জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জকসু) নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে আগামী ২৭ নভেম্বর ২০২৫। এই ‘জকসু নির্বাচন’কে সামনে রেখে সব প্রার্থীদের নির্বাচনী ইশতেহার, ভাবনা ও পূর্ববর্তী অবদানকে এক প্ল্যাটফর্মে সহজে দেখানোর লক্ষ্যে ওয়েবসাইট চালু করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসই) বিভাগ।

# এই ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের ঠিকানা হলো: jnucsu.

com

কী কী উপস্থাপন করা যাবে

১. এই ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে প্রার্থীরা তাঁদের নির্বাচনী প্রোফাইল তৈরি করে ইশতেহার, চিন্তাভাবনা ও পূর্ববর্তী কর্মকাণ্ড বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের সামনে উপস্থাপন করতে পারবেন।

২. সমসাময়িক যেকোনো বিষয়ে ব্লগ লেখার সুযোগও থাকবে।

৩. ভোটাররাও তাঁদের পছন্দের প্রার্থীদের বিভিন্ন বিষয়ে সরাসরি মতামত জানাতে পারবেন।

৪. ব্লগের মাধ্যমে নিজেদের মতামত ও প্রত্যাশা প্রকাশ করতে পারবেন।

আরও পড়ুনহার্ভার্ডের গবেষণা বলছে, মূল্য হারাতে বসেছে ১০ ডিগ্রি৫ ঘণ্টা আগেঅন্য রকম সাড়া

প্রচলিত কাগজনির্ভর পোস্টার–সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে অনলাইনভিত্তিক এই প্রচারণা শিক্ষার্থীদের মধ্যে ইতিমধ্যেই ইতিবাচক সাড়া ফেলেছে বলে জানা গেছে। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকাংশ শিক্ষার্থীর আবাসন–সুবিধা না থাকায় প্রার্থীদের প্রচারণায় যে সীমাবদ্ধতা রয়েছে, এই নতুন প্ল্যাটফর্ম তা কাটিয়ে তুলতে সহায়ক ভূমিকা রাখবে।

প্রশংসনীয় উদ্যোগ

বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উপলক্ষে ২৭ অক্টোবর প্ল্যাটফর্মটি প্রদর্শন করা হয়। এতে বিভিন্ন ছাত্রসংগঠনের নেতৃবৃন্দ, সম্ভাব্য প্রার্থীবৃন্দ, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন এবং উদ্যোগটির প্রশংসা করেন।

আরও পড়ুন২০২৬ সালে ক্যাডেট কলেজে ভর্তির বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ, আবেদন শুরু ১ নভেম্বর২৫ অক্টোবর ২০২৫বিশ্ববিদ্যালয়ের চার শিক্ষার্থী

এই ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম উদ্যোগটির পেছনে আছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসই) বিভাগের শিক্ষার্থী মুয়াম্মার তাজওয়ার আসফি (২০২০-২১ সেশন), আহসানুল হক আবির (২০২১–২২ সেশন), মুহাম্মদ ফাতিন নুর (২০২১-২২ সেশন) এবং ফাতিন শাহরিয়ার সিয়াম (২০২৩-২৪ সেশন)।

আরও পড়ুনবুয়েটে ভর্তি পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ৩ ঘণ্টা আগে

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ড জ ট ল প ল য টফর ম

এছাড়াও পড়ুন:

বিয়ে-তালাকের তথ্য ডিজিটাল পদ্ধতিতে নিবন্ধন বাধ্যতামূলক: হাইকোর্ট

বিয়ে ও তালাকের সব তথ্য ডিজিটাল পদ্ধতিতে নিবন্ধন বাধ্যতামূলক করার নির্দেশ দিয়ে রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট। এক রিটের চূড়ান্ত শুনানি শেষে বিচারপতি ফাহমিদা কাদের ও বিচারপতি মো. আসিফ হাসানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ বৃহস্পতিবার এ রায় দেন।

আদালত বলেছেন, ডিজিটাল পদ্ধতিতে বাধ্যতামূলকভাবে নিবন্ধন করতে হবে, যাতে প্রতিটি তথ্য সরকারি ব্যবস্থায় সুরক্ষিত থাকে; ডেটাবেজ সম্পূর্ণ কার্যকর ও ব্যবহারযোগ্য হয় এবং নাগরিকেরা বিশেষ করে নারীরা সহজেই তথ্য যাচাই করতে ও ডিজিটাল কপি সংগ্রহ করতে পারেন।

বিবাহ ও তালাকের ক্ষেত্রে ডিজিটালাইজ রেজিস্ট্রেশনে পদক্ষেপ নিতে নির্দেশনা চেয়ে এইড ফর ম্যান ফাউন্ডেশন নামের একটি সংগঠন এবং তিন ব্যক্তি ২০২১ সালের ৪ মার্চ রিট করেন।

রিট আবেদনের ভাষ্য, বিয়ে ও তালাকের ক্ষেত্রে তথ্যপ্রযুক্তিনির্ভর তথা ডিজিটালাইজ রেজিস্ট্রেশন না হওয়ায় প্রতারণার ঘটনা ঘটছে। স্বামী বা স্ত্রী বিয়ের তথ্য গোপন করে অনেক ক্ষেত্রে আবার বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। ডিজিটাল আর্কাইভের অনুপস্থিতিতে অনেক সময় সন্তানের পিতৃপরিচয় নিয়ে অনিশ্চয়তা ও জটিলতা দেখা যায়।

রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে ২০২১ সালের ২৩ মার্চ হাইকোর্ট রুল দেন। রুলে পারিবারিক জীবনের বৃহত্তর সুরক্ষায় বিয়ে ও তালাকের ক্ষেত্রে রেজিস্ট্রেশন ডিজিটালাইজেশনের জন্য কেন্দ্রীয় একটি ওয়েবসাইট প্রতিষ্ঠা করতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়। রুলের ওপর শুনানি শেষে আজ রায় দেওয়া হয়।

রায়ের পর ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মুহাম্মদ শফিকুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, হাইকোর্ট বিয়ে ও তালাকের সব তথ্য পুরোপুরি ডিজিটাল পদ্ধতিতে নিবন্ধন করতে নির্দেশ দিয়েছেন। রুল নিষ্পত্তি করে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়সহ বিবাদীদের প্রতি এ নির্দেশ দিয়ে রায় দেওয়া হয়েছে।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী ইশরাত হাসান, তাঁকে সহযোগিতা করেন আইনজীবী তানজিলা রহমান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মুহাম্মদ শফিকুর রহমান ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল ইকরামুল কবির।

রায়ের পর প্রতিক্রিয়ায় আইনজীবী ইশরাত হাসান বলেন, আদালতের এই সিদ্ধান্ত দেশে পরিবারের নিরাপত্তা, নারীর সুরক্ষা, বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ, আইনগত স্বচ্ছতা এবং সবচেয়ে বড় বিষয় বিয়ে–তালাকসংক্রান্ত প্রতারণা বন্ধে ঐতিহাসিক এক পদক্ষেপ হিসেবে কাজ করবে। ডিজিটাল নিবন্ধন চালু হলে গোপন বিয়ে, একাধিক বিয়ে লুকানো, পূর্ববর্তী তথ্য গোপন, তালাক প্রমাণের জটিলতা—এসব সমস্যা ব্যাপকভাবে কমবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বিয়ে-তালাকের তথ্য ডিজিটাল পদ্ধতিতে নিবন্ধন বাধ্যতামূলক: হাইকোর্ট