পদ্মায় মিলল নিখোঁজ লিটনের লাশ, শরীরে ক্ষত চিহ্ন
Published: 28th, October 2025 GMT
কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলায় পদ্মানদী থেকে লিটন ঘোষ (৩০) নামে এক যুবকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) সকালে উপজেলার বাহাদুরপুর ইউনিয়নের রায়টা এলাকায় পদ্মা নদীতে লাশটি ভাসতে দেখে পুলিশকে খবর দেন স্থানীয়রা। পরিচয় শনাক্তের পর ঘটনাস্থল থেকে লাশটি উদ্ধার করে নিয়ে যায় নৌ-পুলিশ।
নিহত লিটন রায়টা ঘোষপাড়া এলাকার মৃত জামরুল ঘোষের ছেলে। তিনি পেশায় কসমেটিকস ব্যবসায়ী ছিলেন।
পুলিশ বলছে, লিটনের মরদেহে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সোমবার (২৭ অক্টোবর) বেলা ১১টার দিকে রাজশাহীর বাঘায় পদ্মার চরে জমি দখলকে কেন্দ্র করে কাকন ও মন্ডল বাহিনীর মধ্যে হামলা ও গুলির ঘটনা ঘটে। এতে স্থানীয় মিনহাজ মন্ডলের ছেলে আমান মন্ডল (৩৬) ও শুকুর মন্ডলের ছেলে নাজমুল হোসেন (৩৩) নিহত হন। এই ঘটনার পর থেকে লিটনের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় কয়েকজন বলেন, ‘‘লিটন কাঁকন বাহিনীর সদস্য ছিলেন। ধারণা করা হচ্ছে সোমবার সংঘর্ষের সময় তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে নদীতে ফেলে দিয়েছে প্রতিপক্ষের লোকজন।’’
তবে এ বিষয়ে নিহতের পরিবারের কেউ কথা বলতে রাজি হয়নি। ঈশ্বরদী লক্ষীকুন্ডা নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ উপপরিদর্শক শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘‘নদী থেকে একটি লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। লাশের শরীরে একাধিক ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে তিনি কাঁকন বা মন্ডল বাহিনীর সদস্য।’’
ঢাকা/কাঞ্চন//
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
স্ত্রীর সঙ্গে পরকীয়া সন্দেহে বড় ভাইকে কুপিয়ে হত্যা
স্ত্রীর সঙ্গে পরকীয়া চলছে, এমন সন্দেহে বড় ভাই একাব্বর মিয়াকে (২৮) দা দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেছে ছোট ভাই ফারুক মিয়া।
মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) সকালে শেরপুর সদর উপজেলার লছমনপুর ইউনিয়নের কান্দাশেরী এলাকায় নিজ বাড়িতে একাব্বরকে কোপানো হয়।
একাব্বর ও ফারুক সৎ ভাই। তারা ওই এলাকার মৃত হায়দার আলীর ছেলে। ফারুককে এখনো গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।
পুলিশ ও নিহতের পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, একাব্বরের সঙ্গে ফারুকের স্ত্রীর পরকীয়া সম্পর্ক আছে, এমন সন্দেহ করছিলেন ফারুক। বিষয়টি সবার মধ্যে জানাজানি হলে মাঝেমধ্যেই স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়া হতো ফারুকের। মঙ্গলবার সকালেও তাদের মধ্যে ঝগড়া চলছিল। এ বিষয় নিয়ে একাব্বরও ঝগড়ায় অংশ নেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ফারুক তার বড় ভাই একাব্বরকে ঘরের ভেতরেই ধারালো রামদা দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে গুরুতর আহত করেন। পরিবারের সদস্যরা একাব্বরকে উদ্ধার করে প্রথমে শেরপুর জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় চিকিৎসক তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন। ময়মনসিংহে নেওয়ার পথেই একাব্বরের মৃত্যু হয়।
শেরপুর জেলা সদর হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. প্রমা জানিয়েছেন, একাব্বরকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়। তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে গভীর ক্ষত ছিল। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় আমরা প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য দ্রুত ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছি।
শেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জুবায়দুল আলম বলেছেন, খবর পাওয়ার সাথে সাথেই পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে তদন্ত শুরু করেছে। পারিবারিক দ্বন্দ্বের জের ধরে এ ঘটনা ঘটেছে। এ বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
তবে, ফারুকের স্ত্রী মাকসুদা বেগম পরকীয়ার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন, আমার সাথে কারো পরকীয়া সম্পর্ক নেই। ফারুক নেশাগ্রস্ত অবস্থায় এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে।
ঢাকা/তারিকুল/রফিক