সততা, সত্যনিষ্ঠা ও কর্তব্যবোধে ব্রতী হয়ে উন্নয়নমূলক কার্যক্রমের মাধ্যমে দেশ গঠনে কোর অব ইঞ্জিনিয়ার্সের কর্নেল কমান্ড্যান্টদের ভূমিকা রাখার আহ্বান জানিয়েছেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান। রোববার সকালে নাটোরের কাদিরাবাদ সেনানিবাসে ইঞ্জিনিয়ার সেন্টার অ্যান্ড স্কুল অব মিলিটারি ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের (ইসিএসএমই) নবম কর্নেল কমান্ড্যান্ট অভিষেক অনুষ্ঠান ও বার্ষিক অধিনায়ক সম্মেলন-২০২৫ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ আহ্বান জানান।

আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। আইএসপিআর জানায়, আজ সকালে সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান কাদিরাবাদ সেনানিবাসে পৌঁছালে জিওসি, আর্মি ট্রেনিং অ্যান্ড ডকট্রিন কমান্ড; সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ার-ইন-চিফ এবং কমান্ড্যান্ট, ইসিএসএমই তাঁকে অভ্যর্থনা জানান।

এ সময় সেনাপ্রধানকে কোর অব ইঞ্জিনিয়ার্সের নবম কর্নেল কমান্ড্যান্ট হিসেবে অভিষিক্ত করা হয়। পরে তিনি বার্ষিক অধিনায়ক সম্মেলনে উপস্থিত কোর অব ইঞ্জিনিয়ার্সের অধিনায়ক ও অন্য কর্মকর্তাদের উদ্দেশে বক্তব্য দেন। তিনি কোরের প্রযুক্তিগত উন্নয়ন, গবেষণা, পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধি ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনাসহ বিভিন্ন বিষয়ে মতবিনিময় করেন।

অনুষ্ঠানে সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানকে কোর অব ইঞ্জিনিয়ার্সের নবম কর্নেল কমান্ড্যান্ট হিসেবে অভিষিক্ত করা হয়। রোববার সকালে কাদিরাবাদ সেনানিবাসে.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

ডিএসইতে মূলধন বেড়েছে ৬ হাজার ৫৮ কোটি টাকা

বিদায়ী সপ্তাহে (১৯ থেকে ২৩ অক্টোবর) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূচক বাড়লেও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) কমেছে। এ সময়ে ডিএসইতে টাকার পরিমাণে লেনদেন কিছুটা কমলেও সিএসইতে বেড়েছে। তবে বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসইতে বাজার মূলধন বাড়লেও সিএসইতে কিছুটা কমেছে।

শনিবার (২৫ অক্টোবর) ডিএসইর সাপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনা সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

তথ্য মতে, সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৩০.৪৭ পয়েন্ট বা ০.৬০ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ১৪৯ পয়েন্টে। অপর সূচকগুলোর মধ্যে ডিএসই-৩০ সূচক ৩০.১৮ পয়েন্ট বা ১.৫৩ শতাংশ বেড়ে ১ হাজার ৯৯৮ পয়েন্টে, ডিএসই শরিয়াহ সূচক ২.২৬ পয়েন্ট বা ০.২১ শতাংশ বেড়ে ১ হাজার ৮৮ পয়েন্টে এবং ডিএসএমইএক্স সূচক (এসএমই ইনডেক্স) ২৪.১৬ পয়েন্ট বা ২.৪৫ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ১০ পয়েন্টে।

বিদায়ী সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৭ লাখ ৫ হাজার ৩৪৩ কোটি ৩ লাখ ২০ হাজার টাকা। আর বিদায়ী সপ্তাহের আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ডিএসইর বাজার মূলধন ছিল ৬ লাখ ৯৯ হাজার ২৮৫ কোটি টাকা। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে বাজার মূলধন বেড়েছে ৬ হাজার ৫৮ কোটি ৩ লাখ ২০ হাজার টাকা।

বিদায়ী সপ্তাহে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেন হয়েছে ২ হাজার ১৩৮ কোটি ৭১ লাখ ১০ হাজার টাকা। আর বিদায়ী সপ্তাহের আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ২ হাজার ৬১১ কোটি ১১ লাখ ৭০ হাজার টাকার। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে লেনদেন কমেছে ৪৭২ কোটি ৪০ লাখ ৬০ হাজার টাকা।

বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসইতে মোট ৩৯২টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিটের লেনদেন হয়েছে। কোম্পানিগুলোর মধ্যে দর বেড়েছে ১৫৭টির, দর কমেছে ২০৩টির ও দর অপরিবর্তিত রয়েছে ৩২টির। তবে লেনদেন হয়নি ২১টির।

অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) বিদায়ী সপ্তাহে সিএসইর সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৫৫.৪৫ পয়েন্ট বা ০.৩৮ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ১৪ হাজার ৪১৩ পয়েন্টে। সিএসইর অপর সূচকগুলোর মধ্যে সিএসই-৩০ সূচক ০.৩৬ শতাংশ বেড়ে ১২ হাজার ৭২৭ পয়েন্টে, সিএসসিএক্স সূচক ০.১৭ শতাংশ কমে ৮ হাজার ৮৮২ পয়েন্টে, সিএসআই সূচক ০.৬৬ শতাংশ কমে ৯০৭ পয়েন্টে এবং এসইএসএমইএক্স (এসএমই ইনডেক্স) ০.৬৪ শতাংশ কমে ২ হাজার ১ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।

বিদায়ী সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৭ লাখ ৩ হাজার ৯১৭ কোটি ৯২ লাখ ৮০ হাজার টাকা। আর বিদায়ী সপ্তাহের আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে সিএসইর বাজার মূলধন ছিল ৭ লাখ ৪ হাজার ২২ কোটি ৩৩ লাখ টাকা। টাকায়। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে বাজার মূলধন কমেছে ১০৪ কোটি ৪১ লাখ টাকা।

বিদায়ী সপ্তাহে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেন হয়েছে ৬৭ কোটি ৬০ লাখ টাকা। আর বিদায়ী সপ্তাহের আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ৬১ কোটি ৩১ লাখ টাকা। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে সিএসইতে লেনদেন বেড়েছে ৬ কোটি ২৯ লাখ টাকা।

বিদায়ী সপ্তাহে সিএসইতে মোট ৩১০টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেনে অংশ নিয়েছে। কোম্পানিগুলোর মধ্যে দর বেড়েছে ৯৭টির, দর কমেছে ১৯১টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২২টির শেয়ার ও ইউনিট দর।

ঢাকা/এনটি/ইভা 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বেসরকারি ব্যাংকের এসএমই বিভাগে একাধিক পদে চাকরি, স্নাতকে আবেদন
  • ডিএসইতে মূলধন বেড়েছে ৬ হাজার ৫৮ কোটি টাকা