জুলাই–সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে ৪ হাজার কোটি টাকা আয় করেছে গ্রামীণফোন
Published: 28th, October 2025 GMT
সার্বিক অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও ২০২৫ সালের তৃতীয় প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) মোট ৪ হাজার ১০ কোটি টাকা আয় করেছে গ্রামীণফোন লিমিটেড। যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ১ দশমিক ৪ শতাংশ বেশি।
এই প্রান্তিক শেষে গ্রামীণফোনের মোট গ্রাহকসংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮ কোটি ৫৬ লাখ। বর্তমানে মোট গ্রাহকের প্রায় ৬০ শতাংশ অর্থাৎ ৫ কোটি ১২ লাখ গ্রাহক ইন্টারনেট ব্যবহার করছেন।
গতকাল গ্রামীণফোনের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা বলা হয়েছে।
গ্রামীণফোন লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ইয়াসির আজমান বলেন, ‘বছরের শুরুতে দৃঢ় অঙ্গীকার ছিল—আমরা দায়িত্বশীলভাবে প্রবৃদ্ধি অর্জন করব এবং খরচের দক্ষতা বজায় রাখব। আমরা সেই প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেছি। আর্থিক শৃঙ্খলা বজায় রেখেও আমরা যে প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে পারি, এটি তারই প্রতিফলন।’
তিনি আরও বলেন, ‘জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে বাংলাদেশের অর্থনীতি সাময়িকভাবে গতি পেতে পারে, কারণ বাজারের সামগ্রিক কার্যক্রমে ঊর্ধ্বগতি লক্ষ করা যাচ্ছে। তাই নতুন গ্রাহক অর্জনের প্রত্যাশা রয়েছে। প্রতি প্রান্তিকে আমরা প্রযুক্তি, পণ্যের অফার, ডিজিটাল অপারেশন এবং গ্রাহক সম্পৃক্ততায় নতুনত্ব আনছি, যাতে দ্রুত পরিবর্তনশীল বাজারে প্রাসঙ্গিক ও অগ্রণী থাকতে পারি।’
গ্রামীণফোনের চিফ ফাইন্যান্সিয়াল অফিসার (সিএফও) অটো মাগনে রিসব্যাক বলেন, সামগ্রিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি এখনো স্থবির এবং বাজারজুড়ে প্রবৃদ্ধি প্রত্যাশার তুলনায় ধীর। টানা চার প্রান্তিকের পতনের পর এবার গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ১ দশমিক ৪ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। তিনি বলেন, একটি বাস্তবসম্মত ও ভবিষ্যৎ-উপযোগী অপারেটিং প্ল্যাটফর্ম তৈরি করা উচিত। যে প্ল্যাটফর্মের ভিত্তি হবে ক্লাউড-নেটিভ ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই)। এগুলো দীর্ঘমেয়াদি উদ্যোগ এবং স্বল্প মেয়াদে প্রভাব সীমিত হলেও প্রবৃদ্ধিতে পুনরায় গতি পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে কাঠামোগত সুবিধা দৃশ্যমান হয়ে উঠবে।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
বন্দরে সুরুজ বাহিনীর বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন
বন্দর মদনপুর একতা সমবায় সুপার মার্কেট মালিক বহুমুখী সমবায় সমিতি লিঃ ২০০০ ইং হইতে অদ্যাবধি পর্যন্ত মার্কেট পরিচালনার অব্যবস্থা নিয়ে সুরুজ বাহিনীর বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছে ক্ষতিগ্রস্ত দোকান মালিক ব্যবসায়ীরা।
এছাড়াও বন্দর উপজেলা বিএনপির সভাপতি মাজহারুল ইসলাম ভূঁইয়া হিরণের বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার ও ব্যবসায়ীদের মিথ্যা মামলা দিয়ে সুরুজ বাহিনী হয়রানির অভিযোগ করেছেন তাঁরা।
মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) দুপুরে মদনপুর একতা সুপার মার্কেটের ২৭ বৎসরের অবৈধ সভাপতি, হত্যা মামলার আসামী, ওসমান পরিবারের এমপি সেলিম ওসমানের আশির্বাদপুষ্ট অগ্রণী ব্যাংক ঋণ খেলাপী, দুই ডজন মামলার আসামী, ভূমি দস্যু ও মার্কেটের ২৪টি দোকান ভাড়া জোড় পূর্বক আদায় করা ক্যাডার সুরুজ মিয়ার বিরুদ্ধে এই অভিযোগ করে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ব্যবসায়ী হীরা লাল ।
দোকান মালিকদের অভিযোগ, একতা সমবায় সুপার মার্কেট মালিক বহুমুখী সমবায় সমিতি লিমিটেড প্রতিষ্ঠা হয় ১৯৯৭ সনে। পরবর্তীতে ১৬/১১/২০০০ ইং সনে রেজিস্ট্রেশন হয় যাহার রেজিঃ নং ৩৩৬। মার্কেট সদস্য সংখ্যা ১০১ জনে মিলে ১১৪ শতাংশ জমি কিনে মার্কেট নির্মাণ কাজ শুরু করে মার্কেট প্রতিষ্ঠিত করেন।
শুরু হইতে সভাপতি ছিলেন সুরুজ মিয়া। কিছু দিন যাওয়ার পর সে তাহার স্বৈরাচারী মনোভাবে মার্কেট পরিচালনা করিতে থাকাবস্থায় কোন সদস্যকে গুরুত্ব না দিয়ে একাধারে ২০২৪ইং পর্যন্ত সভাপতির চেয়ার দখল করে আছেন।
ইতিমধ্যে সুরুজ যখন দেখে সে আর সভাপতি থাকতে পারবেনা এবং জেলা সমবায় অফিসার তাকে অবৈধ ঘোষণা করিলে উক্ত আদেশের বিরুদ্ধে সুরুজ মিয়া মহামান্য হাইকোর্টে রিট পিটিশন নং ৭৯০৫/২২ দায়ের করে।
পরবর্তীতে ১৮/২/২০২৪ ইং উক্ত রীট খারিজ হইলে এর পূর্বেই ১৯/১/২৪ ইং সুরুজ মিয়া বিনা নির্বাচনে বেআইনীভাবে তার ছেলে নাসির উদ্দিন হিরাকে সভাপতি বানাইয়া তাহার কু-কর্ম বহাল রাখে।
গত ২৫ অক্টোবর সুরুজ মিয়ার অনুগত দোসরা প্রতিবাদী বিএনপি নেতা হিরন মিয়াকে জড়াইয়া একটি ভূয়া সংবাদ সম্মেলন করে। উক্ত সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দিয়াছে তাহার সুরুজ মিয়ার নির্দেশে করা মামলার আসামী।
তাহারা সুরুজ মিয়ার কথা মত তাহার ভয়ে মার্কেটের নিজ দোকানের ভাড়া না পাওয়া সত্ত্বেও ভাড়া পায় বলে সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেয় যাহা সম্পূর্ণ মিথ্যা। তারা বর্তমানের মাসের ভাড়া পায় কিন্তু পূর্বের কয়েক বছরের ভাড়া পায় নাই। অদ্য ২৮/১০/২৫ ইং তারিখ সকাল ১১.০০ ঘটিকার সময় সংবাদ সম্মেেেলন দেওয়া বক্তব্য প্রকৃত সত্য বক্তব্য দেওয়া হয়।
ইতিমধ্যে সুরুজ মিয়া তাহার অনুগত লোকদের দিয়ে নিরীহ দোকান মালিকদের নামে মামলা দিয়াছে। মামলা নং (১) ঈজ ৫৬৬/২৩ বাদী কাবিল আসামী হিরা লাল (২) ঈজ ৪৮৯/২৩ বাদী বাবুল শেখ আসামী আরিফ সরকার (৩) ঈজ ২১৮/২৩ বাদী নজরুল ইসলাম আসামী হাপেজ মোঃ ইছহাক কবির গং (৪) ঈজ ৫০৭/২৩ বাদী সুজন মিয়া আসামী আলাউদ্দিন (৫) ৫/২৫ বাদী হারুন আসামী রফিকুল ইসলাম ভূইয়া গং (৬) বন্দর থানার মামলা নং ১১ (৮)২৫ বাদী কাবিল আসামী আমিনুল হক গং (৭) দেঃ নং ১২৭/২৩ বাদী সুরুজ মিয়া আসামী রফিকুল ইসলাম ভূইয়া গং (৮) ঈজ ৫৬৬/২৩ বাদী বাবুল আসামী আমিনুল হক গং (৯) পি ৫৫/২৪ বাদী বাবুল শেখ আসামী সহিদুল গং (১০) পি ২৫২/২৩ বাদী নাজমুল হাসান আসামী রফিকুল ইসলাম ভূইয়া গং ১৩ জন, (১১)১১/৪/২৫ বাদী সবুজ মিয়া আসামী আমিনুল হক গং, (১২) ঈজ ১৩/৯/২২ বাদী সবুজ মিয়া আসামী আমিনুল হক গং।
নিম্নে সুরুজ মিয়া ও তাহার বাহিনীর অপকর্মের বিভিন্ন অপরাধের ফিরিস্তি দেওয়া হইল:অবৈধ ভাবে তার ছেলেকে সভাপতি হিসাবে নির্বাচিত করা। অবৈধ ভাবে বিনা নির্বাচনে তার ছেলেকে সভাপতি বানানো। গোপনে লিজের রেলওয়ের জায়গা ৪০ শতাংশ মার্কেটের ১১ জনের পরিবর্তে নিজের নামে লীজ নেওয়া।
মার্কেটের নিজস্ব ৩২ শতাংশ কাঁচা বাজারের ভাড়া টাকা আত্মসাত করা। মার্কেটের সামনে মার্কেটের জায়গায় চার তলা ভবনের রুম গুলোর ভাড়া সে ও তার দোসরাসহ ভাগ করে নেওয়া। মার্কেটের অনেক সদস্যের নিজস্ব দোকানের ভাড়াগুলো নিয়ে যাওয়া। মার্কেটের কিছু সদস্যের নামে তার বাহিনী দ্বারা চাঁদাবাজিসহ মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী করা।
মার্কেটের সাউথ ইস্ট ব্যাংক থেকে মার্কেট একাউন্ট থেকে ১,১৯,০০,০০০/- টাকা নিজের একাউন্টে নিয়ে আত্মসাৎ করা যাহার চেক নং ৬১৩৬০২৭ থেকে তার নিজের ঋণ একাউন্টন ১১১.০০০.৪৭৭৭৭ তারিখ ০৯/০২/২০১৭ ইং।
২০২২ সালে মাননীয় হাই কোর্ট থেকে অবৈধ রীট ১৮/০২/২০২৪ ইং তারিখে হাই কোর্টে খারিজ করার পূর্বেই মামলা থাকাবস্থায় ১৯/০১/২০২৪ ইং তারিখে তার ছেলে নাসির উদ্দিন হিরাকে অবৈধ ভাবে সভাপতি নিয়োগ করা।
সুরুজ মিয়ার বিরুদ্ধে দুদকের গন শুনানীতে দরখাস্ত করলে জেলা প্রশাসক মহোদয়ের তদন্তে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতি প্রমানিত হওয়ায় দুর্নীতি দমন কমিশন থেকে তার বিরুদ্ধে নোটিশ জারী হওয়ায় গত ২৫/১০/২০২৫ ইং তারিখে মিথ্যা, বানোয়াট তথ্য দিয়ে সংবাদ সম্মেলন করে।
গত ২৫/১০/২৫ ইং তারিখে মার্কেটের ৩য় তলার সংবাদ সম্মেলনে দেওয়া বক্তব্য সম্পূর্ণ মিথ্যা ও অমূলক হয়। আমরা মার্কেটের বঞ্চিত ৮ জন মালিকগণ উক্ত বক্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ জানাই ও প্রশাসনের নিকট ন্যায় বিচার প্রত্যাশা করি।