কুমারখালীতে ডিসির সভায় এনসিপি নেতাকে কটূক্তির অভিযোগ বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে
Published: 27th, October 2025 GMT
কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে এক বিএনপি নেতা উপজেলা জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) যুগ্ম সমন্বয়কারী জুলাই যোদ্ধা আসাদুজ্জামান আলী খানকে ‘চাঁদাবাজসহ বিভিন্ন ধরনের কটূক্তি’ করেছেন বলে অভিযোগ করেছে এনসিপি। সোমবার রাতে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এনসিপির উপজেলা শাখার প্রধান সমন্বয়কারী হেলাল উদ্দিন ও জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সমন্বয়কারী আবুল হাসিম এর প্রতিবাদ জানিয়েছেন। তাঁরা জেলা প্রশাসকের সঙ্গে সুশীলদের মতবিনিময় সভায় দেওয়া বিএনপি নেতার বক্তব্য প্রত্যহারের দাবিও জানান।
তবে উপজেলা এনসিপির এমন অভিযোগ অস্বীকার করেছেন উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক লুৎফর রহমান। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমি কারও নাম নিয়ে বক্তব্য দিইনি। বলেছি, ৫ আগস্টের পর সমন্বয়ক পরিচয়ে অনেকেই চাঁদাবাজি, মামলা–বাণিজ্যসহ নানা অপকর্ম করেছে। আমরা বারবার প্রশাসনকে জানিয়েও ফল হয়নি। এসবের বিরুদ্ধে আমরা সংবাদ সম্মেলনও করেছিলাম। এনসিপির নেতারা বিষয়টি ভুলভাবে নিচ্ছেন।’
আসাদুজ্জামান আলী উপজেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দলনের সাবেক সদস্যসচিব। এনসিপির সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সোমবার বেলা সাড়ে ১১টায় উপজেলা পরিষদের সভাকক্ষে নবাগত জেলা প্রশাসক আবু হাসনাত মোহাম্মদ আরেফীনের সঙ্গে বিভিন্ন শ্রেণি–পেশার মানুষের মতবিনিময় সভার আয়োজন করে উপজেলা প্রশাসন। সভায় এক বক্তব্যে উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক লুৎফর রহমান জুলাই যোদ্ধা আসাদুজ্জামান আলী খানকে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন চাঁদাবাজির অভিযোগসহ বিভিন্ন ধরনের কটূক্তি করেন, যা সম্পূর্ণ মনগড়া, অজানা মিথ্যা ও ভিত্তিহীন এবং রাজনৈতিক শিষ্ঠাচারবহির্ভূত বক্তব্য। আসাদুজ্জামান আলী খানের জন্য মানহানিকর এবং এনসিপির জন্য অসম্মানজনক।
এনসিপির কুমারখালী উপজেলা শাখার পক্ষ থেকে বক্তব্যের জন্য তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয় বিজ্ঞপ্তিতে। ভবিষ্যতে এ ধরনের মিথ্যা প্রোপাগান্ডা থেকে বিএনপি নেতাকে বিরত থাকার জন্য ও দেওয়া বক্তব্য প্রত্যহারের দাবি জানায় উপজেলা এনসিপি।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: সমন বয়ক এনস প র র জন য ব এনপ উপজ ল
এছাড়াও পড়ুন:
বর্ণিল আয়োজনে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উদ্যাপন
‘ঐক্যবদ্ধ জবিয়ান, স্বপ্ন জয়ে অটল প্রাণ’ স্লোগান নিয়ে সোমবার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদ্যাপন করা হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে ক্যাম্পাসে র্যালি, চারুকলা ও আলোকচিত্র প্রদর্শনী, আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়। সোমবার সকালে শহীদ মিনার চত্বরে জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে জাতীয় পতাকা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে দিনের কর্মসূচি শুরু হয়। উপাচার্য মো. রেজাউল করিম বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে দিবসের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন ঘোষণা করেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর উপাচার্যের নেতৃত্বে একটি শোভাযাত্রা ক্যাম্পাস থেকে শুরু হয়ে রায়সাহেব বাজার মোড় ও ভিক্টোরিয়া পার্ক ঘুরে আবার ক্যাম্পাসে ফিরে আসে। এরপর শহীদ সাজিদ একাডেমিক ভবনে চারুকলা অনুষদের আয়োজনে ‘বার্ষিক শিল্পকর্ম ২০২৫’ শীর্ষক একটি চারুকলা ও আলোকচিত্র প্রদর্শনী হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান অনুষদ প্রাঙ্গণে আয়োজিত আলোচনা সভায় উপাচার্য মো. রেজাউল করিম বলেন, ‘২০০৫ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। তাঁর সেই পদক্ষেপের ফলেই আজ আমরা এখানে শিক্ষা ও গবেষণা কার্যক্রম চালিয়ে যেতে পারছি। গত এক বছরে আমাদের অর্জন সম্পর্কে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরাই সবচেয়ে ভালো জানেন। আমরা যখন দায়িত্ব নিই, তখন শিক্ষার্থীসংশ্লিষ্ট বাজেট ছিল খুবই সীমিত। এখন আমরা সেই বাজেট উল্লেখযোগ্য হারে বাড়াতে পেরেছি।’
উপাচার্য আরও বলেন, ‘ভবিষ্যতে আমরা একাডেমিক মানোন্নয়ন ও অগ্রগতি অব্যাহত রাখতে কাজ করে যাব। নিয়মিত ক্লাস মনিটরিং–ব্যবস্থা চালু থাকবে ও ফলাফল প্রকাশে যেন কোনো বিলম্ব না হয়, সে জন্য প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি শিক্ষকদের গবেষণায় শিক্ষার্থীদের গবেষণা সহকারী হিসেবে যুক্ত করা হচ্ছে, যাতে তারা হাতে-কলমে গবেষণার অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারে।’
‘ঐক্যবদ্ধ জবিয়ান, স্বপ্ন জয়ে অটল প্রাণ’ স্লোগান নিয়ে সোমবার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদ্যাপন করা হয়