নাফিসা কামালসহ ৮ ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অর্থপাচারের মামলা
Published: 27th, October 2025 GMT
মালয়েশিয়ায় জনশক্তি রপ্তানির সিন্ডিকেটের অন্যতম সদস্য নাফিসা কামাল এবং তার প্রতিষ্ঠান অরবিটালস ইন্টারন্যাশনালসহ আট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে মামলা করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
সোমবার (২৭ অক্টোবর) সন্ধ্যায় সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার (মিডিয়া) জসীম উদ্দিন খান এ তথ্য জানিয়েছেন।
আরো পড়ুন:
সাজিদ হত্যার তদন্তে সিআইডিকে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমোদন
ইবিতে সাজিদ হত্যার তদন্ত নিয়ে সিআইডির বৈঠক, বিচার চেয়ে কফিন মিছিল
সিআইডি জানিয়েছে, প্রতারণা করে প্রায় ৩৩ কোটি ৪৪ লাখ টাকা মানিলন্ডারিংয়ের অভিযোগে গুলশান থানায় মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ২০১২ এর ৪(২)/৪(৪) ধারায় মামলা করা হয়েছে। নাফিসা কামাল ও তার জনশক্তি রপ্তানি প্রতিষ্ঠান অরবিটালস ইন্টারন্যাশনাল এবং সহযোগী সিন্ডিকেট সদস্য হাফিযুল বারী মোহাম্মদ লুৎফর রহমান (স্বত্বাধিকারী: ইরভিং এন্টারপ্রাইজ) রফিকুল ইসলাম পাটোয়ারী (স্বত্বাধিকারী: আমান এন্টারপ্রাইজ) জসিম উদ্দিন আহমেদ (স্বত্বাধিকারী: আহাদ ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড), মো.
সিআইডি অনুসন্ধানে আরো জানতে পেরেছে, অভিযুক্তরা পরস্পর যোগসাজশে প্রতারণার মাধ্যমে ২০২২ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত ৩ হাজার ১১১ জন কর্মী মালয়েশিয়ায় পাঠায়। সরকার নির্ধারিত জনপ্রতি ফি ৭৮ হাজার ৯৯০ টাকার বিপরীতে অবৈধভাবে জনপ্রতি ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা গ্রহণ করে। সরকারিভাবে পাসপোর্ট খরচ, কোভিড-১৯ পরীক্ষা ফি, মেডিকেল ফি ও পোশাক সংক্রান্ত ফি’র বাইরে প্রত্যেক কর্মীর কাছ থেকে ৩৬ হাজার ৫০০ টাকা অতিরিক্ত গ্রহণ করার তথ্য পাওয়া গেছে।
সিন্ডিকেটের অন্যতম সদস্য নাফিসা কামাল ও তার জনশক্তি রপ্তানি প্রতিষ্ঠান অরবিটালস ইন্টারন্যাশনালসহ অপরাপর অভিযুক্তরা পরস্পর সংঘবদ্ধভাবে সরকার নির্ধারিত ফি’র বাইরে জনপ্রতি অতিরিক্ত ১ লাখ ৭ হাজার ৫১০ টাকা এবং মোট ৩৩ কোটি ৪৪ লাখ ৬৩ হাজার ৬১০ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার প্রাথমিক তথ্য-প্রমাণ পাওয়ায় মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে মামলা দায়ের করেছে সিআইডি।
বর্তমানে এ মামলা তদন্ত করছে ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিট। অভিযোগ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের নামে দেশের বিভিন্ন স্থানে স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তির সন্ধান করা হচ্ছে।
অপরাধের পূর্ণাঙ্গ তথ্য উদঘাটন, অপরাপর সদস্যদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তার করার জন্য নিবিড় তদন্ত ও সাঁড়াশি অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছে সিআইডি।
ঢাকা/এমআর/রফিক
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স আইড ম মল তদন ত স আইড সরক র সদস য
এছাড়াও পড়ুন:
হাদিকে গুলিবর্ষণের নিন্দা, সব প্রার্থীর নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবি মির্জা ফখরুলের
ঢাকায় সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরীফ ওসমান হাদির ওপর গুলিবর্ষণের ঘটনায় উদ্বেগ জানিয়ে আসন্ন নির্বাচনে সব প্রার্থীর নিরাপত্তা নিশ্চিতের জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি দাবি জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
আজ শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর বিজয়নগরে ওসমান হাদিকে গুলি করার পর বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবে এক আলোচনা সভায় বক্তব্যে এ আহ্বান জানান মির্জা ফখরুল। বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘অবিলম্বে প্রকৃত দোষীকে খুঁজে বের করে নিয়ে আইনের আওতায় আনার জন্য দাবি জানাচ্ছি এবং এই সরকারকে আহ্বান জানাচ্ছি, অবিলম্বে সব প্রার্থীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করুন।’
জুলাই অভ্যুত্থানের পর গড়ে ওঠা আলোচিত সাংস্কৃতিক সংগঠন ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র হাদি ঢাকা-৮ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে প্রচার চালাচ্ছেন। আজ দুপুরে বিজয়নগরে একটি মোটরসাইকেলে আসা দুই ব্যক্তি তাঁকে গুলি করে পালিয়ে যায়। হাদি এখন ঢাকা মেডিকেল কলেজে ‘লাইফ সাপোর্টে’ রয়েছেন।
আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি ভোট গ্রহণের দিন রেখে ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন এবং গণভোটের তফসিল ঘোষণার পরদিনই এই হামলাকে নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র মনে করছেন বিএনপির নেতারা।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমি একটা অশনিসংকেত দেখতে পাচ্ছি যে নির্বাচনকে বানচাল করার জন্য সেই শক্তি আবার চক্রান্ত শুরু করেছে। কিছুদিন আগে দেখেছেন, চট্টগ্রামে আমাদের একজন ক্যান্ডিডেটকে গুলি করেছিল।’
নির্বাচনকে সম্পূর্ণভাবে সন্ত্রাসমুক্ত করতে পদক্ষেপ নিতে সরকারকে আহ্বান জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরা মনে করি যে এটা চক্রান্তের অংশ। এটাকে এখনই বন্ধ করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি।’
সম্ভাব্য প্রার্থী হাদির ওপর হামলার প্রতিবাদে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান আগামীকাল শনিবার সারা দেশে বিক্ষোভের ডাক দিয়েছেন বলেও জানান মির্জা ফখরুল।
আমি একটা অশনিসংকেত দেখতে পাচ্ছি যে নির্বাচনকে বানচাল করার জন্য সেই শক্তি আবার চক্রান্ত শুরু করেছে। কিছুদিন আগে দেখেছেন, চট্টগ্রামে আমাদের একজন ক্যান্ডিডেটকে গুলি করেছিল। —মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, মহাসচিব, বিএনপিনির্বাচনের পর একটি জাতীয় সরকার গঠনের কথা জানিয়ে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘আমাদের কমিটমেন্ট আছে যে এই নির্বাচন এবং নির্বাচনের পরে আমরা সকল দলকে নিয়ে একটা জাতীয় সরকার গঠন করব, সে ব্যাপারে আমাদের কমিটমেন্ট শক্তিশালী রয়েছে। আমরা বিশ্বাস করি বাংলাদেশের মানুষ গণতন্ত্রের পক্ষের শক্তিকেই রায় দেবেন। এখানে আমরা মনে করি উগ্রতার স্থান থাকবে না।’
মাওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর ১৪৫তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ভাসানী জনশক্তি পার্টি আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন বিএনপির মহাসচিব।
মির্জা ফখরুল মাওলানা ভাসানীকে স্মরণ করে বলেন, ‘মাওলানা ভাসানীর নাম বাদ দিয়ে বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাস লেখা সম্ভব নয়। তিনি ছিলেন সাধারণ মানুষের নেতা—এক অনন্য রাজনৈতিক চরিত্র। ধর্ম ও সমাজতন্ত্রের মধ্যে তিনি কোনো বিভেদ দেখেননি। বৈষম্যহীন সমাজ প্রতিষ্ঠাই ছিল তাঁর রাজনৈতিক দর্শনের কেন্দ্র।’
আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন ভাসানী জনশক্তি পার্টির চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম বাবলু। বক্তব্য দেন দলটির মহাসচিব আবু ইউসুফ সেলিমসহ অন্য নেতারা।
আরও পড়ুনওসমান হাদি ‘লাইফ সাপোর্টে’: ঢাকা মেডিকেলের পরিচালকের দপ্তর২ ঘণ্টা আগেআরও পড়ুনদেশ অত্যন্ত সংকটের ভেতর দিয়ে যাচ্ছে: তারেক রহমান১০ মিনিট আগে