সাংবাদিক পরিচয়ে বা বিভিন্ন পরিচয়ে, বুদ্ধিজীবী পরিচয়ে। টেলিভিশন টক শোতে বসে বসে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে বড় বড় কথা বলতেছে। ওই সাহস কোথায় ছিল গত ১৫ বছরে?’

এরপরও সরকারের পক্ষ থেকে ‘খুব বেশি’ ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা হয়নি উল্লেখ করে তথ্য উপদেষ্টা বলেন, ‘এ জন্য যে আমরা চাই না যে আমরা কোনো হস্তক্ষেপ করি।’

সাংবাদিকদের সুরক্ষা নিয়ে আলোচনায় বিভিন্ন মহল থেকে প্রতিবাদ এসেছে জানিয়ে মাহফুজ আলম বলেন, তারা প্রশ্ন তুলেছে যে এমন আইন ফ্যাসিস্টের দোসর ছিল, এখন বিভিন্ন হাউসে রয়েছে, তাদের সুরক্ষা দেবে। স্থানীয় পর্যায়ে যারা বিভিন্ন দলের দালালি করে, তারা সুরক্ষা পাবে।

গত ১৫ বছরে ‘অপসাংবাদিকতা’র জন্য কেউ অ্যাপোলজি (ক্ষমা প্রার্থনা) করেনি উল্লেখ করে মাহফুজ আলম বলেন, তাদের ভূমিকার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করেনি। তাহলে কাকে ভরসা করে আইনটা করা হবে?

নতুন দুটি গণমাধ্যমের অনুমোদন দেওয়া নিয়ে লেখালেখি হওয়ার কথা তুলে ধরে এ ক্ষেত্রে তথ্য মন্ত্রণালয় কী ভাবছে, তা জানতে চান একজন সাংবাদিক। জবাবে তথ্য উপদেষ্টা বলেন, দেশে বিকল্প গণমাধ্যম ছাড়া ‘বাকশালি ইকোসিস্টেম’ পরিবর্তন করা সম্ভব নয়। তাই তিনি বিকল্প মিডিয়া দেবেন।

তথ্য উপদেষ্টা বলেন, ‘যখন আমরা মালিকানার ফাইলগুলো দেখি, অধিকাংশ মালিক এখনো আওয়ামী লীগের। এখনো আওয়ামী লীগের মালিকানা পরিবর্তন করা হয় নাই। ওনারা বিদেশ থেকে বসে বসে এখনো এখানে টেলিভিশন চ্যানেলে যে আয় হয়, সেটার থেকে ওনারা পাচ্ছেন। পত্রিকা অফিস থেকে ওনারা পাচ্ছেন।’

‘মিট দ্য রিপোর্টার্স’ অনুষ্ঠানে তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম। আজ রোববার বিকেলে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) মিলনায়তনে

সম্পর্কিত নিবন্ধ