বিক্রি বেড়েছে টয়োটার ‘করোলা ক্রস’ গাড়ির, কেন এত আগ্রহ
Published: 28th, October 2025 GMT
দেশের রাস্তায় যেসব গাড়ি চলে তার অধিকাংশ গাড়ি ‘টয়োটা’ ব্র্যান্ডের। জাপানি এই গাড়ি নির্মাতা ব্র্যান্ডের গাড়ির যন্ত্রাংশ ও রক্ষণাবেক্ষণ খরচ কম। তাই চাহিদা বেশি। তবে রাস্তায় টয়োটার এসইউভি ধরনের গাড়ি ‘করোলা ক্রস’ মডেলের দেখা মিলছে। হাইব্রিড ইঞ্জিন হওয়ায় এই গাড়ির জ্বালানি খরচ কম। তাই বিক্রি ভালো এই মডেলের গাড়ির।
গাড়ি ব্যবসায়ীরা বলছেন, দেশে টয়োটা ব্র্যান্ডের ‘এলিয়ন’ ও ‘প্রিমিও’ মডেলের সেডান গাড়ির প্রতি সবার বেশ ঝোঁক। জাপানে ২০২১ সালের পর এই দুই মডেলের গাড়ির উৎপাদন বন্ধ রয়েছে। তাই চাহিদা থাকলেও আমদানি কমেছে এসব গাড়ির। বর্তমান গাড়ির বাজারে একটি প্রিমিও গাড়ি কিনতে খরচ করতে হচ্ছে ৪৫-৪৮ লাখ টাকা। সেখানে এর চেয়ে কমে মিলছে করোলা ক্রস মডেলের এসইউভি গাড়ি। এসইউভি গাড়ি জিপের মতো।
জ্বালানি খরচ কমটয়োটার ব্র্যান্ডের করোলা ক্রস গাড়ির ক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, জিপ তথা এসইউভি ধরনের গাড়ি ব্যবহার করা অনেকের ইচ্ছা ও শখ। এসইউভি গাড়ির দাম অন্যান্য গাড়ির তুলনায় বেশি হয়। তাই অনেকের এ ধরনের গাড়ি কেনার সামর্থ্য কম। তবে করলা ক্রস গাড়ির দাম তুলনামূলক কম ও নির্ভরযোগ্য হওয়ায় এই গাড়ির চাহিদা বাড়ছে। ‘ক্রস’ গাড়ি চালান এমন কয়েকজন প্রথম আলোকে জানান, মহাসড়কে এই গাড়ি প্রতি লিটার জ্বালানিতে কমবেশি প্রায় ২৫ কিলোমিটার চলতে পারে। শহরের ভেতরে চলে প্রায় ১৭ কিলোমিটার।
রাজধানীর মিরপুরের বাসিন্দা আইনজীবী সোহেল রানা। চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে ৪৪ লাখ টাকা খরচে টয়োটা করোলা ক্রস গাড়ি কেনেন। আগে ব্যবহার করতেন টয়োটার এক্স করোলা মডেলের গাড়ি। সোহেল রানা প্রথম আলোকে বলেন, ‘এই গাড়িতে ৩৬ লিটারের ফুয়েল ট্যাংক রয়েছে। পুরো ট্যাংক ভর্তি করলে এক হাজার কিলোমিটার চালানো যায়। এই গাড়ির ভেতরে জায়গা তুলনামূলক বেশি। ঢাকার বাইরে ভ্রমণে এই গাড়ি আরামদায়ক। এ ছাড়া ইঞ্জিন অয়েল পরিবর্তন করে একবার সার্ভিস করালে প্রায় সাত হাজার কিলোমিটার পর্যন্ত চালানো যায়।’
বারভিডার সহসভাপতি ও ট্রাস্ট অটোর স্বত্বাধিকারী সাইফুল ইসলাম বলেন, এসইউভি গাড়ির মধ্যে এই গাড়ির দাম কম। দূরে পরিবার নিয়ে ভ্রমণেও এই গাড়ির চাহিদা বেশি। শহরে এই গাড়ির মাইলেজ ১৫ কিলোমিটারের বেশি। তাই খরচ সহনশীল হওয়ায় অনেকেই এই গাড়ি পছন্দ করছেন।
রাজধানীর বারিধারার প্রগতি সরণি এলাকায় রিকন্ডিশন্ড গাড়ি বিক্রি করে ‘স্কাই ট্রি’। প্রতিষ্ঠানটির তথ্য বলছে, ২০২৩ সালে এই বিক্রয়কেন্দ্র থেকে টয়োটা ব্র্যান্ডের ৮০টি করোলা ক্রস গাড়ি বিক্রি হয়েছিল। ২০২৪ সালে এই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছিল ১০০টি। চলতি বছরে অক্টোবর মাস পর্যন্ত বিক্রি হয়েছে ১১০টি। এখন বিক্রির জন্য আরও ৩৪টি গাড়ি রয়েছে।
স্কাই ট্রি প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী মশিউর রহমান বলেন, আগামী এক মাসের মধ্যে এই গাড়িগুলোও বিক্রি হয়ে যাবে। এর কারণ, এই গাড়ির চাহিদা দিন দিন বাড়ছে। এই গাড়ির জ্বালানি খরচ প্রিমিও গাড়ি থেকে ৫০ শতাংশ কম।
এই খাতসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, এ ধরনের গাড়ির মূল ক্রেতা হচ্ছেন বিভিন্ন করপোরেট প্রতিষ্ঠানে চাকরিজীবী। এ ছাড়া ছোট–বড় ব্যবসায়ী ও ব্যাংক কর্মকর্তাদের কাছে এই গাড়ির চাহিদা বেশি।
এ ছাড়া রাজধানীর বিভিন্ন ব্র্যান্ডের রিকন্ডিশন্ড গাড়ি বিক্রি প্রতিষ্ঠানের মালিকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তাঁদের মোট গাড়ি বিক্রির ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ বিক্রি হচ্ছে টয়োটা করোলা ক্রস গাড়িটি।
কী আছে করলা ক্রসেসেডান, হ্যাচব্যাক ও ওয়াগন—এত দিন এই তিন ধরনের টয়োটা করোলা সিরিজের গাড়ি পাওয়া যেত। তবে ক্রেতাদের পছন্দ ও চাহিদা বিবেচনায় ২০২০ সালে টয়োটা করোলা সিরিজে যোগ হয় করলা ক্রস।
বাংলাদেশে এখন এই গাড়ির দুটি সংস্করণ পাওয়া যায়। একটি জাপানি ও অন্যটি থাইল্যান্ড। জাপানি সংস্করণটি পাওয়া যায় রিকন্ডিশন্ড গাড়ির বিক্রয়কেন্দ্রে। থাইল্যান্ডের সংস্করণ পাওয়া যায় টয়োটা বাংলাদেশের আনুষ্ঠানিক বিক্রয়কেন্দ্রে। এই গাড়ির ভেতরে রয়েছে করোলার পরিচিত ড্যাশবোর্ড ও ইনফোটেইনমেন্ট সিস্টেম। আট ইঞ্চি টাচস্ক্রিন ইনফোটেইনমেন্ট সিস্টেমে অ্যাপল কারপ্লে রয়েছে।
এই গাড়ির বুট স্পেস বা পেছনে সব মিলিয়ে ৪৮৭ লিটার জায়গা রয়েছে। পেছনের সিট ভাঁজ করলে জায়গা আরও বাড়ানো যায়। এতে ব্যবহার করা হয়েছে ১ দশমিক ৮ লিটারের হাইব্রিড ইঞ্জিন। যার ফলে এই গাড়ি জ্বালানি–সাশ্রয়ী। এর সঙ্গে রয়েছে কনটিনিউয়াসলি ভ্যারিয়েবল ট্রান্সমিশন (সিভিটি) গিয়ারের ব্যবস্থা। গাড়িটি ফ্রন্ট হুইল ড্রাইভ (এফডব্লিউডি) ও অল হুইল ড্রাইভ (এডব্লিউডি) এ দুই সংস্করণে পাওয়া যায়। দেশে প্রকারভেদে ৪০ থেকে ৬০ লাখ টাকার মধ্যে করোলা ক্রস গাড়ি কেনা যায়।
বিক্রি বেড়েছে এসইউভি গাড়িররিকন্ডিশন্ড গাড়ি ব্যবসায়ীদের সংগঠন বাংলাদেশ রিকন্ডিশন্ড ভেহিকলস ইমপোর্টার্স অ্যান্ড ডিলারস অ্যাসোসিয়েশনের (বারভিডা) তথ্যমতে, ২০১৯-২০ অর্থবছরে দেশে রিকন্ডিশন্ড গাড়ি আমদানি হয়েছে ১ হাজার ২০৯টি, যা ২০২৪-২৫ অর্থবছরে হয়েছে ৫ হাজার ৩৯২টি।
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) তথ্যমতে, ২০২০ সালে দেশে এসইউভি ধরনের গাড়ি নিবন্ধিত হয়েছে ৪ হাজার ৮৮৮টি। ২০২৪ সালে সেই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮ হাজার ৬৪৮টি। অর্থাৎ পাঁচ বছরের ব্যবধানে এসইউভি নিবন্ধন বেড়েছে প্রায় ৭৭ শতাংশ। ২০২২ সালে এই সংখ্যা ছিল ১০ হাজারের বেশি। ২০২৫ সালের অক্টোবর পর্যন্ত নিবন্ধন হয়েছে আট হাজারের বেশি এসইউভি। ২০২০ সাল থেকে চলতি বছরের অক্টোবর পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি ২৩ হাজার এসইউভি গাড়ি নিবন্ধন হয়েছে টয়োটা ব্র্যান্ডের। এরপর প্রায় ছয় হাজার এসইউভি গাড়ি নিবন্ধন হয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে নিশান ব্র্যান্ড।
এইচএনএস অটোমোবাইলের প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘দেশে এখন গাড়ি বিক্রির সামগ্রিক চিত্র খুব ভালো না হলেও এসইউভি ধরনের গাড়ির বিক্রি তুলনামূলক ভালো। তবে দেশি ও বিদেশি সব এসইউভির মধ্যে সবচেয়ে বেশি বিক্রি হচ্ছে টয়োটার করোলা ক্রস।’
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: এই গ ড় র চ হ দ ধরন র গ ড় র এসইউভ ক রস গ ড় ন বন ধ ব যবস
এছাড়াও পড়ুন:
বিক্রি বেড়েছে টয়োটার ‘করোলা ক্রস’ গাড়ির, কেন এত আগ্রহ
দেশের রাস্তায় যেসব গাড়ি চলে তার অধিকাংশ গাড়ি ‘টয়োটা’ ব্র্যান্ডের। জাপানি এই গাড়ি নির্মাতা ব্র্যান্ডের গাড়ির যন্ত্রাংশ ও রক্ষণাবেক্ষণ খরচ কম। তাই চাহিদা বেশি। তবে রাস্তায় টয়োটার এসইউভি ধরনের গাড়ি ‘করোলা ক্রস’ মডেলের দেখা মিলছে। হাইব্রিড ইঞ্জিন হওয়ায় এই গাড়ির জ্বালানি খরচ কম। তাই বিক্রি ভালো এই মডেলের গাড়ির।
গাড়ি ব্যবসায়ীরা বলছেন, দেশে টয়োটা ব্র্যান্ডের ‘এলিয়ন’ ও ‘প্রিমিও’ মডেলের সেডান গাড়ির প্রতি সবার বেশ ঝোঁক। জাপানে ২০২১ সালের পর এই দুই মডেলের গাড়ির উৎপাদন বন্ধ রয়েছে। তাই চাহিদা থাকলেও আমদানি কমেছে এসব গাড়ির। বর্তমান গাড়ির বাজারে একটি প্রিমিও গাড়ি কিনতে খরচ করতে হচ্ছে ৪৫-৪৮ লাখ টাকা। সেখানে এর চেয়ে কমে মিলছে করোলা ক্রস মডেলের এসইউভি গাড়ি। এসইউভি গাড়ি জিপের মতো।
জ্বালানি খরচ কমটয়োটার ব্র্যান্ডের করোলা ক্রস গাড়ির ক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, জিপ তথা এসইউভি ধরনের গাড়ি ব্যবহার করা অনেকের ইচ্ছা ও শখ। এসইউভি গাড়ির দাম অন্যান্য গাড়ির তুলনায় বেশি হয়। তাই অনেকের এ ধরনের গাড়ি কেনার সামর্থ্য কম। তবে করলা ক্রস গাড়ির দাম তুলনামূলক কম ও নির্ভরযোগ্য হওয়ায় এই গাড়ির চাহিদা বাড়ছে। ‘ক্রস’ গাড়ি চালান এমন কয়েকজন প্রথম আলোকে জানান, মহাসড়কে এই গাড়ি প্রতি লিটার জ্বালানিতে কমবেশি প্রায় ২৫ কিলোমিটার চলতে পারে। শহরের ভেতরে চলে প্রায় ১৭ কিলোমিটার।
রাজধানীর মিরপুরের বাসিন্দা আইনজীবী সোহেল রানা। চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে ৪৪ লাখ টাকা খরচে টয়োটা করোলা ক্রস গাড়ি কেনেন। আগে ব্যবহার করতেন টয়োটার এক্স করোলা মডেলের গাড়ি। সোহেল রানা প্রথম আলোকে বলেন, ‘এই গাড়িতে ৩৬ লিটারের ফুয়েল ট্যাংক রয়েছে। পুরো ট্যাংক ভর্তি করলে এক হাজার কিলোমিটার চালানো যায়। এই গাড়ির ভেতরে জায়গা তুলনামূলক বেশি। ঢাকার বাইরে ভ্রমণে এই গাড়ি আরামদায়ক। এ ছাড়া ইঞ্জিন অয়েল পরিবর্তন করে একবার সার্ভিস করালে প্রায় সাত হাজার কিলোমিটার পর্যন্ত চালানো যায়।’
বারভিডার সহসভাপতি ও ট্রাস্ট অটোর স্বত্বাধিকারী সাইফুল ইসলাম বলেন, এসইউভি গাড়ির মধ্যে এই গাড়ির দাম কম। দূরে পরিবার নিয়ে ভ্রমণেও এই গাড়ির চাহিদা বেশি। শহরে এই গাড়ির মাইলেজ ১৫ কিলোমিটারের বেশি। তাই খরচ সহনশীল হওয়ায় অনেকেই এই গাড়ি পছন্দ করছেন।
রাজধানীর বারিধারার প্রগতি সরণি এলাকায় রিকন্ডিশন্ড গাড়ি বিক্রি করে ‘স্কাই ট্রি’। প্রতিষ্ঠানটির তথ্য বলছে, ২০২৩ সালে এই বিক্রয়কেন্দ্র থেকে টয়োটা ব্র্যান্ডের ৮০টি করোলা ক্রস গাড়ি বিক্রি হয়েছিল। ২০২৪ সালে এই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছিল ১০০টি। চলতি বছরে অক্টোবর মাস পর্যন্ত বিক্রি হয়েছে ১১০টি। এখন বিক্রির জন্য আরও ৩৪টি গাড়ি রয়েছে।
স্কাই ট্রি প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী মশিউর রহমান বলেন, আগামী এক মাসের মধ্যে এই গাড়িগুলোও বিক্রি হয়ে যাবে। এর কারণ, এই গাড়ির চাহিদা দিন দিন বাড়ছে। এই গাড়ির জ্বালানি খরচ প্রিমিও গাড়ি থেকে ৫০ শতাংশ কম।
এই খাতসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, এ ধরনের গাড়ির মূল ক্রেতা হচ্ছেন বিভিন্ন করপোরেট প্রতিষ্ঠানে চাকরিজীবী। এ ছাড়া ছোট–বড় ব্যবসায়ী ও ব্যাংক কর্মকর্তাদের কাছে এই গাড়ির চাহিদা বেশি।
এ ছাড়া রাজধানীর বিভিন্ন ব্র্যান্ডের রিকন্ডিশন্ড গাড়ি বিক্রি প্রতিষ্ঠানের মালিকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তাঁদের মোট গাড়ি বিক্রির ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ বিক্রি হচ্ছে টয়োটা করোলা ক্রস গাড়িটি।
কী আছে করলা ক্রসেসেডান, হ্যাচব্যাক ও ওয়াগন—এত দিন এই তিন ধরনের টয়োটা করোলা সিরিজের গাড়ি পাওয়া যেত। তবে ক্রেতাদের পছন্দ ও চাহিদা বিবেচনায় ২০২০ সালে টয়োটা করোলা সিরিজে যোগ হয় করলা ক্রস।
বাংলাদেশে এখন এই গাড়ির দুটি সংস্করণ পাওয়া যায়। একটি জাপানি ও অন্যটি থাইল্যান্ড। জাপানি সংস্করণটি পাওয়া যায় রিকন্ডিশন্ড গাড়ির বিক্রয়কেন্দ্রে। থাইল্যান্ডের সংস্করণ পাওয়া যায় টয়োটা বাংলাদেশের আনুষ্ঠানিক বিক্রয়কেন্দ্রে। এই গাড়ির ভেতরে রয়েছে করোলার পরিচিত ড্যাশবোর্ড ও ইনফোটেইনমেন্ট সিস্টেম। আট ইঞ্চি টাচস্ক্রিন ইনফোটেইনমেন্ট সিস্টেমে অ্যাপল কারপ্লে রয়েছে।
এই গাড়ির বুট স্পেস বা পেছনে সব মিলিয়ে ৪৮৭ লিটার জায়গা রয়েছে। পেছনের সিট ভাঁজ করলে জায়গা আরও বাড়ানো যায়। এতে ব্যবহার করা হয়েছে ১ দশমিক ৮ লিটারের হাইব্রিড ইঞ্জিন। যার ফলে এই গাড়ি জ্বালানি–সাশ্রয়ী। এর সঙ্গে রয়েছে কনটিনিউয়াসলি ভ্যারিয়েবল ট্রান্সমিশন (সিভিটি) গিয়ারের ব্যবস্থা। গাড়িটি ফ্রন্ট হুইল ড্রাইভ (এফডব্লিউডি) ও অল হুইল ড্রাইভ (এডব্লিউডি) এ দুই সংস্করণে পাওয়া যায়। দেশে প্রকারভেদে ৪০ থেকে ৬০ লাখ টাকার মধ্যে করোলা ক্রস গাড়ি কেনা যায়।
বিক্রি বেড়েছে এসইউভি গাড়িররিকন্ডিশন্ড গাড়ি ব্যবসায়ীদের সংগঠন বাংলাদেশ রিকন্ডিশন্ড ভেহিকলস ইমপোর্টার্স অ্যান্ড ডিলারস অ্যাসোসিয়েশনের (বারভিডা) তথ্যমতে, ২০১৯-২০ অর্থবছরে দেশে রিকন্ডিশন্ড গাড়ি আমদানি হয়েছে ১ হাজার ২০৯টি, যা ২০২৪-২৫ অর্থবছরে হয়েছে ৫ হাজার ৩৯২টি।
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) তথ্যমতে, ২০২০ সালে দেশে এসইউভি ধরনের গাড়ি নিবন্ধিত হয়েছে ৪ হাজার ৮৮৮টি। ২০২৪ সালে সেই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮ হাজার ৬৪৮টি। অর্থাৎ পাঁচ বছরের ব্যবধানে এসইউভি নিবন্ধন বেড়েছে প্রায় ৭৭ শতাংশ। ২০২২ সালে এই সংখ্যা ছিল ১০ হাজারের বেশি। ২০২৫ সালের অক্টোবর পর্যন্ত নিবন্ধন হয়েছে আট হাজারের বেশি এসইউভি। ২০২০ সাল থেকে চলতি বছরের অক্টোবর পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি ২৩ হাজার এসইউভি গাড়ি নিবন্ধন হয়েছে টয়োটা ব্র্যান্ডের। এরপর প্রায় ছয় হাজার এসইউভি গাড়ি নিবন্ধন হয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে নিশান ব্র্যান্ড।
এইচএনএস অটোমোবাইলের প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘দেশে এখন গাড়ি বিক্রির সামগ্রিক চিত্র খুব ভালো না হলেও এসইউভি ধরনের গাড়ির বিক্রি তুলনামূলক ভালো। তবে দেশি ও বিদেশি সব এসইউভির মধ্যে সবচেয়ে বেশি বিক্রি হচ্ছে টয়োটার করোলা ক্রস।’